এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম | এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি

এটিএম কার্ড ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম আছে। নিয়ম না মেনে ATM কার্ড ব্যবহারে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এখানে দেখে নিন এটিএম কার্ডের ব্যবহার এবং এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি।

ADVERTISEMENT

এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম খুব কঠিন কিছু নয়। তবে বুঝতে না পারলে হয়তো একটু ঝামেলার মনে হতেও পারে। তাই আগে থেকে ATM Card এর ব্যবহার জেনে রাখা ভালো।

এছাড়া আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার জানা থাকা দরকার ATM কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে। যেমন এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি, বুথ থেকে সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন কত টাকা তোলা যায়, কার্ড ছাড়া এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম কি, ইত্যাদি। বুথে টাকা তুলার সময়ও কিছু সতর্কতাও মেনে চলা ভালো।

ADVERTISEMENT

যাই হোক, এই ব্লগে আমি আপনার সুবিধার্থে আলোচনা করেছি এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম, কার্ড দিয়ে টাকা তোলার পদ্ধতি, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিন্ম কতো টাকা তোলা যাবে সহ সম্ভাব্য সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর। আশা করি এখানে আপনি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তরই পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

এটিএম কার্ড

এটিএম কার্ড হলো ব্যাংক কতৃক ইসু করা একটি ডেডিকেটেড পেমেন্ট কার্ড, যার মাধ্যমে গ্রাহক চাইলে লেনদেনের সকল সুবিধা নিতে পারবেন যেমন মার্কেট থেকে কেনাকাটা। এর একপাশে একটি চিপ লাগানো থাকে যা দেখতে মোবাইল সিমের মতো।

ADVERTISEMENT

কোম্পানি ভেদে এবং সার্ভিস ভেদে এটিএম কার্ড ভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যেমন VISA বা Mastercard হলো কোম্পানি এবং ক্রেডিট কার্ড ও ডেভিট কার্ডের সার্ভিসে কিছু ভিন্নতা আছে।

এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

এটিএম কার্ড ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ম্যাশিনের প্রয়োজন হয়, যেমন: CRM ম্যাশিন। অনলাইনেও কার্ড ব্যবহার করা যায়। অনলাইনে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হয় এর কিছু তথ্য। প্রতিটি কার্ডেরই যে তথ্য গুলো গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনের ক্ষেত্রে তা হলো কার্ড হোল্ডারের নাম, কার্ডের নাম্বার, এক্সপায়ার ডেইট এবং CVC কোড। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা আপনার কারো সাথে শেয়ার করা উচিত নয়। নিচে এটিএম কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়ম দেখুন।

আরো পড়ুন- ক্রেডিট কার্ড নেয়ার নিয়ম এবং কার্ড করতে কি কি লাগে

ADVERTISEMENT

কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি

ধাপ ১: একটি এটিএম বুথ খুজে বের করুন

প্রথমে একটি এটিএম বুথ খুজে বের করা যা আপনার ব্যাংকের কার্ড সাপোর্ট করে৷ বেশিরভাগ ব্যাংকের নিজস্ব ATM আছে। তাই আপনার ব্যাংকের নিজস্ব একটি এটিএম খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত। আপনার নিকটতম এটিএম বুথ বের করতে Google ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

ধাপ ২: আপনার কার্ড ঢোকান

এটিএম বুথ খুঁজে পেলে, মেশিনে আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ঢোকান। কার্ডের স্লট সাধারণত এটিএম-এর ডানদিকে থাকে। ঢোকানোর সময় কার্ড কখনো উল্টো করে ঢোকাবেন না। কার্ডের চিপটি উপরের পাশে সামনের দিকে রেখে ম্যাশিনে কার্ডটি প্রবেশ করান।

ধাপ ৩: আপনার পিন লিখুন

পরবর্তী ধাপে আপনার গোপন পিন (PIN) নাম্বার দিন। আপনার পিন হল একটি ৪ সংখ্যার কোড যা আপনি আপনার ব্যাংক থেকে কার্ড নেয়ার সময় বেছে নেন। আপনার পিন দেয়ার সময় আপনার হাত দিয়ে কীপ্যাডটি সিকিউর করতে ভুলবেন না। অর্থাৎ ঢেকে রাখুন, যাতে আশেপাশে কেউ থাকলে এটি দেখতে না পায়। দেয়া হলে পরের ধাপে চলে যান।

ADVERTISEMENT

ধাপ ৪: আপনার লেনদেনের ধরণ সিলেক্ট করুন

আপনার পিন দেয়ার পর আপনাকে আপনার লেনদেনের ধরন নির্বাচন করতে বলা হবে। অর্থাৎ আপনি কি টাকা বের করতে চান নাকি ঢোকাতে চান বা অন্য কিছু। অপশনগুলি থেকে “Withdraw” সিলেক্ট করুন। অর্থাৎ, আপনি টাকা বের করতে চান। সিলেক্ট করা হলে নেক্টস অপশনে চলে আসুন।

ধাপ ৫: আপনি যে পরিমাণ টাকা তুলতে চান তা লিখুন

আপনি যে পরিমাণ টাকা তুলতে চান তা এটিএম-এ আপনাকে লিখতে বলবে। ম্যাশিনের স্ক্রিনের পূর্বনির্ধারিত কোনো এমাউন্ট থেকে আপনি বেছে নিতে পারেন। অর্থাৎ সেখানে ৫০০, ১০০০, ২০০০ এমন কিছু এমাউন্ট দেয়া থাকতে পারে। আপনার সুবিধা মতো একটি এমাউন্ট লেখার অপশনও পাবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ি অপশন সিলেক্ট করুন।

ধাপ ৬: প্রয়োজনে আপনার রসিদ নিন

লেনদেন সম্পূর্ণ হলে, ম্যাশিন জিজ্ঞাসা করবে যে আপনি রসিদ চান কিনা, আপনাকে হ্যাঁ বা না সিলেক্ট করতে হবে। রসিদ যদি দরকার না হয় তবে ”না” দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করুন। আপনি যদি রসিদ সংগ্রহ করেন তবে এর জন্য আলাদা ফি কাটার সম্ভাবনা আছে।

ধাপ ৭: অর্থ প্রদানের জন্য অপেক্ষা করুন

আপনি টাকার পরিমাণটি প্রবেশ করানোর পরে, এটিএম আপনার অ্যাকাউন্টের সকল বিবরণ যাচাই করবে এবং তারপরই আপনাকে নগদ প্রদান করবে। এর জন্য CRM ম্যাশিনে একটি ঢাকনা সরে গিয়ে আপনার টাকা বের করে দিবে। আপনি সেই টাকাটি গ্রহণ করুন।

ADVERTISEMENT

ধাপ ৮: লেনদেন শেষ করুন

অবশেষে, এটিএম-এ “Cancel” বা “Exit” বোতাম টিপলে আপনার কার্ডটি ম্যাশিন থেকে বেরিয়ে আসবে। CRM ম্যাশিন থেকে এই কার্ডটি সংগ্রহ করে নিন।

ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকে কিছু বিষয়ে একটু পরিবর্তন থাকতেও পারে। তবে বেশির ভাগ অংশ যা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে তা মিল থাকবে। এছাড়া আরো নির্দিষ্ট করে জানার জন্য আপনি নির্দিষ্ট ব্যাংক অনুযায়ি আলাদা আলাদা করে পড়ে নিতে পারেন আরো ভালো ভাবে বুঝার জন্য। নিচে এমনই কিছু ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়ম দেখুন:

ইসলামী ব্যাংকইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম। এখানে ইসলামী ব্যাংকের বুথ থেকে কার্ড দিয়ে টাকা তুলার পাশাপাশি কার্ড ছাড়াও টাকা তুলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম
ব্র‍্যাক ব্যাংকব্র‍্যাক ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলার উপায়

যেকোনো ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি যে ব্যাংকের গ্রাহক এবং যে ব্যাংকের কার্ড আপনার কাছে আছে, সেই ব্যাংকের কোনো এটিএম আপনার কাছাকাছি পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকের কার্ড দিয়ে আপনি অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তবে এখানে কিন্তু এক্সট্রা চার্জ প্রযোজ্য হবে।

ADVERTISEMENT

চার্জ সচরাচর ব্যাংক ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কোনো ব্যাংক ১৫ টাকা চার্জ করে থাকে আবার কোনো ব্যাংক ২০ টাকাও চার্জ করে থাকে সরকারি ভ্যাট সহ।

আরো পড়ুন- অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় সতর্কতা

  • টাকা তোলার সময় অন্য কারো সাহায্য নেবেন না, বিশেষ করে অপরিচিত কেউ।
  • সিঙ্গেল CRM ম্যাশিনের ক্ষেত্রে বুথে প্রবেশ করার পর অন্য কেউ যেন বুথে প্রবেশ না করে সেটি খেয়াল রাখুন।
  • একাধিক CRM ম্যাশিনের আছে এমন বুথে ঢুকার পর অন্য মানুষও থাকতে পারে। যদি থাকে তবে আপনার পিন বা টাকা নেয়ার বিষয় গুলো সতর্কতার মেনে সম্পন্ন করুন।
  • টাকা তোলার পরে স্লিপ এটিএম বুথে কখনই ফেলে আসবেন না।
  • অন্য কাউকে আপনার কার্ডের পিন নম্বর বলবেন না।
  • নতুন কার্ড নেয়ার পর পুরনো কার্ড নষ্ট করে ফেলুন।

আরো পড়ুন- এটিএম কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয়

আরো কিছু সতর্কতা

#১. অপ্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করা

এমন অনেকেই আছেন যারা কার্ড দরকার হোক বা না হোক, তারা কার্ড পার্চেস করেন। অথবা কার্ড প্রোভাইডারের কথায় অনুপ্রাণিয় হয়েও কার্ড পার্চেস করেন। অথচ তা কোনো কাজেই আসে না। আবার অনেকে একটি কার্ড থাকার সর্তেও আরো একাধিক কার্ড সংগ্রহ করে। যা হয়তো কোনো কাজে আসে না শুধু তার চার্জের বোঝা বাড়ানো ছাড়া।

#২. ফি সম্পর্কে ধারনা না রাখা

কার্ডের অনেক ধরণেরি চার্জ থাকে। ব্যবহারকারীরা অনেক সময় ক্রেডিট কার্ডের যে বিভিন্ন রকম চার্জ আছে এ ব্যাপারে জানেনই না। আবার দেখা যায় কিছু কিছু কার্ড প্রোভাইডার কার্ডের সব রকম চার্জ সম্পর্কে গ্রাহককে ঠিকমতো জানান না।

একজন গ্রাহকের উচিত একটি কার্ড নেয়ার আগে সেই কার্ড তার জন্য কতোটুুকু সুবিধাজনক বা এটির চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা। যাতে করে পরে কোনো রকম সমস্যায় না পরতে হয়।

#৩. কার্ডে ব্যালেন্স রেখে দেওয়া

অনেকেই মনে করেন কার্ডে টাকা রাখলে ক্রেডিট স্কোর বৃদ্ধি পায়। আসলে এমন কিছুই ঘটে না। ক্রেডিট স্কোর বৃদ্ধি মূলত আপনার খরচের উপর নির্ভর করে বাড়ে। যতো বেশি খরচ করবেন ততো বেশি ক্রেডিট স্কোর যুক্ত হবে।

এছাড়াও আপনি যদি আপনার কার্ডে ব্যালেন্স রেখে দেন, তবে কোনো কারণে যদি আপনার ক্রেডিট কার্ড অন্য কারো কাছে যায় বা কার্ড ইনফর্মেশন হ্যাক হয় তবে আপনার অর্থ চুরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই অপ্রয়োজনে কার্ডে ব্যালেন্স রাখা থেকে বিরত থাকাই ভালো।

#৪. অপরিচিত সাইটে কার্ড ব্যবহার করা

আমরা অনেক সময় বুঝে বা না বুঝে অনেক অপরিচিত সাইট থেকে কেনা কাটা করি বা সাইটে আমাদের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেই। তবে আপনি হয়তো জানেন না আপনার এই ধরণের লেনদেন আপনাকে ঝুকিতে ফেলতে পারে।

এই ধরণের লেনদেনে আপনার তথ্য পাচার হয়ে যেতে পারে হ্যাকারদের কাছে এবং এরপর আপনার অর্থও। তাই এ ধরণের লেনদেন থেকে দূরে থাকা উচিত। আর প্রয়োজনে শুধু নামকরা বিশ্বস্ত সাইট গুলো থেকে কেনাকাটা করা উচিত।

#৫. ছোট পেমেন্ট করা

আপনার কেনাকাটার জন্য আপনি যে ক্যাশ ব্যাক ক্রেডিট কার্ড বা পুরস্কারের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, এর উপর নির্ভর করে আপনি বিনামূল্যে নগদ বা এয়ারলাইন মাইলস এর মতো পুরস্কার সংগ্রহ করতে পারেন।

কিন্তু আপনার ক্রেডিট কার্ডের খরচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে যদি আপনি প্রতিটি ছোট কেনাকাটার জন্য আপনার কার্ড সোয়াইপ করেন। আপনার ব্যালেন্স যত বেশি হবে, পরিশোধ করাটাও তত কঠিন হবে। মাসের শেষে আপনি হয়তো তখন ভাবতে থাকবেন যে ওই ২০টি কফি সত্যিই অতিরিক্ত ব্যায় ছিল কিনা।

ছোট আইটেমগুলির জন্য অর্থ প্রদানে আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার পরিবর্তে নগদ ব্যবহারের কথা ভাবুন। এটি শুধুমাত্র আপনার ক্রেডিট কার্ডের ব্যালেন্স বাড়ানো থেকে আপনাকে বাঁচাবে না, এটি আপনাকে একটি বাজেটে আটকে রাখতেও সাহায্য করবে। কারণ প্রতিবার যখন আপনি কিছু কিনবেন, তখন ওয়ালেটে অবশ্যই একবার ডুব দিতে হবে।

#৬. কার্ড ম্যাক্স আউট করা

আপনার ক্রেডিট কার্ডের যে লিমিট তা যদি ক্রস বা কার্ড ম্যাক্স আউট করেন, তবে বাড়তি অর্থের জন্য আপনাকে এক্সট্রা ফি পে করতে হবে। অথচ আপনাকে আপনার লিমিটের মধ্যে থেকে খরচের জন্য কোনো প্রকার বাড়তি ফি দেয়া লাগে না।

তাই খরচ করার সময় আপনার ক্রেডিট লিমিটের উপর অবশ্যই নজর রাখুন। লিমিট ক্রস করার আগেই কার্ড ব্যবহার বন্ধ করুন, এবং আপনার স্টেটম্যান্ট সবসময় চেক করুন।

#৭. নগদ উত্তোলন করা

আপনার ক্রেডিট কার্ড থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করা মানে হচ্ছে স্বল্পমেয়াদী ঋণ নেয়া যা আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ধার করেন। আপনার ঋণের বার্ষিক সুদের হার ও ফি আপনার ব্যাংক এবং ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারীর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হবে।

আর কার্ডে ঋণের সুদের হার সচরাচর ব্যাংক ঋণের সুদের হারের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। অনেক সময় তা ব্যাংকের ঋণের সুদের হারের তুলনায় এটি প্রায় ‍দ্বিগুন হয়ে থাকে।

#৮. সময় মতো পেমেন্ট না করা

সময় মতো ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট সম্পন্ন না করা আপনার জন্য মারাত্মক হতে পারে। কেননা এই অনিয়ম আপনার ক্রেডিট স্কোরে নীতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং আপনার ক্রেডিট স্কোর কমিয়ে দিবে।

এই নীতিবাচক প্রভাব কিন্তু এখানেই সিমাবদ্ধ নয়। আপনি যদি কখনো লোন নেয়ার ব্যাপারে ভাবেন, তবে এই ডিমেরিট পয়েন্ট আপনার জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করবে। তখন আপনি লোন নাও পেতে পারেন। তাই আপনার এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। এর জন্য আপনি চাইলে অটো পেমেন্টও চালু করে রাখতে পারেন।

#৯. বিভিন্ন বিল পরিষোধ করা

কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি, মেডিকেল বিল ইত্যাদি সাধারণত উচ্চ বাজেটের হয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার ক্রেডিট লিমিটের বাইরে গিয়ে এই বিল পরিষোধ করেন, তবে তা আপনার জন্য বাড়তি বোঝা তৈরি করবে রিটার্ণ করার সময়।

অনেকে তাদের ইউটিলিটি বিল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও পরিষোধ করে। আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ঘন ঘন বিল পরিশোধ করেন, এবং সেই সাথে আপনি আপনার ব্যালেন্স ট্র্যাক রাখতে অবহেলা করেন, তাহলে আপনার জন্য আর্থিক সমস্যায় পড়া সহজ বিষয়।

আপনার ক্রেডিট সীমা অতিক্রম করা এবং কার্ডে অনুপস্থিত পেমেন্ট আপনাকে অতিরিক্ত সুদের চার্জ ও লেট করলে লেট ফি দিয়ে জর্জরিত করবে।

#১০. বন্ধকী পেমেন্ট করা

আপনি যদি কখনও ভেবে থাকেন যে, “আমি কি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আমার বন্ধকী পরিশোধ করতে পারি?” উত্তরটি হ্যাঁ হতে পারে। কিন্তু এটি কোনো ভাল সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বিশেষ করে যদি আপনার নগদ সঙ্কট আপনাকে এমন একটি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আপনার বন্ধকী পরিশোধ করতে আকৃষ্ট করে যার চার্জ তুলনামূলক অনেক বেশি।

বেশিরভাগ বন্ধকী কোম্পানি আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সরাসরি অর্থপ্রদান করার সুযোগ দেয় না। যদিও কিছু তৃতীয়-পক্ষ আপনাকে আপনার বন্ধকী পরিশোধ করতে আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাহায্য করবে। তবে তারা প্রায়ই এই সুবিধার জন্য এক্সট্রা ফি নেয়, যা প্রতি মাসে আপনি যে পরিমাণ বিল পরিশোধ করছেন তার সাথে যোগ হবে।

আরো পড়ুন- ১২টি কাজ যা আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে করা উচিত নয়

শেষকথা

এটিএম থেকে টাকা উঠাতে হলে আপনাকে CRM ম্যাশিনের নির্দেশনা গুলো বুঝতে হবে ও তা অনুসরণ করতে হবে। ম্যাশিনের স্ক্রিনে থাকা নির্দেশনা গুলো ফলো করে আপনি খুব সহজে আপনার কাজটি সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

প্রায় সব ব্যাংকের এটিএম বুথের টাকা তুলার নিয়ম গুলো প্রায় একই। ছোট খাটো কিছু পার্থক্য থাকতে পারে। আর কার্ড ভেদে আপনার টাকা তোলার ফেসিলিটিতে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।

আরো পড়ুন- ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ভিত্তিহীন কিছু ধারণা

প্রয়োজনিয় কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর

কার্ড দিয়ে যেকোনো ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলা কি সম্ভব?

আপনার ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তবে এখানে চার্জ প্রযোজ্য হবে।

কার্ড ছাড়া এটিএম থেকে কি টাকা তোলা যায়?

কিছু কিছু ব্যাংক আছে যারা কোনো কার্ড ছাড়াই এটিএম থেকে টাকা তোলার অনুমতি দিয়ে থাকে, যেমন: ইসলামী ব্যাংক বা ডাচ বাংলা ব্যাংক।

এটিএম বুথ থেকে সর্বনিম্ন কত টাকা তোলা যায়?

বুথে সচরাচর ভাংতি টাকা রাখে না। সেখানে শুধু ৫০০ টাকা বা ১০০০ টাকার নোট রাখা হয়। তাই আপনি টাকা বের করার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকার কমে নিশ্চই কোনো টাকা বুথ থেকে বের করতে পারবেনই না। সুতরাং এটিএম বুথ থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা তুলা যায়।

এটিএম বুথ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়?

এটিএম বুথে টাকা সর্বোচ্চ কতো তুলা যাবে তা আসলে নির্ভর করে গ্রাহক কোন কার্ড ব্যবহার করছেন। ব্যাংক গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরণের কার্ড দিয়ে থাকে। কার্ডের ধরণ অনুযায়ি গ্রাহক একবারে ২০,০০০ টাকা করে একদিনে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ থেকে ১০০,০০০ বা ২০০,০০০ টাকাও এটিএম থেকে তুলতে পারবেন। আরো জানুন- এটিএম থেকে কত টাকা তোলা যায়

টাকা তোলার ব্যাপারে আরো পড়ুন

ক্যাটাগরিতে যানbanking
হোমে যানbankline
ADVERTISEMENT

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *