বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় তা আপনার জেনে রাখা উচিত। এতে করে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে সতর্কতার সাথে বেচে থাকা যায়। এই পোস্টে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বিদেশ থেকে টাকা বা রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনার যে বিষয়টি অবশ্যই জানতে হবে তা হলো কখন আপনাকে ঘোষনা দিয়ে টাকা পাঠাতে হবে। সচরাচর সবসময় এটি করার দরকার হয় না। তবে নির্দিষ্ট সিমার বেশি হলে এটি করতে হবে। তাই চলুন যেনে নেয়া যাক বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় ঘোষনা ছাড়াই।
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে কত টাকা পাঠানো যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে ঘোষণা ছাড়া কত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনা যাবে তার কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। আসুন তা বিস্তারিত জেনে নেই।
- আগত যাত্রীরা: আগত যাত্রীরা যেকোন পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারেন। তবে তাদের অবশ্যই আগমনের সময় শুল্ক কর্তৃপক্ষকে তাদের কাছে 5,000 মার্কিন ডলারের বেশি পরিমাণ থাকলে তা ঘোষণা করতে হবে।
- অনাবাসী বাংলাদেশি: অনাবাসী বাংলাদেশীরা ঘোষণা ছাড়াই যে কোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনতে পারে।
- আবাসিক বাংলাদেশি: আবাসিক বাংলাদেশীরা ঘোষণা ছাড়াই 3,000 ডলার পর্যন্ত আনতে পারে। 3,000 ডলার ছাড়িয়ে যেকোন পরিমাণ অবশ্যই আগমনের সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা করতে হবে।
- দ্রষ্টব্য: এই সীমাগুলি শুধুমাত্র বিদেশী নগদ মুদ্রার নোটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অনলাইন বা ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে বাংলাদেশে কত পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা স্থানান্তর করা যাবে তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
আপনি যদি বাংলাদেশে বড় অংকের অর্থ পাঠানোর পরিকল্পনা করেন, তাহলে একটি বিশ্বস্থ মানি ট্রান্সফার এজেন্সি বেছে নেওয়া আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভিন্ন এজেন্সির নেওয়া ফি এবং বিনিময় হারের তুলনা করতে ভুলবেন না, যাতে করে আপনি একটি সাশ্রয়ি মাধ্যম খুজে পেতে পারেন। আর অবশ্যই অবৈধ মাধ্যম যেমন হুন্ডি থেকে দূরে থাকবেন টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর মাধ্যম নির্বাচন কৌশল
ধাপ ১. অর্থ হস্তান্তরের মাধ্যমগুলো সিলেক্ট করুন
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ব্যাংকে বা অন্য কোনো মাধ্যমে টাকা পাঠানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি চাইলে ব্যাংক ট্রান্সফার, অনলাইন মানি ট্রান্সফার মিডিয়াম, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা ট্যাপ ট্যাপ সেন্ড এর মতো মাধ্যম গুলোর অর্থ স্থানান্তরের সার্ভিসগুলো নিতে পারেন৷
ধাপ ২. মাধ্যম গুলোর সার্ভিসের তুলনা করুন
আপনার পাওয়া মাধ্যম গুলোর ফি কেমন এবং এদের সার্ভিস কেমন সেগুলো আগে তুলনা করে নিন। এতে আপনি হয়তো সবচেয়ে সাশ্রয়ি অপশনটি খুজে পাবেন দেশে আপনার টাকা পাঠানোর জন্য।
ধাপ ৩. মাধ্যম নির্বাচন হলে স্থানান্তর শুরু করুন
আপনার অপশন নির্বাচন এবং লেনদেন চার্জ ও সেবা সমূহ যাচাই করার পরে আপনি অর্থ স্থানান্তরের ধাপ শুরু করতে পারেন। সার্ভিস পেতে আপনাকে নির্দিষ্ট পয়েন্টে বা অফিসে যেতে হতে পারে, অথবা তাদের অনলাইন সেবা নিয়ে সার্ভিস প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারেন। হস্তান্তরের জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার কে সঠিক তথ্য প্রদান করুন এবং তাদের দেয়া নির্দেশাবলী যথাযথ ভাবে অনুসরণ করুন।
অর্থ স্থানান্তরের প্রমাণ হিসাবে আপনাকে সার্ভিস প্রোভাইডার একটি রসিদ প্রদান করতে পারেন, তা সংরক্ষণ করুন। এটি বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজে লাগতেও পারে। যেমন দেশে অর্থ গ্রহণ করার সময় দরকার হতে পারে অথবা পরে কোনো কারণে টাকা ফেরত নেয়ার দরকার হলে কাজে লাগবে।
বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
অগ্রণী ব্যাংক | বিদেশ থেকে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম |
ডাচ বাংলা | বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম |
ইসলামী ব্যাংক | বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম |
আরো পড়ুন- পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ থেকে