বৈধ ভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম খুজছেন? এই পোস্টে বিদেশে টাকা পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি উপকারী হবে।

ADVERTISEMENT
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম | How to send money from bangladesh to abroad

বিদেশে টাকা পাঠানোর ব্যাপারে অনলাইনে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। তাও পাঠকের সুবিধার্থে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে কি বিদেশে টাকা পাঠানো যায় কিনা, বা গেলেও বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম কি, কোন নিয়মটি বৈধ এবং কোন নিয়মটি অবৈধ, এমন আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

ADVERTISEMENT

Table of Contents

বাংলাদেশ থেকে কি বিদেশে টাকা পাঠানো যায়?

সচরাচর বাইরে আমাদের প্রবাসি ভায়েরা যেভাবে সহজে দেশে রেমিটেন্স বা টাকা পাঠাতে পারে, সেভাবে সহজে আপনি বিদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন না। এটি বাংলাদেশের আইনের মাধ্যমে অবৈধ করা হয়েছে।

আপনি বিদেশ থেকে সহজে টাকা আনতে পারবেন। এর জন্য হয়তো সরকার আপনাকে পুরষ্ক্রিতও করবে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মের বাইরে বিদেশে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করেন তবে তা হবে অবৈধ টাকা পাচারের শামিল। এর জন্য আপনাকে জেল বা জরিমানা গুনতে হতে পারে।

ADVERTISEMENT

তবে হ্যাঁ, আপনি নিয়মের মধ্যে থেকে বিদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। আর আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে টাকা পাঠানোর সুযোগ দেয়া হবে। এমাউন্টের ক্ষেত্রেও আছে কিছু বাধা ধরা নিয়ম। এসব কিছু মেনেই আপনাকে প্রয়োজনে বিদেশে টাকা পাঠাতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্জেকশনের মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে টাকা পাঠানো যাবে কি?

এখানে আমরা জানি যে এখন অনেক উপায়ে সহজে বিশ্ব ব্যাপি লেনদেন করা যায়। যেমন ধরুন ওয়াইজ আছে, বা মানিগ্রামের মতো অনেক সহজে লেনদেন করার মতো মাধ্যম আছে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আপনি এর কোনোটিই ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন না।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য অনেক সুযোগ দিলেও তারা বিদেশে টাকা পাঠানোর ব্যাপারে বেশিরভাগ সময় স্ট্রিক্ট থাকে। যেমনটা ভারতের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। তবে এই নিয়ম উন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভিন্ন। আপনি উন্নত দেশগুলো থেকে যেকোনো দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।

ADVERTISEMENT

তবে খুব রিসেন্টলি বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন কে এই লেনদেনের জন্য অনুমতি দিয়েছে। তাও এখানে বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাদের এই কার্যক্রম চালাতে হবে।

আবার অনেকে হুন্ডি ব্যবহার করে থাকে এই লেনদেনের জন্য। হুন্ডির মাধমে বিদেশে সহজে টাকা পাঠানো গেলেও আসলে এটি একটি অবৈধ পন্থা। এতে যিনি টাকা পাঠান তিনি নিজেও টাকা হারানোর রিস্কে থাকেন। সেই সাথে এটি দেশের অর্থনীতিরও ক্ষতি করে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন হুন্ডি কি এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত

বিদেশে কিভাবে টাকা পাঠানো যায়?

যেমনটা বলেছি, আপনি যদি বিদেশে টাকা পাঠাতে চান তবে আপনাকে কিছু ক্যাটাগরিতে খরচ করার জন্য টাকা পাঠানোর এই সুযোগ দেয়া হবে।

ADVERTISEMENT

এসব কারণের সাথে কিছু নির্দিষ্ট এমাউন্ট বাংলাদেশ ব্যাংক বেধে দিয়েছে। তবে সেসকল এমাউন্ট থেকে প্রয়োজনে বেশি এমাউন্ট নেয়া যাবে, তবে তা বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে এবং এর একটি সর্বোচ্চ সীমা আছে।

এখন আসুন কয়েকটি ক্যাটাগরি দেখে নেয়া যাক, যে ক্যাটাগরিতে আপনি চাইলে বিদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।

  • ভ্রমণ ব্যায় মেটাতে
  • অধ্যয়ন ফি পরিষোধ করতে
  • চিকিৎসা ব্যায় মেটাতে
  • অভিবাসন আবেদন ফি দিতে
  • ব্যাবসা বানিজ্য করতে

এধরণের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আপনি প্রয়োজনে বিদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।

বিদেশে টাকা পাঠানোর বেস্ট উপায় কোনটি?

বাংলাদেশ থেকে বাইরে টাকা পাঠাতে হলে বেস্ট একটি উপায় হলো ব্যাংকের সহযোগিতা নেয়া। আপনি যেভাবে বিদেশ থেকে দেশে সহজে টাকা আনতে পারবেন ব্যাংকের মাধ্যমে, ঠিক সেভাবে ব্যাংকের মাধমে বিদেশে টাকাও পাঠাতেও পারবেন, এবং এটি সেইফও। আপনার টাকা হারানোর ভয় থাকবে না এখানে।

ADVERTISEMENT

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে যদি বিদেশে টাকা পাঠানোর দরকার হয় তবে ডলার এনর্ডোস করতে হবে। ডলার এনডোস করা যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্ত কিছু তফসিলি ব্যাংক বা অনুমদিত কিছু ডিলারদের কাছ থেকে। ব্যাংক থেকে ডলার এনডোস করতে চলে যেতে হবে ব্যাংকের এডি শাখায়। সেখানে গিয়ে ডলার এনর্ডোস করার কারণ এবং প্রয়োজনিয় কাগজপত্র দিলে তারা ডলার এনডোস করে দিবে, যেটি আপনি বিদেশে নিতে পারবেন।

ডলার এনর্ডোস করতে এডি শাখায় যেতে হয় কারণ ডলার লেনদেনের ক্ষমতা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকেরই আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাপারে খুব সিমিত কিছু মাধ্যম কে লাইসেন্স দিয়েছে এই লেনদেনের জন্য। আর যেসকল তফসিলি ব্যাংক এই লাইসেন্স পেয়েছে, তাদের এডি শাখাই এটি ম্যানেজ করতে পারে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বিদেশে টাকা পাঠানো বা সাথে করে নিয়ে যেতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম আছে। ভ্রমনের ক্ষেত্রে এক আবার চিকিৎসা বা পড়ালেখার ক্ষেত্রে আরেক। এখন আসুন বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরেকটু স্পেসিফিক করে দেখা যাক।

ADVERTISEMENT

ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

আপনার ডলার এনর্ডোস করতে হবে। এখানে আবার আপনি যদি সার্কভুক্ত দেশ ‍গুলোতো যান তবে আপনি সর্বোচ্চ ৫০০০ ডলার এবং সার্কভুক্ত দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ৭০০০ ডলার নিতে পারবেন।

চিকিৎসা জন্য বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

চিকিৎসার কারণে অনেক সময় বিদেশে টাকা পাঠানোর দরকার হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংকে চিকিৎসা প্রোফাইল খুলতে হবে। আর এর জন্য দরকারী সকল ডকুমেন্টসও সাবমিট করতে হবে। ব্যাংকে যোগাযোগ করলে কি কি ডকুমেন্টস দরকার তা বলে দিবে। এগুলো সাবমিট করার পর ব্যাংক আপনার এই ডকুমেন্টস গুলো যাচাই বাছাই করবে।

ADVERTISEMENT

চিকিৎসা প্রোফাইল সম্পর্কিত সকল কাজ সম্পন্ন করতে ব্যাংক সাত কার্যদিবস সময় নিতে পারে। এর মধ্যে আপনার প্রোফাইল সম্পন্ন হয়ে যাবে। এটি আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। নতুবা আপনি বিদেশে টাকা পাঠানোর সুযোগ পাবেন না।

চিকিৎসার জন্য যদি আপনার বাহিরে টাকা পাঠানোর প্রয়োজন হয় তবে বিদেশি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের দেয়া ব্যায় প্রক্কলন মোতাবেক অনধিক ১০,০০০/- ডলার অনুমদিত ব্যাংক থেকে কেনা যাবে।

পড়ালেখার জন্য বিদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বিদেশে উচ্চশিক্ষা বা অন্য যেকোনো ধরণের কোর্স করার জন্য যদি দেশ থেকে টাকা পাঠানোর দরকার হয় তবে আপনি তা পাঠাতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে ব্যাংকে স্টুডেন্ট প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইল সম্পন্ন করতে ব্যাংক সাত কার্যদিবস সময় নিতে পারে। এর মধ্যেই আপনার প্রোফাইল সম্পন্ন হয়ে যাবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার এই ধরণের কার্যক্রম করার জন্য কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসা থাকতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসা না দেখাতে পারলে আপনি বিদেশে লেখাপড়ার জন্য টাকা পাঠানোর সুযোগ পাবেন না।

অনেক সময় TOEFL বা এমন কিছু পরিক্ষার ফি দিতেও বিদেশে টাকা পাঠানোর দরকার হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নটিশ অনুযায়ি আপনি এর জন্যও টাকা পাঠানোর সুযোগ পাবেন।

ব্যবসার জন্য বিদেশে টাকা পাঠানো

এক্ষেত্রে ব্যবসায়িদের কিছুটা সিথিলতা দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়িরা চাইলে কোনো প্রকার এক্সট্রা অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে টাকা পাঠাতে পারবেন।

কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানো যাবে কি?

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ি অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক নিজের নামে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স কার্ড ইস্যু করতে পারে। এ কার্ড দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই গ্রাহকদের বেশ কয়েকটি খাতে ব্যয়ের জন্য অর্থ সহজে বিদেশে পাঠাতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।

এই খাতগুলো হলো, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যয়, সদস্য ফি, ভর্তি ফি, শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যয়, ভিসা ফি, প্রশিক্ষণ ফি, ভ্রমণ ইত্যাদি।

কেউ চাইলে বছরে কতো ডলার সর্বোচ্চ নিতে পারবেন?

একজন সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে একজন ব্যাক্তি, যার কাছে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে, তিনি বছরে তার পাসপোর্টের বিপরীতে ১২,০০০/- ডলার এনর্ডোস করার সুযোগ পাবেন।

শেষকথা

বিদেশে টাকা পাঠানোর বিষয়টি বাংলাদেশে কিছুটা জটিল। আপনি চাইলেই আপনার টাকা বিদেশে পাঠাতে পারবেন না। আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার টাকা আপনার ইচ্ছামতো যেখানো খুশি সেখানে পাঠানোর স্বাধিনতা থাকা উচিত।

কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে আপনার এই স্বাধিনতা যদি দেয়া হয় তবে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে। অনেক ক্ষেত্রে দূর্ণিতি বেড়ে যাবে। দূর্ণিতির টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। তাই নাগরিক হিসেবে আমাদের এই নিয়মের মধ্যে থাকাই ভালো।

তবে আপনি কিছু প্রয়োজনে বিদেশে টাকা পাঠাতে পারছেন। আপনার যদি টাকা পাঠানোর বৈধ কোনো কারণ থেকে থাকে তবে আপনি তা করতে পারবেন। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক অনুমদিত ব্যাংক গুলোর সহযোগিতা নিতে পারবেন। আরো জানতে পড়তে পারেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে টাকা পাঠানোর উপায়

দেশ বিদেশে টাকা লেনদেনের জন্য আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে ভিজিট করুন রেমিটেন্স

বিদেশে টাকা পাঠানো নিয়ে আরো কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর

বিদেশে কিভাবে টাকা পাঠানো যায়?

চাইলেই আপনি যেকোনো ভাবে বিদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন না। আপনি কিছু নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে বিদেশে খরচ করার সুযোগ পাবেন, যেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেই ক্যাটাগরিগুলোতে আপনার প্রমান সরুপ কিছু ডকুমেন্টস দরকার হবে। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমদিত কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।

নগদ নোট আকারে কতো ডলার কেনা যাবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ি কোনো ব্যাক্তি একসাথে নগদ আকারে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা ক্রয় করতে পারবেন।

ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণের জন্য একজন ব্যাক্তি কতো ডলার কিনতে পারবেন?

ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণের জন্য একজন ব্যাক্তি দৈনিক ৪০০ ডলার কিনতে পারবেন এবং বার্ষিক ১০,০০০ ডলার ভ্রমনের জন্য কিনতে পারবেন।

ফ্রিলেন্সাররা প্রয়োজনে বাইরে কি পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারবে?

ফ্রিলেন্সাররা প্রয়োজনে যদি দেশের বাইরে টাকা পাঠাতে হয় তবে ভার্চুয়াল কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে অনলাইন ব্যবস্থায় ফি পরিষোধ করতে বছরে ৩০০ ডলার পাঠাতে পারবেন। তবে আইটি ও সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ বৈদেশিক মুদ্রা কোটায় ২০,০০০ ডলার ব্যবহারের সুযোগ আছে।

বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম নিয়ে আরো কিছু পোস্ট

১. বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
২. বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম

রেমিটেন্স নিয়ে আরো জানতে পড়ুন Remittance এই পোস্টি। হোম পেজে যেতে ক্লিক করুন bankline এ।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।