ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম
আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম খুজছেন? এখানে ছবি সহ বিস্তারিত ভাবে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে কিভাবে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেকটি পূরণ করবেন তা। আশা করি এই পোস্টি আপনার কাজে আসবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম কঠিন নয়। তবে এই চেক লিখার আগে আপনার জেনে নেয়া ভালো যে কোথায় কি লিখতে হবে। কেননা না জানার কারণে অনেক সময় আমরা চেকে কাটা ছেড়া করি। তাই আপনার সুবিধার্থে এখানে চেক লিখার নিয়ম, চেক লেখার সতর্কতা সহ চেক নিয়ে বিস্তারিত ছবি সহ তুলে ধরা হলো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
Table of Contents
চেক লেখার আগে প্রয়োজনিয় সতর্কতা মেনে চলুন
- আপনার চেকটি লেখার জন্য চেক নিয়ে সুবিধাজনক কোনো একটি জায়গায় চলে যান।
- চেক লেখার ক্ষেত্রে যেকোনো একটি ভাষা চয়েস করুন, যেমন বাংলা কিংবা ইংরেজি।
- লিখার আগেই চেকটি ভালো করে সব অপশন গুলো দেখে নিন ও কি লিখবেন তা ঠিক করে নিন।
- কাটা ছেড়া একদমই করবেন না ব্যাংক চেকে।
- যদি কোনোভাবে কাটা ছেড়া হয়ে যায় তখন চেষ্টা করবেন একটানে ভুল কেটে পাশে সুদ্ধ করে লিখতে।
- প্রয়োজনে কমা (,) ব্যবহার করুন। সেখানেই যেখানে এর প্রয়োজন আছে।
এসকল সতর্কতা মেনে চলুন, তাহলে আর আপনার চেকটি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে সুন্দর ভাবে টাকা তুলে আনতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম
আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট থেকে যদি চেকের মাধ্যমে টাকা তুলতে চান তবে আপনাকে ব্যাংক চেকের মূল অংশ পূরণ করতে হবে। সেখানে আপনার নাম, টাকা পরিমাণ, তারিখ আর সিগনেচান এসব দিতে হবে। আর যেকোনো একটি ভাষায় আপনি আপনার চেকটি লিখবেন। অর্থাৎ বাংলা বা ইংরেজি মিক্স কখনই করবেন না। নিচে ছবি সহ একটি নমুনা দেখে নিন।
টাকা তোলার পরে আপনার ডাচ বাংলা একাউন্টে আর কতো টাকা অবশিষ্ট আছে তা যদি জানতে চান তবে ব্যালেন্স জানার নিয়ম জানতে ভিজিট করুন এই পোস্টে- ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম।
আরো পড়ুন- ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
চেকের গ্রাহকের অংশ
ডান পাশের গ্রাহকের অংশটুকু গ্রাহকের কাছে থাকা মূল চেক বুকের সাথে থেকে যায়। বাম পাশে সাইজে ছোটো অংশটুকুই গ্রাহকের অংশ। এটি না লিখলেও কোনো সমস্যা নাই। তবে এখানে লিখে রাখাটা উত্তম। কেননা গ্রাহকের টাকা তোলার তথ্য সংরক্ষণ থাকে এখানে। যা পরে প্রয়োজনে বা হিসাবের ক্ষেত্রে গ্রাহক নিজে ব্যবহার করতে পারবেন।
এখানে গ্রাহক তার একাউন্ট নাম্বার, তারিখ, টাকা প্রাপ্তা এবং টাকার পরিমাণ এগুলো লিখবে। অর্থাৎ তার সঞ্চয় একাউন্ট নাম্বার, কোন তারিখে সে টাকা তুলছে তা, এবং সে কি নিজে তুলছে নাকি অন্য কারো মাধ্যমে সে টাকা তুলছে, সেই সাথে মোট কতো টাকা তুলছে এসব লিখে রাখবে।
চেকে ব্যাংকের অংশ বা মূল চেক
চেকের ডান পাশের বড় অংশটুকু হলো মূল চেক। এটি পূরণ করার নিয়ম দেখুন।
#Date
ডান দিকে উপরে ”Date” লিখা অংশে আপনি যে তারিখে টাকা তুলছেন, সেই তারিখটি লিখে দিন বাংলা বা ইংলিশে, যেমন: ১২/০২/২১ । একটি ভাষায় লিখুন, সে ভাষায় আপনি পুরো চেকটি লিখবেন। কখন দুটি ভাষা এক সাথে ব্যবহার করবেন না।
#Pay to
আপনার চেকের টাকা কে গ্রহণ করবেন? এটা কি আপনি নিজে, নাকি অন্য পরিচিত কেউ আপনার হয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলবে? “Pay to” এখানে আপনাকে সেটাই উল্লেখ করতে হবে। আপনি নিজে তুলতে গেলে ”নিজ” লিখুন বা ইংলিশে লিখলে “Self” লিখতে পারেন।
আর অন্য কেউ আপনার হয়ে টাকা তুলতে গেলে তার নাম উল্লেখ করুন। মনে করুন আপনার পক্ষে ”রহিম মিয়া” টাকা তুলতে যাবে। তাহলে Pay to এর পাশে লিখুন ”রহিম মিয়া”, বা অন্য কেউ গেলে তার নাম লিখুন।
#The sum of taka
”Pay to” এর ঠিক নিচে ”The sum of taka” লেখা অংশে আপনাকে আপনার টাকার পরিমাণ, যতো আপনি ব্যাংক থেকে তুলতে চান, তা কথায় লিখতে হবে। যদি আপনি ১০০,০০০/- টাকা তুলতে চান তবে লিখুন ”এক লক্ষ টাকা মাত্র”, বা অন্য কোনো এমাউন্ট হলে তা লিখুন। এমাউন্ট লেখার পর মাত্র শব্দটি যুক্ত করে দিন।
#TK
চেকের ডান দিকে ”TK“ লিখা, টাকা শব্দের পাশে একটি বক্স সহ দেখতে পাবেন। এখানে আপনাকে আপনার টাকার পরিমাণটি অংকে লিখতে হবে। যেমন ধরুন ১০০,০০০ টাকা তুলবেন, তাহলে ১০০,০০০/-, এভাবে লিখে ১০০,০০০ এর শেষে /- এই চিন্হ দিয়ে দিবেন। (/-) এই চিন্হ সেইফটির জন্য দিতে হবে।
#Signature
সবশেষে হচ্ছে ”Signature” দরকার হবে। একাউন্ট হোল্ডার এখানে একটি স্বাক্ষর করবেন ডান পাশে নিচে। সেই সিগনেচার করবেন যেটি তিনি ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। সেই সাথে চেকের উল্টো পিঠের পেজে আরো দুটি সিগনেচার করবেন। পাশাপাশি মোবাইল নাম্বারও লিখে দিবেন।
যদি টাকা প্রাপ্তা (রহিম মিয়া) হন, অর্থাৎ মূল মালিক নিজে না হন, তবে একাউন্ট হোল্ডার বা মূল মালিক যেভাবে অপর পেজে দুটি সিগনেচার করবে, ঠিক একই ভাবে টাকা প্রাপ্তাকেও দুটি সিগনেচার দিতে হবে উল্টো পাশে।
আপনার চেক যদি হারায়ে যায় | ব্যাংকের চেক বই হারিয়ে গেলে করণীয় |
আর যদি নতুন চেক বই লাগে | নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন |
আরো পড়ুন- এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম
চেক নিয়ে শেষকথা
চেক লেখার আগে উপরে উল্লেখিত সতর্কতা গুলো অবশ্যই একবার দেখে নিবেন। চেকের মধ্যে থাকা গ্রাহকের অংশ আপনি লিখুন আর না লিখুন, সেটা কোনো সমস্যা না। তবে লিখে রাখাটা ভালো। ব্যাংকের অংশের যে মূল চেক সতর্কতার সাথে পূরণ করুন, যেন ভূল না হয়ে যায়।
কোথাও যদি ভুল হয়ে যায়, তাহলে বার বার কলম ঘষার চেষ্টা করবেন না। তা একটানে কেটে আশে পাশে জায়গা থাকলে লিখে দিতে পারেন। ভালো হয় যদি প্রথমেই সব ঠিক করে ফেলেন কোথায় কি লিখবেন তা। এতে করে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। আর টাকার এমাউন্ট অংকে লিখলে অবশ্যই কমা দিবেন।
আরো পড়ুন- ডাচ বাংলা ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম জানুন
চেক পূরণ নিয়ে আরো পড়ুন
ইসলামী ব্যাংক | ইসলামী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম |
সোনালী ব্যাংক | সোনালী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম |
রুপালী ব্যাংক | রূপালী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম |
অগ্রণী ব্যাংক | অগ্রণী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম |
জনতা ব্যাংক | জনতা ব্যাংক চেক লেখার নিয়ম |
চেক ভিন্ন ব্যাংকে | এক ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংকে জমা দেয়ার নিয়ম |
হোম পেজে যেতে ক্লিক করুন bankline এ।