অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
বাংলাদেশে শূন্য ব্যালেন্সে অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম আজকাল সহজ হয়ে গেছে। এমন অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা লোকেদের যে কোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মধ্যে দিয়ে বিনামূল্যে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়৷
অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলোও তুলনামূলক সহজ। কারণ আপনাকে ব্যাংকে কষ্ট করে যেতে হচ্ছে না। কিন্তু, আপনি কিছু ব্যাংকে সমস্ত অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা গুলোর জন্য যোগ্য হবেন না। কিছু পরিষেবা সক্রিয় করতে আপনাকে ব্যাংক শাখায় যেতে হবে। আমি এই পোস্টে এটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত লিখেছি।
যাইহোক, Online bank account বা অনলাইনে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনার এবং আপনার মনোনীত ব্যক্তির (অর্থাৎ নমিনির) কিছু ডকুমেন্টস থাকতে হবে। বিশেষ করে ন্যাশনাল আইডি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
Table of Contents
যে ব্যাংকগুলিতে আপনি অনলাইনে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন
এখানে একটি তালিকা দেয়া হলো যে ব্যাংক একাউন্ট গুলো আপনি চাইলে ঘরে বসে খুলে ফেলতে পারবেন। যদিও কিছু ব্যাংকের একাউন্ট ব্যাংকে যাওয়া ছাড়া একটিভ হয় না, তবে হঠাৎ যদি আপনার একটি একাউন্ট খোলার দরকার হয় তবে এই ব্যাংক গুলো থেকে আপনি সুবিধা নিতে পারবেন।
এখানে ব্যাংক গুলোর নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি ব্যাংক গুলোর একাউন্ট করার যে নিয়ম আছে তার পোস্টের লিংক এই ব্যাংক গুলোর নামের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আপনারা চাইলে এই লিংকে ভিজিট করে এই ব্যাংক গুলোর একাউন্ট করার নিয়ম দেখে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি
অনলাইনে একাউন্ট করতে পারবেন এমন কিছু ব্যাংকের তালিকা
#১. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একাউন্ট
”ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড” বাংলাদেশে জনপ্রিয় ব্যাংক গুলোর মধ্যে একটি। সেলফিনের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনি এই ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খুব সহজেই খুলে ফেলতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ভিজিট করুন। আর সেলফিন এপ ডাউনলোড করার জন্য ক্লিক করুন Cellfin এ।
#২. সিটি ব্যাংক একাউন্ট
সিটি ব্যাংকের “এখনই” এপ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই তাদের ব্র্যাঞ্চে একটি একাউন্ট করে ফেলতে পারবেন। এছাড়া আরো বেশ কিছু সুবিধা আপনি এই এপে পেয়ে যাবেন।
একাউন্ট করার নিয়ম জানতে পড়ুন সিটি ব্যাংকের একাউন্ট খুলার নিয়ম। সিটি ব্যাংকের “এখনই” এপ ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখনই এপে।
#৩. সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একাউন্ট
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক “SIBL NOW” নামে একটি এপ চালু করেছে যেখান থেকে তাদের ব্যাংক একাউন্ট করা যাবে। পাশাপাশি আরো বেশ কিছু সুবিধা এখানে পাওয়া যাবে।
তাদের ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করার নিয়ম। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের “SIBL NOW” এপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন SIBL NOW।
#৪. সোনালী ব্যাংক একাউন্ট
সোনালী ব্যাংকের একটি মোবাইল এপ ”সোনালী ই-সেবা”, যেখান থেকে চাইলেই ঘরে বসে তাদের ব্যাংকে একটি একাউন্ট করা যাবে ও একাউন্ট কন্ট্রোল করা যাবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট করার নিয়ম। সোনালী ব্যাংকের মোবাইল এপ ”সোনালী ই-সেবা” ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন ই-সেবা লিংকে।
#৫. ইস্টার্ন ব্যাংক একাউন্ট
ইস্টার্ন ব্যাংকের নিজস্ব মোবাইল এপ “EBL SKYBANKING” থেকে তাদের ব্যাংকে একাউন্ট করা যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর সুবিধার্থে একটি পোস্টের লিংক খুব দ্রুত সংযুক্ত করা হবে। ইস্টার্ন ব্যাংকের নিজস্ব মোবাইল এপ “EBL SKYBANKING” ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন EBL SKYBANKING।
#৬. ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট
ডাচ বাংলা ব্যাংক তাদের মোবাইল এপ ”Nexus Pay” এর মাধ্যমে একাউন্ট করার সুযোগ দিচ্ছে। তাদের ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম। ডাচ বাংলা ব্যাংক তাদের মোবাইল এপ ”Nexus Pay” ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন Nexus Pay।
#৭. ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট
ব্যাংক এশিয়ার ওয়েব সাইট থেকে চাইলে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যাবে। তাদের একাউন্ট করার জন্য কোনো মোবাইল এপের দরকার হবে না।
ওয়েবসাইটে ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম। ব্যাংক এশিয়ার ওয়েব সাইট থেকে একাউন্ট করতে ভিজিট করতে পারেন ব্যাংক এশিয়ার এই লিংকে।
#৮. ব্রাক ব্যাংক একাউন্ট
ব্রাক ব্যাংকে একাউন্ট করতে পারবেন তাদের ওয়েব সাইট থেকে। ওয়েবসাইটে ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন ব্রাক ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম। ব্রাক ব্যাংকে একাউন্ট অনলাইনে করতে ভিজিট করতে পারেন ব্র্যাক ব্যাংকে এই লিংকে।
#৯. ন্যাশনাল ব্যাংক একাউন্ট
ন্যাশনাল ব্যাংক তাদের নিজস্ব মোবাইল এপ “NBL Account Now” এর মাধ্যমে একাউন্ট খোলার সুযোগ দেয়। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন ন্যাশনাল ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম। ন্যাশনাল ব্যাংকের নিজস্ব মোবাইল এপ “NBL Account Now” ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন NBL Account Now।
#১১. প্রাইম ব্যাংক একাউন্ট
ওয়েব সাইটের মাধ্যমে চাইলে প্রাইম ব্যাংকের একটি একাউন্ট করা যাবে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন প্রাইম ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম। প্রাইম ব্যাংকের একাউন্ট করার জন্য তাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করতে ক্লিক করুন প্রাইম ব্যাংকে এই লিংকে।
#১২. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক একাউন্ট
ওয়েব সাইটের মাধ্যমে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একাউন্ট করার সুযোগ রয়েছে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একাউন্ট ওয়েব সাইটের মাধ্যমে করার জন্য ভিজিট করুন এই লিংকে।
#১৩. ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক তাদের নিজস্ব মোবাইল এপ “FSIBL Cloud Banking” এর মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের একাউন্ট করার সুযোগ দেয়।
এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন এফএসআইবিএল ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম। ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোবাইল এপ “FSIBL Cloud Banking” ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন FSIBL Cloud Banking।
#১৪. সাউথ ইস্ট ব্যাংক একাউন্ট
সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নিজস্ব মোবাইল এপ “Express e-account” এর মাধ্যমে এই ব্যাংকে একটি একাউন্ট করা যাবে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন সাউথ ইস্ট ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম। সাউথ ইস্ট ব্যাংকের মোবাইল এপ “Express e-account” ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন Express e-account।
#১৫. আইএফআইসি ব্যাংক একাউন্ট
আইএফআইসি ব্যাংকে একাউন্ট তাদের ওয়েব সাইট থেকে ওপেন করা যাবে। ওয়েব সাইট থেকে একাউন্ট করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্ট করার সুবিধার্থে দ্রুত একটি পোস্টের লিংক সংযুক্ত করার চেষ্টা করবো।
#১৬. ঢাকা ব্যাংক একাউন্ট
ঢাকা ব্যাংক একাউন্ট করার সুযোগ পাবেন তাদের ওয়েব সাইট থেকে। তাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন ঢাকা ব্যাংকের এই লিংক থেকে। আপনার একাউন্ট করার সুবিধার্থে দ্রুত একটি পোস্টের লিংক সংযুক্ত করার চেষ্টা করবো।
#১৭. ইবিএল ব্যাংক একাউন্ট
ইবিএল এ ব্যাংক একাউন্ট তাদের ওয়েব সাইট থেকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে তারপর করতে পারবেন। তাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন ইবিএল ব্যাংক লিংক থেকে। আপনার একাউন্ট করার সুবিধার্থে দ্রুত একটি পোস্টের লিংক সংযুক্ত করার চেষ্টা করবো।
#১৮. ইউসিবি ব্যাংক একাউন্ট
ইউসিবি ব্যাংকে একাউন্ট তাদের নিজস্ব মোবাইল এপ “Uclick” থেকে করা যাবে। এই এপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন Uclick। আপনার একাউন্ট করার সুবিধার্থে দ্রুত একটি পোস্টের লিংক সংযুক্ত করার চেষ্টা করবো।
#১৯. আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট
আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট আপনি তাদের নিজস্ব মোবাইল এপ থেকে করতে পারবেন। এই এপ থেকে আরো বেশ কিছু সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
আল আরাফা ব্যাংক একাউন্ট অনলাইনে খোলার নিয়ম দেখতে পড়ুন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম। তাদের মোবাইল এপ “aibl i-Banking” লিংক থেকে ইন্সটল করতে পারবেন।
ব্যাংক ভিজিট ছাড়াই যে একাউন্ট গুলো চালানো যাবে
এখন আমি এখানে কিছু ব্যাংকের নাম বলবো। এখানে আপনি অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলার পর সব মৌলিক সুবিধাগুলো পাবেন ব্যাংকে যাওয়া ছাড়াই।
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL)
- সিটি ব্যাংক
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে
এবং আরো কিছু ব্যাংক।
ব্যাংক ভিজিট ছাড়া যে একাউন্ট গুলো একটিভ হবে না
কিছু ব্যাংক আছে যেখানে আপনি অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তবে অ্যাকাউন্ট খোলার পর ব্যাংকে নথি জমা দিতে হবে। অন্যথায়, অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় করা হবে না।
- সোনালী ব্যাংক (ব্যাংকে না গিয়ে ৩ মাস সার্ভিস পাওয়া যাবে, তারপর বন্ধ হয়ে যাবে)
- ইস্টার্ন ব্যাংক
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
ও আরো কিছু ব্যাংক।
অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট করতে যা যা লাগবে
ডকুমেন্টস: অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট করার জন্য খুব বেশি কাগজ পত্র দরকার হয় না। কিন্তু যে সকল কাগজপত্র সচরাচর বেশি দরকার হয় এবং বেশির ভাগ একাউন্ট করার সময় আপনার কাছে অবশ্যই থাকতে হবে এমন ডকুমেন্টস গুলো হলো:
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (স্ক্যান করা ছবি অথবা সরাসরি ছবি তুলতে হয়)।
- আবেদনকারীর এক কপি স্ক্যান করা ছবি (বেশির ভাগ সময় তা সরাসরি তুলতে হয়)।
- গ্রাহকের নমিনির এনআইডি কার্ড এর স্ক্যান কপি, মোবাইলে থাকতে হবে।
- নমিনির এক কপি ছবি, মোবাইলে থাকতে হবে।
এগুলোই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দরকার হয়। এছাড়া ব্যাংক ভেদে আরো কিছু ডকুমেন্টস দরকার হতেও পারে, তবে তা খুবই রেয়ার।
তাছাড়া আরো যা যা দরকার হবে:
- একটি মোবাইল বা কস্পিউটার থাকতে হবে।
- একটি মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে।
- ব্যাংকের এপ অথবা ব্যাংকের ওয়েব সাইটে ভিজিট করতে জানতে হবে।
সচরাচর এর বাইরে কিছু দরকার হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে হলেও হতে পারে।
আরো পড়ুন- ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
অনলাইনে একাউন্ট খুলতে গেলে যে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা আছে
অনেক সময় দেখা যায় যে আবেদনকারী একাউন্ট খুলতে পারছে না বা সব ঠিক থাকার পরও গ্রাহক একাউন্ট খুলতে পারছে না। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে কিছু কারণ আমি নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
- হতে পারে গ্রাহক কোনো তথ্য পূরণে ভুল করেছেন।
- আবার হতে পারে গ্রাহক একাউন্ট করার প্রকৃয়া জানে না অথবা বুঝতে পারছে না।
- অনেক সময় ব্যাংকের এপে অথবা ওয়েব সাইটে সিস্টেমেটিক ফল্টের কারণে গ্রাহকের একাউন্ট খুলার প্রকৃয়া ব্যার্থ হতে পারে। এখানে গ্রাহকের তেমন কিছু করার থাকে না।
- কোনো কোনো সময় সিস্টেম ব্যাংক কতৃক আপডেট হচ্ছে (একাউন্ট মেইনটেইন্যান্স ব্রেক চলে) এমন অবস্থায় থাকে। তখন গ্রাহক চেষ্ট করলেও তাদের সাইটে কিছু করতে পারবে না।
- আবার এমনও হতে পারে যে গ্রাহকের ডাউনলোড করা এপটি ওল্ড মডেল হয়ে গেছে, যা কাজ নাও করতে পারে।
- নেট কানেকশন ঠিক না থাকলেও সমস্যা হতে পারে।
এছাড়া আরো অনেক সমস্যা থাকতে পারে।
অনলাইনে একাউন্ট করতে সমস্যা হলে করণিয়
গ্রাহকের যদি অনলাইনে একাউন্ট করতে সমস্যা হয় তবে গ্রাহক যা করতে পারে:
- প্রথমে ইন্টারনেট কানেকশন ঠিক আছে কিনা চেক করে দেখতে পারে।
- একাউন্ট মেইনটেইন্যান্স ব্রেক দিলে গ্রাহক অপেক্ষা করে পরে চেষ্টা করতে পারে।
- ব্যাংকের এপটি যদি অনেক আগে ডাউনলোড করা হয়ে থাকে, অর্থাৎ এপটি যদি ওল্ড মডেল হয়ে থাকে তবে তা আপডেট করে নিতে হবে।
- একাউন্ট করার প্রকৃয়া না জেনে থাকলে তা উপরে দেয়া ব্যাংক তালিকা থেকে লিংকে ক্লিক করে পোস্টে ভিজিট করে জেনে নেয়া যেতে পারে। তাতে একাউন্ট করার প্রকৃয়া একাউন্ট করার আগে স্পষ্ট হওয়া যাবে।
- সকল তথ্য দেয়ার পর তা শেষে রিভিউ করার সুযোগ ব্যাংক গুলো দিয়ে থাকে। সেখানে রিভিউ করে তথ্য ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
- সমস্যা কি হচ্ছে তা বুঝতে না পারলে ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে কল করা যেতে পারে। তারা কাস্টমারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করে থাকে।
অনলাইনে একাউন্ট করার একটি উদাহরণ দেয়া হলো
অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
অনলাইনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনার যা যা লাগবে এবং একাউন্ট খোলার নিয়ম নিচে পর্যায়ক্রমে দেয়া হলো।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- নমিনির ছবি
- নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি
এখানে আপনার একটি সেলফিন অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যদি না থাকে, তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। সেলফিন অ্যাকাউন্টও সহজে খোলা যায়।
সেলফিন অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
- মোবাইল
- মোবাইল নম্বর
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র
প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সেলফিন অ্যাপ ব্যবহার করুন। অ্যাপটি প্লে-স্টোরে পেয়ে যাবেন।
আইবিবিএল অনলাইন অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
- সেলফিন অ্যাপ খুলুন এবং “Open Bank Account” অপশনে ক্লিক করুন।
- শাখা নির্বাচন করুন, পিতা ও মাতার নাম, বৈবাহিক অবস্থা, মাসিক আয়, আয়ের উৎস, পেশা, আপনার ঠিকানা, তারপর পরবর্তীতে ক্লিক করুন।
- আপনার অ্যাকাউন্টের প্রকার নির্বাচন করুন (যেমন সেভিং অ্যাকাউন্ট বা অন্যান্য প্রকার)।
- সেভিং অ্যাকাউন্টের জন্য, পরবর্তী ধাপে, আপনাকে নমিনির বিবরণ দিতে হবে। তার নাম, তার বাবা ও মায়ের নাম এবং ঠিকানা।
- তারপর আপনার ছবি আপলোড করুন (লাইভ ছবি তুলতে হবে) এবং নমিনির ছবি (সংরক্ষিত ছবি দেওয়া যেতে পারে)।
এখানে এটা সম্পন্ন হয়েছে। আপনি এটি বিদেশ থেকে খুলতে পারেন, তবে VPN কানেকশনের প্রয়োজন হতে পারে।
আরো পড়ুন- ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলা নিয়ে প্রশ্ন এবং উত্তর
আপনি বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন। তবে, এখানে আপনাকে বাংলাদেশী দূতাবাসের সাহায্য নিতে হবে। তাছাড়া, একটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ অ্যাকাউন্ট অনলাইনে খোলা যেতে পারে।
এখানে আমি আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলব, আইবিবিএল (ইসলামী ব্যাংক) ভালো। কারণ তারা বিস্তির্ণ সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আর তারা শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংক হওয়ায় যারা সুদকে এরিয়ে চলতে চান তাদের জন্য অন্য ব্যাংকের তুলনায় ভালো অপশন হতে পারে।
অবশ্যই। বাংলাদেশে এমন অনেক ব্যাংক আছে যারা আপনাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে। আপনি ব্র্যাঞ্চে না গিয়েই পুরো একাউন্ট এক্টিভেট করতে পারবেন এমন ব্যাংকও আছে। আপনার দরকার শুধু সেই ব্যাংক গুলো কোন গুলো তা বের করা। এই পোস্টে আমি এই বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আপনার যদি চেক বুক বা অন্যান্য ব্যাংক ইকুইপম্যান্ট দরকার হয়, তবে আপনাকে ব্যাংক ভিজিট করতে হবে। অনলাইনে একাউন্ট করলে আপনি চাইলে আপনার একাউন্ট ব্যাংকের এপ বা ওয়েব সাইট ব্যবহার করে কন্ট্রোল করতে পারবেন। এখানে এই অনলাইন কন্ট্রোলের কারণে আপনার চেক বুক বা অন্যান্য ইকুইপম্যান্ট দরকার নাও হতে পারে।
জ্বি, পারবেন। আপনার একাউন্ট অনলাইনে খুলার সময় আপনাকে কিছু অপশন শো করানো হবে, যেখানে আপনার কি চেক বুক বা কার্ড দরকার আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হবে। আপনার যদি তা দরকার হয় তবে আপনি তা সংগ্রক করার জন্য সহজেই সেখানে আবেদন জানাতে পারবেন।
আপনার সুবিধার্থে আমরা ব্যাংক একাউন্ট খুলার নিয়ম গুলো নিয়ে আলাদা আলাদা পোস্ট তৈরি করছি। সেই পোস্ট গুলোর লিংক উপরে দেয়া হয়েছে। পোস্ট গুলো পড়ে কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে বা আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্টে জানালে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আপনাকে সাহায্য করার। এছাড়া উক্ত ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে পারবেন।