বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিস্তারিত
এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী, ভাসমান উদ্যোক্তা এবং অনলাইন ভিত্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসাকে আরো সহজ এবং শক্তিশালী করা লক্ষে বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট চালু করেছে বিকাশ।
আমরা অনেক সময় দেখি যে কাস্টমার পার্সোনাল একাউন্টে টাকা পে করতে হেজিটেট ফিল করেন। কিন্তু আপনার যদি একটি বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট থাকে তবে দেখা যায় এই একাউন্ট আপনার সাথে আপনার কাস্টমারের একটি ভালো বন্ধন তৈরি করে, যেহেতু এই একাউন্ট পার্সন ভেরিফাই করার মাধ্যমে খোলা হয় তাই।
এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় পার্সোনাল একাউন্টের কম লিমিটের কারণে টাকা আদান প্রদানে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে আপনার যদি এই bkash personal retail account থাকে তবে আপনার কাস্টমার এক টাকা থেকে শুরু করে একটি নির্দিষ্ট লিমিট, যা পার্সোনাল একাউন্টের তুলনায় বেশি, পর্যন্ত টাকা পে করতে পারবে।
আবার ফিউচারে যদি bkash এখানে কিউআর কোড সিস্টেম নিয়ে আসে তবে দেখা যাবে কাস্টমার আরো সহজে সেটি স্কেন করেই টাকা পে করে দিতে পারছে। এছাড়া বিকাশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অফার দিয়ে থাকে যা আপনার জন্য আরো লাভজনক হতে পারে।
আজকের এই পোস্টে বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টের আরো কিছু সুবিধা, bkash personal retail account registration, এই একাউন্টের ট্রান্জেকশন লিমিট, চার্জ সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করা হবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
Table of Contents
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে, যা আপনি একটি সাধারণ একাউন্টে হয়তো পাবেন না। এই একাউন্টের সুযোগ সুবিধা গুলো ভোগ করার জন্য আপনাকে বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টের জন্য রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে, যেমন আপনাকে এই দেশের নাগরিক হতে হবে এবং আপনার বয়স ১৮ হতে হবে।
এছাড়া আপনাকে আপনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে হবে, যেমন আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ছবি, নমিনির তথ্য, ইত্যাদি। এগুলো দিয়ে আপনি বিকাশের ওয়েব সাইট থেকে খুব সহজে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন ঘরে বসেই।
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টের সুবিধাসমূহ
১. সেল্ফ রেজিস্ট্রেশন সুবিধা: আপনি যদি বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট খুলতে চান তবে আপনাকে এর জন্য কোনো এজেন্টের কাছে যাওয়ার দরকার হবে না। আপনি ঘরে বসেই পার্সনাল রিটেইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে পারবেন নিজে নিজে।
২. ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ: যেখানে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট করতে হলেও ট্ট্রেড লাইসেন্স লাগে, সেখানে এই বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট করতে এর দরকার হয় না।
৩. অনলাইন বা অফলাইনে পেমেন্ট সুবিধা: একজন পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হােল্ডারকে গ্রাহক তার বিকাশ অ্যাপ থেকে বা পেমেন্ট গেটওয়ে এবং পেমেন্ট লিংক ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন। আর নেট কানেকশন বা এপ না থাকলে *২৪৭# ডায়াল করে কাস্টমার পেমেন্ট করতে পারবেন।
৪. বিকাশের অন্যান্য একাউন্ট গুলোতে টাকা ট্রান্সফার সুবিধা: একজন পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হােল্ডার আরেকজন পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হােল্ডারকে অথবা বিকাশ এর অন্য যেকোনো মার্চেন্টকে ব্যবসায়িক প্রয়ােজনে টাকা পাঠাতে পারবেন।
একজন পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হােল্ডার, বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাপ অথবা বিকাশ এর অন্যান্য পেমেন্ট প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন, যা কিনা তার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও আরো বেশ কিছু সুবিধা আপনি উপভোগ করতে পারবেন বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টে। সরাসরি Personal retail account করার নিয়ম দেখুন।
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট করার শর্ত
বিকাশে পার্সনাল রিটেইল একাউন্ট করার জন্য কিছু শর্ত আপনাকে ফুলফিল করতে হবে। আসুন দেখে নেয়া যাক সেই শর্ত গুলো কি কি।
১. আপনাকে বাংলাদেশের একজন বৈধ নাগরিক হতে হবে। |
২. আপনার বয়স সর্বোনিন্ম ১৮ হতে হবে। |
৩. আপনার বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। |
৪. আপনাকে ক্ষুদ্র অথবা প্রান্তিক ব্যবসায়ী হতে হবে। |
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট করার নিয়ম
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট করার জন্য আপনাকে শর্ত পূরণ করার পাশাপাশি কিছু জিনিস সংগ্রহ করে রাখতে হবে যখন আপনি আপনার একাউন্টি খুলতে যাবেন তখন। তারপর যা যা করতে হবে তা নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো।
bkash personal retail account করতে যা যা লাগবে
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত আপনার একটি সিম যেখানে হয়তো আপনার নামে একটি বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলা আছে বা খুলবেন এমন একটি।
- এই সিমের মালিকানা যে আপনার তার একটি প্রুভ থাকতে হবে। *16001# ডায়াল করলে আপনাকে একটি ফিরতি ম্যাসেজ দেয়া হবে। আপনার কাজ হচ্ছে এর একটি স্ক্রিন শর্ট নেয়া। এটিই হচ্ছে সিমের মালিকানার প্রুভ।
- আপনার এনআইডি কার্ড। এই কার্ডের ফ্রন্ট সাইড এবং এবং ব্যাক সাইড উভয়ই ক্লিয়ার করে ছবি তুলে সংরক্ষণ করতে হবে।
- আপনার নমিনি যদি আপনার বাবা অথবা আপনার মা না হন, অর্থাৎ ন্যাশনাল আইডি কার্ডে নাম আছে এমন কেউ যদি না হন তবে আপনার নমিনিরও আইডি কার্ডের কপি আপনার দরকার হবে।
- এবং আপনার এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপনার ডিভাইসে সংরক্ষণ করতে হবে।
bkash personal retail account registration process
ধাপ ১: বিকাশের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন: আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ”bkash personal retail account“ লিখে সার্চ করলে প্রথমেই বিকাশের ওয়েবসাইটটি চলে আসবে। সেখান ক্লিক করলে আপনার সামনে পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত চলে আসবে। এখানে প্রথম দিকেই একাউন্ট খোলার লিংক পেয়ে যাবেন।
অথবা Personal retail account এ ক্লিক করেও ভিজিট করতে পারবেন।
ধাপ ২: নিয়ম শর্তাবলি মেনে আবেদন করুন: লিংকে ভিজিট করার পর আপনার কি কি দরকার হবে তা দেখে নিতে পারবেন। দেখে নেয়ার পর আপনাকে তাদের শর্তাবলির সাথে একমত হয়ে শর্তাবলির বক্সে টিক দিতে হবে এবং “আবেদন করুন” এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যেতে হবে।
ধাপ ৩: মোবাইল নাম্বার দিন এবং অপারেটর সিলেক্ট করুন: এখন আপনি যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আপনার একাউন্ট করতে চান তা দিন এবং নিচে আপনার অপারেটর কোনটি তা সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৪: ওটিপি দিন: মোবাইল নাম্বার দেয়ার পর নাম্বারে একটি ওটিপি আসবে, সেই ওটিপি টি দিন এবং নিচে থাকা ”নিশ্চিত করুন” এ ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আপনার পার্সোনাল ইনফর্মেশন দিন: পরের ধাপে ইংরেজিতে আপনাকে আপনার নাম, আপনার বাবা মায়ের নাম, স্বামি/স্ত্রির নাম, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, আপনার বার্থ ডেট, লিঙ্গ, পেশা, আয়ের উৎস, মাসিক আয়ের পরিমাণ, এই সব সিলেক্ট করার পর “এগিয়ে যান” অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৬: আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য দিন: নেক্সট পেজে আপনার ব্যবসার নাম, আপনার ব্যবসার ধরণ দিতে হবে। তারপর আপনার ব্যবসার ঠিকানাটি সতর্কতার সাথে দিতে হবে। কেননা আপনার ঠিকানায় আপনার নামে একটি চিঠি আসবে, যার মাধ্যমে আপনি এড্রেস ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
একটু নিচে আসলে একটি প্রশ্ন দেখতে পারবেন, সেখানে প্রশ্ন করা হবে, ”আপনার ব্যবসার মাধ্যম কি”। আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করে থাকেন তাহলে ”ফেসবুক”, ওয়েব সাইটের মাধ্যমে করলে ”ওয়েব সাইট”, আর অন্য কোনো ভাবে করলে ”অন্যান্য” দিন।
এখানে ”অন্যান্য” অপশন ছাড়া অন্য কোনো অপশন দিলে সেই মাধ্যমের লিংক সংযুক্ত করে দিতে হবে, যেমন ওয়েব সাইট হলে ওয়েব সাইটের লিংক। তারপর একটি মেইল এবং একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে যোগাযোগের জন্য এবং শেষে থাকা “এগিয়ে যান” এ ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যেতে হবে।
ধাপ ৭: নমিনির তথ্য দিন: আপনাকে অবশ্যই আপনার নমিনির তথ্য দিতে হবে। নয়তোবা আপনার একাউন্ট খোলার রিকুয়েস্ট রিজেক্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এই ধাপে আপনার নমিনির তথ্য ঠিক ভাবে দিন। আর তথ্য দেয়ার সময় নমিনির এনআইডি কার্ডের ছবি আপলোড করতে হবে না যদি নমিনি আপনার বাবা বা মা হয়ে থাকেন। নমিনির তথ্য দেয়ার পর “এগিয়ে যান” এ ক্লিক করুন।
ধাপ ৮: ডকুমেন্টস আপলোড করুন: এ পর্যায়ে আপনার ছবি, এনআইডি কার্ডের ফ্রন্ট এবং ব্যাক সাইড, আপনার সিমের মালিকানার প্রমান, এবং আপনার ওয়েব সাইট বা পেজ থাকলে সেটার একটা স্ক্রিন শর্ট নিয়ে আপলোড করতে হবে। এছাড়া আপনার ইউটিলিটি বিলের একটি কপি দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নাই। এরপর এগুলো ”জমা দিন”।
সিমের মালিকানা প্রুভ করার জন্য *16001# ডায়াল করলে আপনাকে একটি ফিরতি ম্যাসেজ দেয়া হবে। আপনার কাজ হচ্ছে এর একটি স্ক্রিন শর্ট নেয়া। এটিই হচ্ছে সিমের মালিকানার প্রুভ। পরে তা ডকুমেন্টস-এ আপলোড করতে হবে।
[এখন আপনাকে একটি অভিনন্দন বার্তা জানানো হবে, এবং আপনার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসবে যে আপনার জমা দেয়া তথ্য সফল ভাবে জমা হয়েছে, এবং আপনার আবেদন আইডি থাকবে। এখন তারা তা যাচাই করার জন্য সময় নিবে। কিছুক্ষণ সময় নেয়ার পর তারা একটি ম্যাসেজের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দিবে যে আপনার একাউন্ট এক্টিভ হয়ে গেছে।]
রেজিস্ট্রেশন স্ট্যাটাস চেক করার পদ্ধতি
যে পেজটিতে আপনাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে সেখানে স্ট্যাটাস নামে একটি লিংক দেয়া থাকবে, যেখানে ক্লিক করে আপনি আপনার বর্তমান স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এখানে আপনার মোবাইল নাম্বার এবং আপনার আবেদন আইডি দিয়ে “স্ট্যাটাস জানুন” এ ক্লিক করলে আপনার সামনে আপনার একাউন্টের বর্তমান অবস্থা চলে আসবে।
পিন সেটআপ সম্পন্ন করার নিয়ম
এরপর আপনাকে আপনার মোবাইল থেকে ডায়াল করতে হবে *247#, এরপর Activation mobile menu সিলেক্ট করার জন্য 1 দিয়ে Send দিতে হবে। তারপর আপনাকে ৫ ডিজিটের পিন সেট করতে হবে। পিন সেট করা হলে আপনার একাউন্ট এক্টিভ হয়ে যাবে। *247#>>1>>PIN. এটি ম্যাসেজ আসার ২৪ ঘন্টার মধ্যে করতে হবে।
এড্রেস ভেরিফিকেশন করার নিয়ম
এড্রেস ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার কাছে একটি চিঠি আসবে। সচরাচর ১-২ কার্যদিবষের মধ্যে আপনার চিঠি চলে আসবে। চিঠি খোলার পর সেখানে একটি কোড এবং একটি লিংক পাবেন। সেই লিংক অনুসরণ করে আপনি এড্রেস ভেরিফিকেশনের পেজে পৌছে যাবেন অথবা এই লিংকে ক্লিক করেও পৌছে যাবেন।
পেজে আসার পর আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার, বিকাশের কাছ থেকে পাঠানো কোড এবং আপনার জন্ম তারিখ বসিয়ে ”জমা দিন” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এখানে জমা দেয়ার পর আপনার একাউন্টটি পুরোপুরি ভেরিফাইড হয়ে যাবে এবং আপনার সামনে অভিনন্দন লেখা একটি ম্যাসেজ আসবে।
এপ থেকে লগইন করার নিয়ম
আপনার রিটেইল একাউন্টি পরিচালনা করতে প্রথমে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে বিকাশের ”bkash Merchant” এপ ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার পর এপ ওপেন করলে প্রথমে আপনার রেজিস্ট্রেশন করা নাম্বারটি দিতে হবে। নাম্বার দেয়ার পর আপনার নাম্বারে একটি ওটিপি আসবে, তা দিয়ে সাবমিট করতে হবে।
তারপর মার্চেন্ট নেম সেট করতে হবে। আপনি আপনার ইচ্ছা মতো একটি নাম সিলেক্ট করে এখানে সেট করতে পারবেন। অথবা আপনার ব্যবসার নামও দিতে পারেন।
তারপর আপনার একটি ভেলিড ই-মেইল দিতে হবে। দেয়া হলে Ok করবেন। এখন আপনার এপ ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। এখানে আপনাকে স্বাগতম জানানো হবে এবং নিচে থাকা ”শুরু করুন” এ ক্লিক করে এপটি ব্যবহার শুরু করতে পারবেন।
পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট ট্রান্জেকশন লিমিট
১. কাস্টমারের পেমেন্ট নেয়া যাবে দিনে ১ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা এবং প্রতি ট্রান্জেকশনে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা লেনদেন করা যাবে এবং সর্বোচ্চ মাসে ৩০০,০০০ টাকা। |
২. পার্সোনাল রিটেইল/মার্চেন্ট থেকে পার্সোনাল রিটেইল পেমেন্টের ক্ষেত্রে, দিনে ১০টি এবং মাসে ১০০টি লেনদেনে, পার ট্রান্জেকশনে ৫০০০ টাকা থেকে দিনে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ১০০,০০০ টাকা লেনদেন করা যাবে। |
৩. পার্সোনাল রিটেইল/মার্চেন্ট থেকে পার্সোনাল রিটেইল পেমেন্ট রিসিভের ক্ষেত্রে, পার ট্রান্জেকশনে যেকোনো লিমিট থেকে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা, দিনেও সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ১০০,০০০ টাকা। |
৪. পার্সোনাল রিটেইল থেকে যদি কাস্টমারকে পাঠাতে হয় তবে দিনে পাঠানো যাবে ৫ বার এবং মাসে ৩০ বার, পার ট্রান্জেকশনে সর্বোচ্চ ১০,০০০ এবং মাসেও ১০,০০০ টাকা সর্বোচ্চ পাঠানো যাবে। |
৫. এজেন্ট ক্যাশ আউট করা যাবে দিনে পার ট্রান্জেকশনে ২০,০০০ টাকা, এভাবে দিনে ৫ টা এবং মাসে ৩০ টা ট্রান্জেকশন। এভাবে মাসে সর্বোচ্চ ৩০০,০০০ টাকা ক্যাশ আউট করা যাবে। এটিএম থেকেও একই, কিন্তু কিউ ক্যাশ থেকে সর্বোনিন্ম ২০০০ টাকা এবং ব্রাক ব্যাংক থেকে সর্বোনিন্ম ২৫০০ টাকা ক্যাশ আউট করতে হবে। |
পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট চার্জ/ফি
লেনদেন ধরণ | চার্জ |
---|---|
গ্রাহকদের কাছ থেকে পেমেন্ট গ্রহণ | ফ্রি |
মার্চেন্ট পেমেন্ট রিসিভ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট থেকে পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট থেকে মার্চেন্ট | ফ্রি |
মার্চেন্ট পেমেন্ট, পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট থেকে পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট থেকে মার্চেন্ট (মার্চেন্ট প্লাস, মার্চেন্ট প্লাস লাইট এ অ্যান্ড বি, মাঝারি, ছোট এবং মাইক্রো) | ০.২০% |
সেন্ড মানি, পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট থেকে কাস্টমার | ৫/- |
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (পরবর্তী পর্ব) | ১.৩% |
আরো পড়ুন- বিকাশ একাউন্ট হ্যাক হলে করণীয়
ব্যবসায়িদের জন্য বিকাশের আরো দুই ধরণের একাউন্ট
১. bkash Agent Account | বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখুন |
২. bkash Marchant Account | বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখুন |
বিকাশের সকল পোস্টগুলো দেখতে bkash এ ক্লিক করুন।
পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের পূরোনো ১৭ ডিজিটের এনআইডি কার্ড দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করেছি। এখন হয়তো আপডেট ১৩ ডিজিটের এনআইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট করার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন করতে সমস্যা হতে পারে।
এর সমাধান হলো আপনাকে আপনার সিমের ইনফর্মেশন সিম অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে আপডেট করে নিতে হবে। তবেই আপনার সমস্যা সমাধান হতে পারে বলে আশা করা যায়।
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টে প্রতি লেনদেনের লিমিট হচ্ছে ৩০,০০০ টাকা।
একাউন্ট সফলভাবে খোলার সাথে সাথেই আপনি পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।
পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট থেকে আপনি বিকাশের যেকোনো গ্রাহককে সেন্ড মানি ফিচার ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে পারবেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চার্জ ও লিমিট প্রযোজ্য হবে।
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
এই আর্টিকেল লিখার আগে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে এখনো পার্সোনাল একাউন্টকে বিকাশ রিটেইল একাউন্টে ট্র্যান্সফার করা সম্ভব নয়।
পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টের পিন ভুলে গেলে একাউন্ট খুলতে ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি থেকে ১৬২৪৭ নাম্বারে কল করুন।
আরো পড়ুন- বিকাশের পিন ভুলে গেলে করণীয় জেনে নিন
একাউন্ট নাম্বার থেকে ১৬২৪৭ নাম্বারে কল করুন।
আরো পড়ুন- বিকাশ থেকে রকেটে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম
শেষকথা
বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা আছে। একজন পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হােল্ডার আরেকজন পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হােল্ডারকে বা বিকাশ এর অন্য যেকোনো মার্চেন্টকে ব্যবসায়িক প্রয়ােজনে টাকা পাঠাতে পারবেন।
একজন পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হােল্ডার, বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাপ অথবা বিকাশ এর অন্যান্য পেমেন্ট প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন, যা কিনা তার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
একজন পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হােল্ডারকে গ্রাহক তার বিকাশ অ্যাপ থেকে বা পেমেন্ট গেটওয়ে এবং পেমেন্ট লিংক ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন। আর নেট কানেকশন বা এপ না থাকলে *২৪৭# ডায়াল করে কাস্টমার পেমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়াও আরো বেশ কিছু সুবিধা আপনি উপভোগ করতে পারবেন বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টে।
আপনি চাইলেই নিজে নিজে বিকাশ রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবেন এবং ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই রেজিস্ট্রেশন করা যায়। সেই সাথে এটি দিয়ে অনলাইনে এবং অফলাইনে উভয় ক্ষেত্রেই আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন।
পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে আপনাকে বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে, যেমন আপনাকে এই দেশের নাগরিক হতে হবে এবং আপনার বয়স ১৮ হতে হবে।
এছাড়া আপনাকে আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনিয় তথ্য দিতে হবে, যেমন আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ছবি, নমিনির তথ্য, ইত্যাদি। এগুলো দিয়ে আপনি বিকাশের ওয়েব সাইট থেকে অনলাইনেই খুব সহজে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন ঘরে বসেই।
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনি আপনার একাউন্টি মোবাইল এপের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবেন। আপনার রিটেইল একাউন্টি পরিচালনা করতে প্রথমে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে বিকাশের ”bkash Merchant” এপ ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করার পর এপ ওপেন করলে প্রথমে আপনার রেজিস্ট্রেশন করা নাম্বারটি দিয়ে দিন। নাম্বার দেয়ার পর আপনার নাম্বারে একটি ওটিপি আসবে, তা দিয়ে সাবমিট করুন।
এছাড়া আপনার জেনে রাখা ভালো যে বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্টে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য বিভিন্ন চার্জ এবং লেনদেনের ব্যাপারে কিছু লিমিট আছে, যা এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।
বিকাশের অন্যান্য পোস্ট গুলো পড়তে পারেন
- সোনালী ব্যাংক ও বিকাশে টাকা লেনদেন করার নিয়ম
- বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- বিকাশে সিটি ব্যাংকের লোন পাওয়ার সহজ উপায়
- সহজে ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম
- আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- বিকাশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করার নিয়ম
হোম পেজে যেতে ক্লিক করুন bankline এ।