জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনার কি NID কার্ড নেই? ভাবছেন ভোটার কার্ড ছাড়া কিভাবে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন? এই ব্যাপারে জানতে পোস্টি সম্পূর্ণ পড়ুন।
এমনটা প্রাই হয় যে আমাদের ভোটার কার্ডে কোনো ভূল থাকায়, ভোটার কার্ড হাতে না পাওয়ায় বা এখনো ভোটার হিসেবে তালিকা ভূক্ত না হওয়ায় আমরা সেটি ব্যাংক একাউন্ট করতে ব্যবহার করতে পারছি না। তখন বিকল্প হিসেবে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট করার কোনো উপায় আছে কিনা তা খুজি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট কি খোলা যায়? যেহেতু ভোটার কার্ড দিচ্ছি না, তাই এর জন্য কি আলাদা কোনো প্রসেস আছে? বা এর সাথে অন্য কোনো ডকুমেন্ট কি দিতে হবে? সকল বিষয় আপনার সুবিধার্থে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
Table of Contents
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট কি করা যায়?
আপনি চাইলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট করতে পারবেন। ব্যাংক আপনার কাছ থেকে আপনার এনআইডি এর পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করে দিবে। তবে যদি হয় যে আপনি একজন ছাত্র ও আপনার এখনো ১৮ বছর হয়নি, তাই আপনার এনআইডি নেই, তাহলে জন্ম নিবন্ধন এর সাথে আপনার আরো কিছু ডকুমেন্টস দরকার হবে। কারণ আপনি তখন সরাসরি সেভিংস একাউন্ট করতে পারবেন না। এখানে আপনি একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস
যেহেতু আপনি একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট করার সুযোগ পাবেন। এর জন্য আপনাকে আপনার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এবং আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে। আপনার স্টুডেন্ট একাউন্ট করার সময় এই ডকুমেন্টস দরকার হবে।
অনলাইনে একাউন্ট করার সময় জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট করা যাবে কি?
আমরা সচরাচর দেখি যে অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট করার নিয়ম গুলো তে এনআইডি এর পরিবর্তে অন্য কিছু দেয়ার সুযোগ থাকে না। অর্থাৎ অনলাইনে অটোমেটিক সিস্টেম গুলোতে আপনাকে সচরাচর এনআইডি এর ছবি ছাড়া অন্য কিছু আপলোড করতে কোনো অপশন দেয় না।
এখন এই কারণে বলা যায় যে আপনি চাইলেই অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট করতে পারবেন না। যেহেতু এর কোনো সিস্টেম নেই। যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট করার প্রয়োজন পড়ে থাকে তবে আপনাকে আপনার নিকটস্থ ব্যাংক ব্র্যাঞ্চ অবশ্যই ভিজিট করতে হবে।
কোন কোন ব্যাংকে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট করা যাবে?
আপনি সব ব্যাংকেই আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট করার সুযোগ পাবেন। কেননা সব ব্যাংকই একাউন্ট করার জন্য এনআইডি বা এমন অন্য সকল আইডির যে কোনো একটি চেয়ে থাকে। যেহেতু জন্ম নিবন্ধনও একটি আইডি, তাই আপনি এটি দিয়ে সহজেই একটি একাউন্ট করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট করতে ব্যাংকে কি বলা লাগে?
আপনি খুব সহজেই আপনার জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন। এর জন্য কোনো প্রকার ঝামেলায় পড়তে হবে না।
আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, আপনার সকল ডকুমেন্টস সহ এবং জন্ম নিবন্ধন কপি সহ ব্যাংক ব্র্যাঞ্চে চলে যেতে হবে। সেখানে একাউন্ট করার সময় আপনার এনআইডি এর পরিবর্তে আপনার জন্ম নিবন্ধন তাদের কে সাবমিট করতে হবে।
সচরাচর আপনাকে অন্য কোনো আইডি বা এনআইডির কথা জিঙ্গেস করবে না। তবে যদি জিঙ্গেস করে তবে আপনার এনআইডি না থাকার কথা তাদের জানাবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
যেসব ব্যাংকে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট করা যাবে
সব ব্যাংকেই জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট করা যাবে। তবুও আমি কিছু ব্যাংকের একাউন্ট করার লিংক শেয়ার করছি, যেখানে আপনি একাউন্ট করার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খোলার নিয়ম
- সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট খোলার নিয়ম
- ব্যাংক এশিয়া একাউন্ট খোলার নিয়ম
- সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
- অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
- রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
শেষকথা
আপনি খুব সহজেই যেকোনো ব্যাংকে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে ব্যাংকের ব্র্যাঞ্চে যেতে হবে। যদি আপনি চান আপনার একাউন্ট আপনি অনলাইনে করবেন, তবে আপনি তা করতে পারবেন না। কেননা অনলাইন সিস্টেমে সচরাচর ভোটার কার্ড ছাড়া অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে একাউন্ট করার কোনো অপশন থাকে না। তাই আপনি এটি করতে পারবেন না।
অনলাইন ব্যাংকিং সম্পর্কে আরো জানুন।