বিদেশি মুদ্রায় দেশের ব্যাংকে আমানত রাখা যাবে

বিদেশে আয় করে সেদেশের মুদ্রা দেশের ব্যাংকগুলোতে আমানত হিসেবে রাখার সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সেচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট এফইপিডি থেকে জারি করা এক সার্কুলারে এমনটি জানানো হয়েছে।

ADVERTISEMENT

গত কয়েক মাস ধরেই ধারাবাহিক আলোচনায় রয়েছে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার বিষয়টি। হিসাবে দেখা যাচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ কর্মী বিদেশে গেলেও সে তুলনায় আশানুরুপ রেমিট্যান্স দেশে আসছে না। শোনা যায়, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে অবৈধ হুন্ডিতে পাঠাতে উৎসাহ বাড়ছে প্রবাসী কর্মিদের।

আবার অনেক প্রবাসীর অভিযোগ, তাদের আমানত বিনিয়োগের কোনো ভালো পরিবেশ দেশে এখন নেই। তাই অনেকেই বিদেশে তাদের অর্জিত অর্থ জমা রেখে দিচ্ছে।

ADVERTISEMENT

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রবাসীদের জন্য এমন সুযোগ দেয়া হলো। আশা করা হচ্ছে, এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নিয়মে রেমিট্যান্স খরা কিছুটা কাটবে।

নতুন নিয়মে প্রবাসী, দেশি বিদেশি এমনকি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানও ডলার কিংবা পাউন্ডসহ অন্য বিদেশি মুদ্রায় আমানত জমা করতে পারবেন দেশের ব্যাংক গুলোতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের ফরেন কারেন্সি (এফসি) একাউন্টের মাধ্যমে এসব ডিপোজিট সংগ্রহ করতে পারবে দেশের ব্যাংকগুলো। সেক্ষেত্রে মুদ্রাভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে মার্কআপ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করে নিতে হবে।

ADVERTISEMENT

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সারওয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এই উদ্যোগের ফলে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। গ্রাহকরা এখন দেশের ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা রাখলে বিদেশের চেয়েও বেশি সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আমানত ও মুনাফা বিদেশেও পাঠাতে পারবেন। তবে এফসি হিসেবে আমানত করা অর্থগুলো অবশ্যই বৈধভাবে বিদেশে অর্জিত অর্থ হতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এটি জানা গেছে, নতুন সুবিধা অনুযায়ী কোনো প্রবাসী চাইলে তার নিজের অথবা পরিবারের অন্য কারও নামে এফসি একাউন্ট খুলে ফরেন কারেন্সি জমা রাখতে পারবেন। মেয়াদ শেষে জমা থাকা ফরেন কারেন্সি দেশে ব্যবহার করা যাবে, চাইলে বিদেশেও নিয়ে যাওয়া যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রায় ১৩৩ কোটি ডলার। এটা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। অবশ্য পরের মাস অক্টোবরেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা ফিরে আসে। এই মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১৯৮ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।

ADVERTISEMENT

সব মিলে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর এই চার মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৬৮৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম।

আরো জানতে পড়ুন- Banking

ADVERTISEMENT

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *