এখন শিশুরাও খুলতে পারবে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট
বর্তমানে দেশের মানুষের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থরে লেখাপড়া করে এমন শিক্ষার্থীদেরও বিভিন্ন প্রয়োজনে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট প্রয়োজন হয়। ব্যাপক এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে এখন…
বর্তমানে দেশের মানুষের মধ্যে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থরে লেখাপড়া করে এমন শিক্ষার্থীদেরও বিভিন্ন প্রয়োজনে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট প্রয়োজন হয়। ব্যাপক এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে এখন বাংলাদেশের ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীরা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া মোবাইল ব্যাংক হিসাব খুলার সুযোগ পাচ্ছেন। মাসে ১০ বারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন তারা।
গত মঙ্গলবার ৩ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে। নির্দেশনাটি দেশের সকল মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সব স্থরের মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে অন্তর্ভুক্ত করতে এই সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসারে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ রেখে নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, এসব এমএফএস একাউন্ট খোলার সময় একাউন্ট খুলতে হলে ব্যক্তি এবং অভিভাবকের জন্মসনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এন্ট্রি করতে হবে। হিসাব খোলার জন্য অভিভাবকের এমএফএস হিসাব বাধ্যতামূলকভাবে লিংকড এমএফএস অ্যাকাউন্ট হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হবে। তাই অভিভাবকের এমএফএস হিসাবের সত্যতা নিশ্চিত করেই এ হিসাব খুলতে হবে।
এছাড়া পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবকের সম্মতি সাপেক্ষে এ এমএফএস একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতি গ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের মোবাইলে ওটিপি পাঠিয়ে সম্মতি নিতে হবে। এছাড়া এসব অ্যাকাউন্টে লেনদেনের ক্ষেত্রে হিসাবধারীর মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে লেনদেনের তথ্য অভিভাবককে জানাতে হবে ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের একটি ব্যবস্থা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এসব হিসাবধারী দৈনিক সর্বোচ্চ পাঁচটা লেনদেনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা এবং মাসে ১০ বারে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবে। ক্যাশ আউট করা যাবে দৈনিক সর্বোচ্চ পাঁচটা লেনদেনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা ও মাসে ১০ বারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা।
এদিকে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির (পিটুপি) হিসাবে দৈনিক সর্বোচ্চ পাঁচটা লেনদেনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা এবং মাসে ১০ বার লেনদেনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করা যাবে। পরিষেবা ও এডুকেশন ফি দেওয়া যাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩টা লেনদেনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা এবং মাসে ১০ বার লেনদেনে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া এসব একাউন্টে স্থিতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন- Banking News