যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা অসুবিধা

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ব্যাংকে যৌথ হিসাব খোলার নিয়ম প্রয়োজন হয় বা দরকার হয়। যেমন স্বামী স্ত্রী, বাবা ছেলে, মা ছেলে, দুই বন্ধু বা দুই জন ব্যাক্তি। এই রকম একাউন্ট গুলোই হল যৌথ ব্যাংক একাউন্ট।

ADVERTISEMENT

ব্যাংক একাউন্ট সাধারণত বিভিন্ন ভাবে খোলা যায় । আমরা প্রচলিত যে একাউন্ট গুলো খুলি, যেমন সেভিং একাউন্ট, কারেন্ট একাউন্ট, ফিক্স ডিপোজিট, ডিপিএস স্বল্প মেয়াদী আমানত একাউন্ট ইত্যাদি। এগুলোর মালিক চাইলে যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসরণ করে একাউন্ট করতে পারবেন।

ব্যাংকে যৌথ হিসাব খোলার নিয়ম সাধারন একাউন্ট খুলার নিয়মের তুলনায় একটু আলাদা। যৌথ নামে হিসাব খোলার সময় ব্যাংকারকে অন্য সাধারণ ব্যাংক একাউন্ট খোলার চেয়ে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সেই সাথে যারা এই হিসাবধারী হবেন তাদেরও অনেক কিছু বুঝে শুনে সিদ্বান্ত নিতে হয়, যেহেতু এই একাউন্টের মালিক এক জন নয়।

ADVERTISEMENT

যাই হোক, Joint account এর বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আছে যা এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সাথে যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টি আপনার জন্য উপকারে আসবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

যারা যৌথ একাউন্ট করতে পারবেন

প্রথমেই বলে রাখি যে, যৌথ ব্যাংক একাউন্ট হলো এমন এক ধরণের একাউন্ট যা সাধারণত একাধিক ব্যাক্তি মিলে খুলে থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ বা মাদ্রাশা এধরণের প্রতিষ্ঠান গুলো এই যোথ একাউন্ট করে থাকে।

ADVERTISEMENT

তবে অনেক সময় ব্যাক্তিদের মধ্যেও বিভিন্ন কারণে একটি যৌথ একাউন্ট খোলার দরকার হতে পারে। যেমন স্বামি স্ত্রি মিলে বা বাবা ছেলে মিলে একটি যৌথ একাউন্ট করতে পারেন।

যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

যৌথ ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে ভেরিফাইয়ের ব্যাপার বেশি, তাই যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্যও সাধারণ ব্যাংক একাউন্ট থেকে বেশি রুলস ফলো করতে হবে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে, যেমন: সকলের ভোটার কার্ড, কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য হলে সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্টস, ইত্যাদি। তারপর ব্যাংক থেকে হিসাব খোলার আবেদন পত্র, টিপি ও কেওয়াইসি ফর্ম পূরণ করে একাউন্ট করা যাবে।

যৌথ একাউন্ট করার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আগে থেকে জেনে রাখা ভালো। কেননা এর যেমন অনেক সুবিধা আছে, ঠিক তেমনি অনেক অসুবিধাও আছে। এই পোস্টের মাধ্যমে তার মধ্যে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। এছাড়া আরো ভালো হয় যখন একাউন্ট করতে ব্যাংকে যাবেন, তখন এব্যাপারে আরো বিস্তারিত ব্যাংক থেকে জেনে নিবেন।

ADVERTISEMENT

নিচে ভিন্ন ভিন্ন কারণে যৌথ একাউন্ট করার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কি কি ডকুমেন্টস দরকার হবে তা দেখে নিন।

আরো পড়ুন: ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি

যৌথ একাউন্ট খুলতে প্রয়োজনিয় কাগজপত্র

  • হিসাব খোলার আবেদন পত্র আবেদনকারী/ আবেদনকারীগণকে পূরণ ও স্বাক্ষর করতে হবে। এই আবেদন পত্র ব্যাংক সরবরাহ করবে।
  • টিপি ও কেওয়াইসি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এটিও ব্যাংক সরবরাহ করবে।
  • পরিচয় প্রদান কারী কর্তৃর সত্যায়িত আবেদনকারী/ আবেদনকারীগণের পাসপোর্ট সাইজের ছবি দুই কপি জমা দিতে হবে। সম্প্রতি তোলা ছবি হতে হবে।
  • ন্যাসনাল আইডি কার্ড/ বৈধ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স বা অন্য কোনো পরিচয় পত্রের অনুলিপি। যেখানে ব্যাক্তির ছবি থাকবে, এমন পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে।
  • ব্যাংকের যে কোনো চলতি/ সঞ্চয়ি হিসাব ধারী কর্তৃক পরিচিতি প্রদান করতে হবে। পরিচয় প্রদান কারীর হিসাবটি নিয়মিত হতে হবে এবং কমপক্ষে ৬ মাস ধরে এই একাউন্টে হিসাব পরিচালনা করতে হবে।
  • নমিনি ও নমিনিগণের বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। সেই সাথে আবেদন কারী কর্তৃক সত্যায়িত প্রত্যেকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  • হিসাব ঠিকানার স্বপক্ষে সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিল। যে কোনো ধরণের ইউটিলিটি বিল যেমন: বিদ্যুৎ, গ্যাস বা পানির বিল ইত্যাদি।
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
  • হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের অনুলিপি জমা দিতে হবে, যদি থাকে।

এগুলোই সচরাচর দরকার হয়ে থাকে একটি যৌথ একাউন্ট করার জন্য। এছাড়া প্রতিষ্ঠান ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টস দরকার হতে পারে যা নিচে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো।

ADVERTISEMENT

আরো পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রতিষ্ঠানটি ট্রাস্ট হলে

যদি ট্রাস্ট কর্তৃক আবেদন করা হয় তবে যা লাগবে।

  • ট্রাস্টের দলিল।
  • আবেদন পত্রে সকল ট্রাস্টির স্বাক্ষর থাকা লাগবে।

যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে

  • ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন লাগবে, প্রতিষ্ঠানের সিল এবং আবেদনকারীগণের স্বাক্ষর সহ।

এক্ষেত্রে দুটি রেজুলেশন লাগবে। যে রেজুলেশনের মাধ্যমে কমিটি পাস হয়েছে। অথবা শিক্ষা বোর্ডের কোনো রেজুলেশন যদি থেকে থাকে কমিটি পাশের, সেটি লাগবে। সেই সাথে একাউন্ট খোলার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে একটি রেজুলেশন লাগবে। এক্ষেত্রে সিলের প্রয়োজন হবে। প্রতিষ্টানের একটি গোল সিল এবং যাদের স্বাক্ষরে একাউন্ট পরিচালনা হবে তাদের পার্সনাল সিল তার পদবি সহ।

আর রেজুলেশন হলো প্রতিষ্ঠানের নামে যৌথ একোউন্ট খোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। এই ডকুমেন্টটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ক্যমিটি কতৃক নেয়া সিদ্ধান্ত ও সকলের স্বাক্ষর সহ একটি ডকুমেন্ট যা প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন বই নামে একটি বইতে লেখা হয়ে থাকে। এই রেজুলেশন বইয়েরই ফটোকপি যৌথ একউন্ট করার সময় সকল ডকুমেন্টের সাথে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

ADVERTISEMENT

একাউন্ট খোলার সময় সতর্কতা

একাউন্ট খোলার সময় একটি ইস্ট্রাকশন দিয়ে দিবেন যে, একাউন্টটি কি তিন জনের স্বাক্ষরে নাকি দুই জনের স্বাক্ষরে চলবে। এক্ষেত্রে সুবিধা হল একজন একাউন্ট হোল্ডার মারা গেলে আরেকজন একাউন্টটি পরিচালনা করতে পারবেন বা একজন অন্য কোথাও গেলে গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্তে আরেকজন একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে স্বাক্ষর দিতে পারবে।

যৌথ একাউন্ট করার ক্ষেত্রে আরো কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখা জরুরি। যেমন ধরুন আপনি যে ব্যক্তির সাথে যৌথ একাউন্ট খুলবেন সে ব্যক্তির সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন, আর্থিক লেনদেনে তার বিশ্বস্ততা কেমন, ইত্যাদি।

আরো পড়ুন- অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ADVERTISEMENT

যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা

একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট হল এক ধরনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যা একাধিক ব্যক্তির মালিকানার অনুমতি দেয়। এই অ্যাকাউন্ট আপনার এবং আপনার পরিবারের একসাথে ব্যাংকে আর্থিক এক্সেস পাওয়ার একটি সহজ উপায়।

এখানে সমস্ত অ্যাকাউন্টধারীদের লেনদেন দেখার অনুমতি দেওয়া হয়। যার কারণে স্কুল, কলেজ বা মসজিদ মন্দিরের মত প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট খুলার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। নিচে আরো কিছু সুবিধা দেখানো হলো:

  • প্রত্যেক একাউন্টধারীর এই তহবিলের সমান অ্যাক্সেস থাকে।
  • লেনদেন পরিচালনা করা সহজ হয়।
  • দৈনন্দিন খরচ পরিচালনা করতে কার্যকরভাবে সাহায্য করে।
  • অনেক ব্যাংক যৌথ অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত সুবিধা অফার করে, যেমন প্রতিটি অ্যাকাউন্টধারীকে ডেবিট কার্ড এবং চেক বই প্রদান করে।
  • আপনি একই সাথে আপনার আর্থিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন।
  • দুটি পৃথক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম গড় মাসিক ব্যালেন্স বজায় রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।
  • আপনি যদি কোনো কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য দূরে থাকেন তবে অন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডার অ্যাকাউন্টটির পরিচালনাভার নিতে পারেন।

যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার অসুবিধা

  • যদি কোনো এক অ্যাকাউন্টধারী সমস্ত অর্থ ব্যবহার করে ফেলে, তবে অন্যদের তা পুনরুদ্ধার করার কোন সুযোগ নেই।
  • একজন একাউন্ট ধারকের আর্থিক অবস্থা যৌথ অ্যাকাউন্টে থাকা অন্যান্য ধারকদের উপর প্রভাব ফেলে।
  • বিভ্রান্তি এবং মতবিরোধের সম্ভাবনা থাকে।
  • যদি যৌথ অ্যাকাউন্টধারীর অসদাচরণের কারণে যৌথ অ্যাকাউন্ট আইন দ্বারা বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়, তাহলে যৌথ অ্যাকাউন্টের অন্যান্য ধারকগণ তাদের নিজস্ব অর্থ অ্যাক্সেস পেতে সীমাবদ্ধ হতে পারে।
  • যদি যৌথ অ্যাকাউন্টধারীদের কারো ক্রেডিট রেটিং খারাপ থাকে, অন্যরা এর ফলে ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে পারে।

শেষকথা

মনে রাখবেন যে আপনি যদি আপনার স্বাধীনতা চান এবং অন্যদের সাথে আপনার আর্থিক যে বিবরণ তা ভাগ করতে না চান তবে আপনার যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত নয়। আর যদি প্রয়োজন হয় ব্যাবসায়িক বা প্রাতিষ্ঠানিক কারণে তবে আপনি যৌথ একাউন্ট খুলতে পারেন।

একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট আইনি লড়াইয়ের উচ্চ পরিমাণে ঝুঁকিতে থাকে যা আপনাকে আপনার নিজের তহবিল অ্যাক্সেসে সীমাবদ্ধ করতে পারে এমন পরিস্থিতিতে যখন একজন অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু হয় বা বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

আরো পড়ুন- ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

যৌথ ব্যাংক একাউন্টের ক্ষেত্রে হিসাব পরিচালনাকারীর যেকোনো একজনের পরিবর্তন কিভাবে করা যায়?

রেজুলেশন অনুযায়ি কিছু ব্যাক্তির নাম এ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য থাকবে। তাদের মধ্যে থেকে যেকোনো প্রয়োজনে নাম পরিবর্তন করতে চাইলে তা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সভায় এজেন্ডা ভূক্ত করে অনুমোদন করতে হবে । সকল সদস্যদের সম্মতির সিদ্ধান্ত রেজুলেশনে লিখে সবার স্বাক্ষর নিতে হবে। এরপর রেজুলেশনের কপি সংযুক্ত করে ব্যাংক বরাবর আবেদন করতে হবে ।

একাউন্ট কয়জনের স্বাক্ষরে চললে ভালো হবে?

অন্তত ২ জনের স্বাক্ষরে যদি একাউন্ট পরিচালিত হয় তবে যেকোনো বড় সমস্যায় সহজে সমাধান পাওয়া যায়। অনেক সময় একজনের ক্ষেত্রে হলে তার অনুপস্থিতিতে সমস্যায় পড়তে হয়।

একাউন্ট খোলার জন্য যে রেজুলেশন দরকার হয়, এই রেজুলেশনটা কি?

রেজুলেশন হলো প্রতিষ্ঠানের নামে যৌথ একোউন্ট খোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। এই ডকুমেন্টটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ক্যমিটি কতৃক নেয়া সিদ্ধান্ত এবং সকলের স্বাক্ষর সহ একটি ডকুমেন্ট যা প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন বই নামে একটি বইতে লেখা হয়ে থাকে। এই রেজুলেশন বইয়েরই ফটোকপি যৌথ একউন্ট করার সময় সকল ডকুমেন্টের সাথে ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় উভয় পক্ষকে কি উপস্থিত থাকতে হবে?

না, উভয় পক্ষকে যৌথ একাউন্ট খোলার সময় উপস্থিত থাকতে হবে না। তবে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর সহ প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস পাঠাতে হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে দরকার হতেও পারে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্যাংকের সাথে আগেই যোগাযোগ করে নিতে পারেন।

কোন কোন ব্যাংকে যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়?

বাংলাদেশে যেকোনো ব্যাংকে যদি আপনি যান তবে তারা আপনাকে একটি যৌথ একাউন্ট খুলে দিবে। আপনার শুধু দরকার হবে প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস, আপনার নিজের এবং অংশিদারের।

ইসলামী ব্যাংকে কি যৌথ একাউন্ট করা যাবে?

হ্যাঁ, যাবে। আপনি আপনার যৌথ একাউন্ট করার জন্য আপনার এবং আপনার অংশিদারের প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে চলে যেতে পারেন ইসলামী ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায়। সেখানে গিয়ে যদি আপনি আপনার একাউন্ট খোলার ব্যাপারে তাদের জানান তবে তারা আপনাকে প্রয়োজনিয় সহযোগিতা করবে।

একজন মারা গেলে জয়েন্ট একাউন্ট থেকে টাকা তোলা যাবে কি?

হ্যাঁ, তোলা যাবে। জয়েন্ট একাউন্টে ক্ষেত্রে যেহেতু একাধিক ব্যাক্তি একাউন্টের মালিক থাকেন, তাই একজনের অনুপস্থিতিতে আরেকজন একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন।

যৌথ হিসাব না পৃথক হিসাব ভালো?

এটি আসলে নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার একাউন্টে আপনার স্ত্রির এক্সেস থাকা উচিত বা আপনার সন্তানের এক্সেস থাকা উচিত, তা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তবে আপনার যৌথ একাউন্ট করা উচিত। এর প্রয়োজন মনে না করলে বা কোনো প্রকার রিস্ক থাকলে আপনার উচিত হবে একটি পৃথক হিসাব খোলা। আবার প্রতিষ্ঠান হলে যৌথ একাউন্ট করার দরকার হতেও পারে।

অন্য পোস্ট গুলো পড়ুন

ব্যাংকিং সম্পর্কে আরো পড়ুনব্যাংকিং
হোমে যেতে ক্লিক করুনbankline
ADVERTISEMENT

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *