ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস ২০২৩ সংক্রান্ত যাবতিয় তথ্যাদি
ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস সহ এই ব্যাংকের অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যক্রমের উপর সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে আলাদা অবস্থান। এই ব্যাংক খুবই সুনামের সাথে তাদের সকল প্রকার সেবা গ্রাহকদের মধ্যে বিতরণ করে আসছে। সেই সাথে শরিয়া ভিত্তিক হওয়ার কারনে অনেক মানুষ এই ব্যাংকের দিকে ঝুকে আছে।
যেহেতু IBBL ব্যাংকের শরিয়া বোর্ড আছে, তাই সুদ সংক্রান্ত সমস্যা এখানে কম। তাই যারা DPS করতে আগ্রহি তাদের জন্য এই ব্যাংক উত্তম হবে যে কোনো দিক থেকে। এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস এ থাকবে সাধারণ সেভিংস একাউন্ট অপেক্ষা বেশি লাভ। আপনি চাইলে বিভিন্ন মেয়াদে এটি করতে পারবেন, যেমন: তিন, পাঁচ, দশ ইত্যাদি বছর বা মাস মেয়াদে।
ইসলামী ব্যাংক এই ডিপিএস সিস্টেম চালু করেছে আরো আগেই। আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম এবং বিভিন্ন মেয়াদে ডিপিএস রেট কত তা সম্পর্কে জানতে চান তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এছাড়াও এর সুবিধা ও কিস্তির হার সহ আপনার অন্য সম্ভাব্য সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো এই পোস্টে। চলুন শুরু করি।
Table of Contents
ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস
ইসলামী ব্যাংকে আপনি যদি ডিপিএস করার জন্য আগ্রহি হন তাহলে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাসিক কিস্তিতে টাকা পরিষোধ করার মধ্যমে এই ডিপিএসটি পরিচালনা করতে হবে।
আপনি যদি এই নিয়ম অনুযায়ি তাদের সাথে ডিপিএস টি পরিচালনা করতে পারেন তবে মেয়াদ শেষে আপনাকে কিছু লাভ দেয়া হবে। তবে এখানে বিশেষ সুবিধা হলো ইসলামী ব্যাংক যেহেতু সুদের লেনদেন থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে এবং তাদের একটি শরিয়া বোর্ড আছে, তাই বাংলাদেশের ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের জন্য এই ব্যাংকের ডিপিএস সিস্টেম অন্যান্য ব্যাংকের সাধারণ ডিপিএস থেকে আলাদা এবং উত্তম হবে।
আরো পড়ুন- ঘরে বসে ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খোলার নিয়ম
Islami Bank DPS list
ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকার ডিপিএস সেবা চালু করেছে, যেখানে লাভ এবং অন্যান্য সেবা বিভিন্ন ফেক্টরের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আর এই ডিপিএস গুলো মূলত বিভিন্ন মেয়াদের হয়ে থাকে, যেমন: ৩,৫ বা ১০ বছর মেয়াদের। ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস গুলো হলো:
- মুদারাবা স্পেশাল সেভিংস (পেনশন) একাউন্ট।
- মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট।
- মুদারাবা মান্থলি প্রফিট ডিপোজিট একাউন্ট
- মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্ট
- মুদারাবা সেভিংস বন্ড
- মুদারাবা এনআরবি সেভিংস বন্ড একাউন্ট
- মুদারাবা হজ সেভিংস একাউন্ট
- ওয়াকফ ক্যাশ ডিপোজিট একাউন্ট
Islami Bank DPS rate & Duration
মুদারাবা স্পেশাল সেভিংস (পেনশন) একাউন্ট
মাসিক ১০০, ২০০, ৩০০, ৪০০, ৫০০, এভাবে করে ১০০০ বা ২০০০, ৩০০০ করে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। সময়কাল থাকবে ৩, ৫ ও ১০ বছর। যে কেউ এই একাউন্ট খুলতে পারবে। ডিপিএস রেট বা প্রোফিট রেট ১০ বছরে প্রায় ৭%, ৫ বছরে প্রায় ৬.৫% এবং ৩ বছরে প্রায় ৬%। এখানে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
একনজরে দেখে নিন:
ডিপিএস-এর মেয়াদ | মাসিক কিস্তি | মুনাফার হার |
---|---|---|
৩ বছর | মাসিক ১০০, ২০০, ৩০০, ৪০০, ৫০০, এভাবে করে ১০০০ বা ২০০০, ৩০০০ করে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। | ৬% |
৫ বছর | মাসিক ১০০, ২০০, ৩০০, ৪০০, ৫০০, এভাবে করে ১০০০ বা ২০০০, ৩০০০ করে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। | ৬.৫% |
১০ বছর | মাসিক ১০০, ২০০, ৩০০, ৪০০, ৫০০, এভাবে করে ১০০০ বা ২০০০, ৩০০০ করে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। | ৭% |
মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট
জমা করতে পারবেন ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। সময়কাল হবে ৫ এবং ১০ বছর। ডিপিএস রেট বা প্রোফিট রেট প্রায় ৫.৭% যা ৫ বছরের জন্য, এবং প্রায় ৬.৫% যা ১০ বছরের জন্য। যে কেউ এই হিসাব খুলতে পারবে। এখানে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
একনজরে দেখে নিন:
ডিপিএস-এর মেয়াদ | মাসিক কিস্তি | মুনাফার হার |
---|---|---|
৫ বছর | জমা করতে পারবেন ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। | ৫.৭% |
১০ বছর | জমা করতে পারবেন ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। | ৬.৫% |
মুদারাবা মান্থলি প্রফিট ডিপোজিট একাউন্ট
মিনিমাম ১০০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে উপরের দিকে যত বেশি আপনি জমা করতে পারেন। সময়কাল হবে ৩ ও ৫ বছর। যে কেউ খুলতে পারবে। ডিপিএস রেট বা প্রোফিট রেট ৫ বছরে প্রায় ৭.৫ %, ও ৩ বছরে প্রায় ৭%। এখানে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
একনজরে দেখে নিন:
ডিপিএস-এর মেয়াদ | মাসিক কিস্তি | মুনাফার হার |
---|---|---|
৩ বছর | মিনিমাম ১০০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে উপরের দিকে যত বেশি আপনি জমা করতে পারেন। | ৭% |
৫ বছর | মিনিমাম ১০০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে উপরের দিকে যত বেশি আপনি জমা করতে পারেন। | ৭.৫ % |
মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্ট
মিনিমাম জমা করার এমাউন্ট হচ্ছে ১০০০ টাকা। সময়কাল হবে ৩ ও ৬ মাস, ১, ২, ও ৩ বছর। যে কেউ খুলতে পারবে। ডিপিএস রেট বা প্রোফিট রেট ৩ মাসে প্রায় ৫.৫%, ৬ মাসে প্রায় ৫.৫%, এক বছরে প্রায় ৫.৬%, ২ বছরে প্রায় ৫.৮% এবং ৩ বছরে প্রায় ৬%। এখানে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
একনজরে দেখে নিন:
ডিপিএস-এর মেয়াদ | মাসিক কিস্তি | মুনাফার হার |
---|---|---|
৩ মাস | মিনিমাম জমা করার এমাউন্ট হচ্ছে ১০০০ টাকা। | ৫.৫% |
৬ মাস | মিনিমাম জমা করার এমাউন্ট হচ্ছে ১০০০ টাকা। | ৫.৫% |
১ বছর | মিনিমাম জমা করার এমাউন্ট হচ্ছে ১০০০ টাকা। | ৫.৬% |
২ বছর | মিনিমাম জমা করার এমাউন্ট হচ্ছে ১০০০ টাকা। | ৫.৮% |
৩ বছর | মিনিমাম জমা করার এমাউন্ট হচ্ছে ১০০০ টাকা। | ৬% |
মুদারাবা সেভিংস বন্ড একাউন্ট
ডিপোজিট করা যাবে ১০০০, ৫০০০, ২৫০০০, ৫০০০০, ১০০০০০, ৫০০০০০, ১০০০০০০ টাকা। সময়কাল হবে ৫ ও ৮ বছর। ব্যাক্তিগত নামে বা জয়েন্ট একাউন্ট হিসেবে খোলা যাবে। বিশেষ করে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য এই একাউন্ট খোলা যেতে পারে। ৮ বছরে ডিপিএস রেট বা প্রোফিট রেট প্রায় ৬% এবং ৫ বছরে প্রায় ৫.৭৫%। এখানে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
একনজরে দেখে নিন:
ডিপিএস-এর মেয়াদ | মাসিক কিস্তি | মুনাফার হার |
---|---|---|
৫ বছর | ডিপোজিট করা যাবে ১০০০, ৫০০০, ২৫০০০, ৫০০০০, ১০০০০০, ৫০০০০০, ১০০০০০০ টাকা। | ৫.৭৫% |
৮ বছর | ডিপোজিট করা যাবে ১০০০, ৫০০০, ২৫০০০, ৫০০০০, ১০০০০০, ৫০০০০০, ১০০০০০০ টাকা। | ৬% |
মুদারাবা এনআরবি সেভিংস বন্ড একাউন্ট
ডিপোজিট করা যাবে ২৫০০০, ৫০০০০, ১০০০০০, ২০০০০০, ৫০০০০০, এবং ১০০০০০০ টাকা। সময়কাল হবে ৫ ও ১০ বছর। একাউন্ট করতে পারবেন প্রবাশী বাংলাদেশিরা তাদের নিজেদের জন্য এবং তাদের নাবালক সন্তানদের জন্য। প্রডিপিএস রেট বা প্রোফিট রেট ১০ বছরে প্রায় ৬.৫% এবং ৫ বছরে ৫.৮%। এখানে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
একনজরে দেখে নিন:
ডিপিএস-এর মেয়াদ | মাসিক কিস্তি | মুনাফার হার |
---|---|---|
৫ বছর | ডিপোজিট করা যাবে ২৫০০০, ৫০০০০, ১০০০০০, ২০০০০০, ৫০০০০০, এবং ১০০০০০০ টাকা। | ৬.৫% |
১০ বছর | ডিপোজিট করা যাবে ২৫০০০, ৫০০০০, ১০০০০০, ২০০০০০, ৫০০০০০, এবং ১০০০০০০ টাকা। | ৫.৮% |
মুদারাবা হজ সেভিংস একাউন্ট
একাউন্টের সময়কাল হবে ১ থেকে ২৫ বছর। যে কেউ চাইলে একাউন্ট করতে পারবেন। ডিপিএস রেট বা প্রোফিট রেট প্রায় ৭%। এখানে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
ওয়াকফ ক্যাশ ডিপোজিট একাউন্ট
মিনিমাম ডিপোজিট করতে হবে ১০,০০০ টাকা। যে কেউ এই একাউন্ট করতে পারবে। ডিপিএস রেট বা প্রোফিট রেট প্রায় ৭%। এখানে ট্যাক্স যুক্ত হবে।
আরো পড়ুন- ইসলামি ব্যাংকগুলো কি ঘুরিয়ে সুদ খায়?
ডিপিএস এর কিস্তির হার
আপনাকে হিসাব খোলার সময়ই ডিপিএস এর কিস্তির হার জেনে নিতে হবে ও তা নির্ধারণ করতে হবে। সেই সাথে সময়ও নির্ধারণ করতে হবে। আপনার জন্য যে অপশন থাকবে:
- আপনি চাইলে ৫০০ (যা সর্বনিন্ম এমাউন্টও বটে) টাকার গুনিতক হিসাব করে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আপনার সুবিধা অনুযায়ি নির্ধারণ করে তা সঞ্চয় করতে পারবেন।
- ব্যাংকের RDS ও UPDS সদস্যরা চাইলে ১০০ টাকার কিস্তিতে হিসাব খোলার সুযোগ পাবেন।
হিসাবে খোলার আগে অবশ্যই কিস্তির হার এবং কতো বছর মেয়াদে করতে চান তা ঠিক করে নিন। সেই অপশনটাই বেছে নিন যে ডিপিএস টি আপনি সবসময় চালিয়ে যেতে পারবেন।
হিসাব খোলার যোগ্যতা
প্রতিটি ডিপিএস একাউন্ট খোলার জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতার মাপকাঠি আছে। আপনি চাইলেই যেকোনো একটি খুলে ফেলতে পারবেন না। তবে কিছু কমন যোগ্যতা সব ডিপিএস এর ক্ষেত্রেই এক। যেমন যারা ইসলামী ব্যাংকের অধীনে এই ডিপিএস খোলার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে:
- বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
- ১৮ বছরের প্রাপ্ত বয়ষ্ক হতে হবে।
- অপ্রাপ্ত বয়ষ্করা তাদের অভিভাবকের অধীনে চাইলে এই একাউন্ট করতে পারবে।
হিসাব খুলতে যা যা লাগবে
ডিপিএস একাউন্ট খোলার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্ট থাকতে হবে। এই ডকুমেন্টস গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- আগ্রহীর পরিচয় পত্র ( ভোটার কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট এর যে কোনো একটির কপি )।
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও আইডি কার্ডের ফটো কপি।
- অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে আগ্রহীর জন্ম সনদ। সাথে অভিভাবকের আইডি কার্ড এর ফটো কপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি।
এর বাইরেও আপনাকে প্রয়োজনে আরো কিছু ডকুমেন্টস ব্যাংক চাইলে দিতে হতে পারে।
ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস খোলার নিয়ম
আপনাকে আপনার নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে এবং ব্যাংক কর্মকর্তাকে বলতে হবে যে আপনি একটি ডিপিএস একাউন্ট খুলতে চান এখানে। ব্যাংক কর্মকর্তা আপনাকে একটি ফর্ম দিবে, যেটি আপনাকে পূরন করতে হবে। পূরণ করে ডকুমেন্টস সহ ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক আপনার নামে একটি ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করবে।
এক্ষেত্রে ব্যাংক আপনাকে প্রয়োজনিয় সকল সহযোগিতা করবে আপনার ফর্মটি পূরণ করার জন্য। তারা হয়তো নিজেরাই পূরণ করে দিবে সেটি। আপনাকে শুধু যেটি করতে হবে তা হলো, আপনি তাদের প্রয়োজনিয় ডকুমেন্ট গুলো সরবরাহ করুন। সেই সাথে আপনি কতো সময়ের জন্য এবং কতো মাসিক কিস্তির ডিপিএস খুলতে চান তা জানান।
আরো পড়ুন- আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস
এই ডিপিএস এর সুবিধা
- কোনো কারণে ডিপিএস হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে তা সহজে হস্তান্তর করা যাবে।
- সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যাক্তির যদি কোনো সেভিংস একাউন্ট থেকে থাকে তবে সেখান থেকে সয়ংক্রিয় ভাবে ডিপিএস এর কিস্তি পরিষোধ করা যাবে।
- ডিপিএস এর মেয়াদ শেষ হলে ব্যাক্তি যদি তা উত্তোলন না করে তবে তা অটোমেটিক ব্যাক্তির সেভিংস একাউন্টে জমা হয়ে যাবে।
- শরীয়া ভিত্তিক হওয়ায় যারা সুদের ব্যপারে চিন্তিত থাকেন তাদের জন্য একটি বেটার অলটারনেটিভ এটি।
- যে কেউ হিসাব খুলতে পারবেন যদি বাংলাদেশি হন।
আরো পড়ুন- ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য কোন ব্যাংক সবচেয়ে ভাল
বিস্তারিত জানতে ইসলামী ব্যাংকের হেল্প লাইন
- মোবাইল করুন 16259 বা 09611016259 এই নাম্বারে।
- মেইল করুন [email protected] এখানে।
ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
আপনি চাইলে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে আপনার ডিপিএস চালু করতে পারবেন।
বিশেষ কারন বশত নিদিষ্ট সময়ের আগে ইসলামী ব্যাংকে থাকা আপনার ডিপিএস ভাংগানো যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে লাভ কম পাওয়া যায়।
এটি ডিপিএস এর ধরণের উপর নির্ভর করে। যেমন মুদারাবা মান্থলি প্রফিট ডিপোজিট একাউন্টে ৭% এবং মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্টে ৬%।
এটিও ডিপিএস এর ধরণের উপর নির্ভর করে। যেমন মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্টে ৫.৭%, মুদারাবা মান্থলি প্রফিট ডিপোজিট একাউন্টে ৭.৫%, মুদারাবা স্পেশাল সেভিংস (পেনশন) একাউন্টে ৬.৫%, মুদারাবা সেভিংস বন্ড একাউন্টে ৫.৭৫% এবং মুদারাবা এনআরবি সেভিংস বন্ড একাউন্টে ৫.৮%।
সেই সাথে এটিও ডিপিএস এর ধরণের উপর নির্ভর করে। যেমন মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্টে ৬.৫%, মুদারাবা স্পেশাল সেভিংস (পেনশন) একাউন্টে ৭% এবং মুদারাবা এনআরবি সেভিংস বন্ড একাউন্টে ৬.৫%।
ট্যাক্স নির্ধারণ হয় আপনার একাউন্টের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ যে পরিমাণ প্রফিট আপনি পাবেন তার একটি পার্সেন্টেজ। এখানে ১৫% সচরাচর কেটে থাকে। তবে আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন তা হলে ১০% কাটা হবে।
ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করাকি হালাল না হারাম জানতে পড়ুন- ইসলামী ব্যাংকে চাকরি হালাল হা হারাম।
শেষকথা
ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস সুবিধা অন্যান্য ব্যাংকের সাধারণ ডিপিএস এর তুলনায় উত্তম। কেননা এই ডিপিএস বা অন্যান্য ব্যাংকিং সিস্টেম গুলো শরিয়া বোর্ড দ্বারা মনিটরিং করা হয়।
যদি অনেকে বলেন যে এই ব্যাংক পুরোপুরি সুদ মুক্ত নয়। তবে আলেমগণের মতে, যেহেতু এই ব্যাংক সুদ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করে তাই এটি অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় উত্তম ধরা যেতে পারে। তাই আপনার যদি ডিপিএস করতেই হয় তবে এমন একটি ব্যাংকে ডিপিএস করা তুলনামূলক ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে।
ডিপিএস সংক্রান্ত এখানে দেয়া সকল তথ্য ইসলামী ব্যাংকের সাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সময়ে সময়ে এবং সময়ের প্রয়োজনে ব্যাংক হয়তো তাদের ইনফর্মেশন আপডেট করতে পারে। সেক্ষেত্রে তথ্যের ভিন্নতা পেতে পারেন।
আমরা এখানে আপনাকে একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তবে আমরা আপনাকে উৎসাহিত করবো আরো ভালো করে জানার জন্য ব্যাংকের সরণাপন্ন হতে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের যে যোগাযোগ নাম্বার দেয়া হয়েছে সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন বা সরাসরি ব্যাংক ভিজিট করতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংকের অন্য পোস্টগুলো পড়ুন
- বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক লোন সংক্রান্ত যাবতিয় তথ্য
- সহজে ইসলামী ব্যাংকের চেক লেখার নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম
ক্যাটাগরি | ইসলামী ব্যাংক |
হোমে যান | bankline |
খুব সুন্দর করে বিস্তারিত বোঝানোর জন্য ধন্যবাদ।