বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম খুজছেন? এখানে দেখুন কিভাবে আপনি তা করতে পারবেন তার একটি বিস্তারিত আলোচনা।

ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং যেভাবে নিরাপদ করতে পারেন

অনেক সময় আমাদের বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তখন আমরা বুঝতে পারিনা কিভাবে তা করবো। তবে আপনি কিছু ব্যাংকে এই সুবিধাটি নিতে পারবেন। সব ব্যাংকে হয়তো এই সুবিধা পাবেন না যে তারা আপনাকে বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা দিবে।

যাই হোক, এই পোস্টে আমরা দেখবো বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কি, কোন কোন ব্যাংক আপনাকে বিদেশ থেকে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলার সুযোগ দেয় এবং একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ইত্যাদি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

যেসকল ব্যাংকে বিদেশ থেকে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন

১. ইসলামী ব্যাংকইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খোলার নিয়ম
২. সোনালী ব্যাংকসোনালী ব্যাংকের একাউন্ট খোলার নিয়ম
৩. সিটি ব্যাংকসিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
৪. ডাচ বাংলা ব্যাংক

এছাড়াও আরো অনেক ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারবেন। অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যাবে কিছু ব্যাংকের ওয়েব সাইট থেকে বা বিদেশে থাকা বাংলাদেশি দূতাবাসের সাহায্য নিয়ে।

যেমন আপনি বিদেশে বসে ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন এপ ব্যবহার করে একটি একাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন। আবার সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট করতে হলে আপনাকে দূতাবাসে যেতে হবে। দূতাবাস সচরাচর সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট সেবা দিয়ে থাকে।

ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবে

  • আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি লাগবে।
  • ২ কপি ছবি।
  • মোবাইল নাম্বার।
  • আপনার একজন নমিনি সিলেক্ট করতে হবে।
  • নমিনির আইডি কার্ড ফটোকপি।
  • নমিনির ২ কপি ছবি।
  • নমিনির মোবাইল নাম্বার।

বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিদেশ থেকে বাংলাদেশে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে, আপনাকে সাধারণত এই ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে:

#১. একটি ব্যাংক বেছে নিন: বাংলাদেশে এমন অনেক ব্যাংক আছে যেখানে আপনি চাইলে বিদেশ থেকে বসেই একটি একাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন। এমনই কোনো একটি ব্যাংক বেছে নিন।

#২. প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন: কিছু নথি দরকার হবে যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে ডকুমেন্টস হিসেবে একটি বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা, ঠিকানার প্রমাণ এবং আয়ের প্রমাণ ছাড়াও আরো কিছু নথি চাইতে পারে।

#৩. আবেদনটি পূরণ করুন: ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনটি সম্পূর্ণ করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ, যোগাযোগের তথ্য এবং আয়ের উৎস সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন। আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইনে ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে।

#৪. অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করুন: ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে আপনাকে অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করতে হতে পারে, যেমন রেফারেন্স বা ব্যবসায়িক নথি।

#৫. নথি নোটারাইজ করুন: কিছু নথি নোটারাইজ করা বা পাবলিক নোটারি বা দূতাবাস দ্বারা প্রত্যয়িত করা প্রয়োজন হতে পারে।

#৬. আবেদন জমা দিন: ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যক্তিগতভাবে বা অনলাইনে, হতে পারে ই-মেইলে, ব্যাঙ্কে আপনার সম্পূর্ণ আবেদন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন। দূতাবাসের মাধ্যমেও কিছু ব্যাংকের আবেদন জমা করা যেতে পারে।

#৭. অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার জন্য অপেক্ষা করুন: ব্যাংক আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট অনুমোদিত এবং সক্রিয় হয়েছে কিনা তা জানাতে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে ম্যাসেজ বা কলের মাধ্যমে।

মনে রাখবেন যে, বাংলাদেশে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য উল্লেখিত প্রয়োজনীয়তাগুলি ব্যাংক বা আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতেও পারে। তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতির সবচেয়ে আপ-টু-ডেট তথ্য পেতে সরাসরি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করাই ভাল। এর জন্য ভালো হয় আপনি ব্যাংকের নাম্বার অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে সেখানে সরাসরি যোগাযোগ করা।

আরো পড়ুন- বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিং

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।