ব্যাংকে সর্বোচ্চ ও সর্বোনিন্ম কত টাকা রাখা যায় দেখে নিন
ব্যাংকে সর্বোচ্চ কতো এবং সর্বোনিন্ম কতো টাকা রাখা যায় বিস্তারিত জেনে নিন এই পোস্ট থেকে।
ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়?
বাংলাদেশে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কতো টাকা রাখা যেতে পারে এমন কোনো নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ পরিমাণ নেই। অর্থাৎ আপনি কতো টাকা রাখবেন তা ব্যাংক কতৃক নির্দিষ্ট নয়। তবে টাকা রাখার বিষয়টি যদি হয় টাকা জমা করার, তাহলে কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক একটি একক লেনদেনে নগদ উত্তোলন এবং জমার পরিমাণের উপর সীমা আরোপ করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো এক ব্যাক্তির টাকার এমাউন্ট বেশি তোলার অনুমতি নেই। তাদের Bank account থেকে প্রতিদিন ১,০০,০০০ টাকা নগদ তোলা যাবে। এর থেকে বেশি তুলতে হলে ব্যাংককে আগে তা অবগত করতে হবে।
টাকা নগদ জমার ক্ষেত্রে ১০,০০,০০০ বা তার বেশি হলে সেক্ষেত্রে টাকার উৎসের ডকুমেন্টেশন ব্যাংকে জমা দিতে হবে। আপনার হিসাবের লেনদেনে যদি সন্দেহজনক কিছু থেকে থাকে, সেটি ১ টাকার লেনদেন হলেও তা শাখা বাংলাদেশ ব্যাংক-কে আলাদা ভাবে রিপোর্ট করবে এবং লেনদেনের সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার নিকট চাইবে।
এই লেনদেন হিসাবের তথ্য পরবর্তী মাসের ২১ তারিখের মধ্যে শাখাকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বরাবরে প্রেরণ করতে হয়। একে নগদ লেনদেন রিপোর্ট বলে।
সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ এমাউন্ট রাখা যেতে পারে এমন কোনও নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ নেই। তবে বড় লেনদেন বা ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ন্ত্রণ বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হতে পারে।
ব্যাংকে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়?
এটি আসলে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকের ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম এবং তাদের একাউন্টের ধরণের উপর নির্ভর করে। কোনো কোনো ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বোনিন্ম যে লিমিট তা হয় ৫০০ আবার কোথাও ১০০০, যে টাকা আপনার একাউন্টে থাকতেই হবে। কারেন্টের ক্ষেত্রে তা ১০০০ থেকে চার বা পাঁচ হাজারও হতে পারে। আবার স্টুডেন্ট একাউন্টের ক্ষেত্রে তা হতে পারে শুধু মাত্র ১০০ বা ২০০ টাকা।
ব্যাংক হিসাব নিয়ে আরো পড়ুন
- ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
- ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট আবেদন
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর জন্য আবেদন
- নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করার নিয়ম
- এক ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংকে জমা দেয়ার নিয়ম
- ব্যাংকের চেক বই হারিয়ে গেলে করণীয়