সেভিংস একাউন্টে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায় জেনে নিন
সেভিংস একাউন্টে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়? দশ লক্ষ, পঞ্চাশ লক্ষ, নাকি কয়েক কোটি মাত্র? এর নির্দিষ্ট গন্ডি কতো? নাকি এমন কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই? আসুন আপনার এই প্রশ্ন গুলোর…
সেভিংস একাউন্টে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়? দশ লক্ষ, পঞ্চাশ লক্ষ, নাকি কয়েক কোটি মাত্র? এর নির্দিষ্ট গন্ডি কতো? নাকি এমন কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই? আসুন আপনার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জেনে নেই আজকের এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত ভাবে।
সেভিংস একাউন্টে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়?
বাংলাদেশে একটি সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কতো টাকা রাখা যাবে এমন কোনো নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ পরিমাণ নেই। অর্থাৎ আপনি কতো টাকা রাখবেন Bank তা কখনো নির্দিষ্ট করেনি। তবে টাকা রাখার বিষয়টি যদি হয় টাকা জমা করার, তাহলে কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক একটি একক লেনদেনে নগদ উত্তোলন এবং জমার পরিমাণের উপর একটি সীমা আরোপ করেছে। যেমন, কোনো এক ব্যাক্তির টাকার এমাউন্ট বেশি একসাথে তোলার অনুমতি নেই। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিদিন ১,০০,০০০ টাকা নগদ তুলতে পারবেন। এর থেকে বেশি তুলতে হলে ব্যাংককে আগে তা জানাতে হবে।
টাকা নগদ জমার ক্ষেত্রে ১০,০০,০০০ বা তার বেশি হলে সেক্ষেত্রে আপনাকে টাকার উৎসের ডকুমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। হিসাবের লেনদেনে যদি সন্দেহজনক কিছু থেকে থাকে, সেটি ১ টাকার লেনদেন হলেও তা শাখা বাংলাদেশ ব্যাংককে আলাদা ভাবে রিপোর্ট করবে। এক্ষেত্রে লেনদেনের সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার নিকট চাইবে।
এই লেনদেনের হিসাবের তথ্য পরবর্তী মাসের ২১ তারিখের মধ্যে ব্যাংক শাখাকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বরাবরে প্রেরণ করতে হবে। একে নগদ লেনদেন রিপোর্ট বলে।
অবশেষে বলা যায়, বাংলাদেশে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা যেতে পারে এমন কোনও নির্দিষ্ট সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ নেই। তবে বড় লেনদেন বা টাকা রাখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ন্ত্রণ বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হতে পারে।
সেভিংস একাউন্টে সর্বনিম্ন কত টাকা রাখা যায়?
এটি আসলে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম এবং তাদের একাউন্টের ধরণের উপরও নির্ভর করে। কোনো কোনো ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বোনিন্ম যে লিমিট তা হয়তো ৫০০ আবার কোথাও ১০০০ টাকা।
দেখে নিন একটি সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনাকে আপনার প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে তা সাথে করে নিয়ে ব্যাংকের শাখায় চলে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনার একাউন্ট খোলার কথা তাদের জানালে তারা আপনাকে একটি ফর্ম দিবে। তারপর তা সতর্কতার সাথে আপনার ডকুমেন্ট অনুসারে পূরণ করতে হবে। অবশেষে আপনার ডকুমেন্টস এবং প্রাইমারি ডিপোজিট সহ আপনাকে আপনার ফর্মটি ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস
প্রয়োজনিয় ডকুমেন্ট | ডকুমেন্টের ব্যাখ্যা | |
---|---|---|
১ | একাউন্ট খোলার ফর্ম | এটি ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ডকুমেন্ট অনুসারে পূরণ করতে হবে নির্ভুল ভাবে। |
২ | পরিচয় পত্র | গ্রাহকের এনআইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স বা অন্য কোনো পরিচয় পত্র। চাইলে পাসপোর্টের কপিও দিতে পারেন। অর্থাৎ এমন সরকারী ভাবে পাওয়া আপনার পরিচয়পত্র দিলেই হবে। |
৩ | ছবি | সাম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি। ছবির পিছনে নিজের নাম স্বাক্ষর দিতে হবে। |
৪ | স্বাক্ষর | গ্রাহককে একাউন্ট খোলার ফর্মে তার স্বাক্ষর দিতে হবে। |
৫ | ইউটিলিটি বিলের কপি | এড্রেস ভেরিফিকেশনের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি। যেমন এটি হতে পারে গ্রাহকের মাসিক বিদ্যুতের বিলের কপি বা ওয়াসার বিল, যেখানে গ্রাহকের এড্রেস লেখা থাকে। |
৬ | সোর্স অফ ইনকামের ডকুমেন্ট | সোর্স অফ ইনকামের একটি প্রুফ ডকুমেন্ট দরকার হবে। গ্রাহক যেখানে কাজ করেন সেই অফিস থেকে সংগ্রহ করা বা তার এমন একটি মাসিক ইনকামের ডকুমেন্ট যা চেয়ারম্যান কতৃক সত্যায়িত করে নেয়া হয়েছে। |
৭ | নমিনির তথ্য | নমিনির এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন এবং তার এক কপি ছবি দরকার হবে। ছবির পেছনে নমিনির নিজস্ব স্বাক্ষর করা থাকতে হবে। |
৮ | প্রাইমারি ডিপোজিট | প্রাইমারি ডিপোজিট হিসেবে ৫০০ টাকা একাউন্টে জমা করতে হবে। |
এছাড়া ব্যাংক ভেদে আরো কিছু ডকুমেন্টস দরকার হলেও হতে পারে।
ব্যাংক হিসাব নিয়ে আরো পড়ুন
- ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
- ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট আবেদন
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর জন্য আবেদন
- নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করার নিয়ম
- এক ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংকে জমা দেয়ার নিয়ম
- ব্যাংকের চেক বই হারিয়ে গেলে করণীয়
- ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার ও কি কি