মেঘনা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ সুবিধা

বাংলাদেশে কার্ডের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড নিজেদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যতিক্রমী অফারগুলো যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাংকিং শিল্পে শিরোনাম হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও…

ADVERTISEMENT

বাংলাদেশে কার্ডের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড নিজেদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যতিক্রমী অফারগুলো যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাংকিং শিল্পে শিরোনাম হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও গ্রাহকের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার ফলে তা বাংলাদেশের গ্রাহকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এছাড়া গ্রাহকের ব্যবহারকে আরও উপভোগ্য করতে সব সময় নিয়ে আসছে কাঙ্ক্ষিত বেশ কিছু অফার, যা নতুন নতুন গ্রাহকের কাছেও আকর্ষণীয় করে তুলেছে তাদের কার্ডকে।

ADVERTISEMENT

মেঘনা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে আছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় অফার। যেমন বার্ষিক ফি সম্পূর্ণ বা আংশিক ছাড় সুবিধা। সঙ্গে থাকবে দুটি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড কোনো রকম বাড়তি চার্জ ছাড়াই। এটি ছাড়াও গ্রাহকেরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক ন্যূনতম লেনদেনের মাধ্যমে বা লেনদেনের বিপরীতে নির্দিষ্ট সংখ্যক পয়েন্ট জমা করে তা দিয়ে প্রথম বছরের পরে বার্ষিক ফি বা বিল সমন্বয় করতে পারবেন।

আরও আছে প্রথম বছরের জন্য শর্তযুক্ত ৫০ শতাংশ ক্যাশব্যাক অফার। দেশের সব পাঁচ তারকা হোটেল থেকে একটি কিনলে একটি সৌজন্যমূলক বুফে। একই ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন সারা দেশে প্রায় ৬০টির বেশি হোটেল এবং রেস্তোরাঁয়। আবার গ্রাহকেরা তাঁদের মেঘনা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো মোবাইল ওয়ালেটে যেমন বিকাশ, নগদ ইত্যাদিতে যেকোনো সময় টাকা নিতে পারেন কোনো প্রকার বাড়তি চার্জ ছাড়াই।

মেঘনা ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনের সঙ্গে খরচের সামঞ্জস্যের কথা চিন্তা করেই সারা বছর ধরে ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে থাকে। এতে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অনেক গুণ বেড়ে যায়, তাই তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কার্ড ব্যবহার করতে থাকেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে উল্লেখযোগ্য ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইন গুলো হচ্ছে, আড়ংয়ের সঙ্গে ৩০ শতাংশ, স্টার সিনেপ্লেক্সে ৫০ শতাংশ, স্টার কাবাবে ২৫ শতাংশ, ফুডপান্ডায় ৩০ শতাংশ এবং বুকস্টোরে ২৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক।

ADVERTISEMENT

গ্রাহকেরা মেঘনা ব্যাংকের স্মার্টপে প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোনো প্রকার বাড়তি টাকা না দিয়েই ক্রয়কৃত টাকার পরিমাণকে বিভিন্ন মাস ভেদে আংশিকভাবে পরিশোধের সুবিধা সুবিধা নিতে পারেন। এই স্মার্টপেতে বিপুলসংখ্যক শূন্য শতাংশ ইএমআই মার্চেন্ট এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে করে গ্রাহকেরা সব ধরনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্যেই।

এ ছাড়া মেঘনা ক্রেডিট কার্ডধারীরা ১০ হাজার টাকা বা ততোধিক পরিমাণ যেকোনো ক্রয়, কার্ড চেক বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার লেনদেনকে স্বল্প সুদে সমান কিস্তিতে বিভিন্ন মাস ভেদে পরিশোধের সুবিধা নিতে পারেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কমপ্লিমেন্টারি লাউঞ্জ অ্যাকসেস ও বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা নিশ্চিত করতে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ সেবা উপভোগ করতে পারবেন কোনো খরচ ছাড়াই।

মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড তার গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড এবং ডেবিট কার্ড অফার করে থাকে। প্রিপেইড কার্ড হচ্ছে, নগদ টাকা সঙ্গে না রেখে কেনাকাটা করার একটি নির্ভরযোগ্য এবং ঝামেলামুক্ত সহজ মাধ্যম। এটি রিচার্জেবল এবং যেকোনো মার্চেন্ট ও এটিএমে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ADVERTISEMENT

এই কার্ডটি সেসব গ্রাহকের জন্য আকর্ষণীয়, যাঁরা তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করতে পছন্দ করেন। কারণ, তাঁরা কার্ডে টাকা জমা করে তাঁদের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পাবেন।

অন্যদিকে মেঘনা ব্যাংকের ডেবিট কার্ড গ্রাহকেরা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারেন দেশের যেকোনো এটিএম থেকে, তাও সম্পূর্ণ ফ্রি বা বাড়তি কোনো চার্জ ছাড়াই।

প্রিপেইড ও ডেবিট কার্ড দেশে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে দেশের বাইরে একইভাবে ব্যবহারযোগ্য। এই কার্ডগুলো ব্যবহার করার সময় গ্রাহকেরা নির্বাচিত মার্চেন্টের কাছে ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক অফার উপভোগ করতে পারেন। সামগ্রিকভাবে মেঘনা ব্যাংকের প্রিপেইড ও ডেবিট কার্ডগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য একটি নিরাপদ এবং ব্যবহারিক পেমেন্ট সমাধান প্রদান করে থাকে।

ADVERTISEMENT

প্রযুক্তি ও গ্রাহক সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ক্ষেত্রেই মেঘনা ব্যাংক দেশের অনেক স্বনামধন্য ব্যাংকের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। যেমন ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যেকোনো সময় কার্ডের পিন তৈরি করার সুবিধা কোনো প্রকার চার্জ ছাড়াই যতবার খুশি ততবার। এছাড়া কল সেন্টার সুবিধা, যেখানে গ্রাহকেরা কোনো বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ২৪/৭ কল সেন্টার থেকে তাঁদের যেকোনো ধরনের সেবা পেতে পারেন।

সঙ্গে রয়েছে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের কার্ডগুলোর জন্য চমৎকার কিছু বৈশিষ্ট্য। যেমন স্ব-নিবন্ধনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করার সুবিধা। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো নিরাপত্তার কারণে তাঁদের কার্ড ব্লক করতে পারেন। লেনদেনের বিস্তারিত দেখতে পারেন এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) চ্যানেলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন।

অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে সেবা পাওয়ার জন্য রয়েছে একটি ডিজিটাল সেবা ডেস্ক। অন্য ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) থেকে ক্রেডিট কার্ড রিয়েল-টাইম পেমেন্ট গ্রহণের সুবিধাও আছে এতে।

মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড গ্রাহকদের জন্য একটি প্রিমিয়াম ক্রেডিট কার্ড অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য সর্বদাই চেষ্টা করে যাচ্ছে। সে জন্য সব সময় নিত্যনতুন আকর্ষণীয় সব সুবিধা দিয়ে আসছে তারা। যেমন স্বাগত উপহার, বার্ষিক ফি মওকুফ, বিভিন্ন ধরনের ইএমআই সুবিধা, ডিসকাউন্ট, কমপ্লিমেন্টারি বুফে বা ক্যাশব্যাক অফার, ইত্যাদি।

ADVERTISEMENT

ক্রেডিট কার্ডের বৈশ্বিক ও স্থানীয় ব্যতিক্রমী সুবিধা এবং ই-কমার্সের জন্য চিপ ও থ্রিডি সুবিধার বৈশিষ্ট্যগুলো গ্রাহকদের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি করছে। সঙ্গে উন্নত সব প্রযুক্তির প্রয়োগ ও গ্রাহকদের সন্তুষ্টির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মাধ্যমে মেঘনা ব্যাংক ব্যতিক্রমী ক্রেডিট কার্ড সেবা প্রদানকারী হিসেবে ক্রমশই গ্রাহকের বিশেষ আস্থাভাজন হয়ে উঠছে।

আরো পড়ুন- ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ সুবিধা

ADVERTISEMENT

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *