আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের একটি একাউন্ট খোলা এখন আরো সহজ। চাইলেই ঘরে বসেই করে ফেলতে পারবেন একটি একাউন্ট। Al arafah islami bank account opening প্রসেস গুলো ফলো করে এটা খুলতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমেই।
এটি একটি শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংক হওয়ায় অনেকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম খুজে থাকেন। যেহেতু প্রচলিত ব্যাংকে সুদের কারবার বেশি তাই বাংলাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এধরণের শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংকে দিন দিন তাদের আগ্রহ দেখাচ্ছে।
আলেমরা বলে থাকেন যে প্রচলিত ব্যাংকের তুলনায় এখানে যেহেতু সুদের কারবার এরিয়ে চলার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়, তাই আমাদের প্রয়োজনে এসকল শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকে একাউন্ট করার চেষ্টা করা উচিত।
যাই হোক, আজকের পোস্টে থাকবে আপনি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট কিভাবে অনলাইনে বা ঘরে বসে Al-Arafah islami bank online application process এবং সেই সাথে অফলাইনেও কিভাবে ওপেন করতে পারবেন তা। এছাড়া ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করার জন্য কি কি তথ্য প্রয়োজন হতে পারে, আর আপনার একাউন্ট ওপেন হতে কত সময় নিতে পারে, এ বিষয় গুলো সহ আরো কিছু প্রচলিত প্রশ্নের উত্তর।
Table of Contents
AIBL ব্যাংক একাউন্ট কতো উপায়ে খোলা যায়
আপনি যেমন ব্যাংকে গিয়ে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন আবার চাইলে আপনি ঘরে বসেও AIBL ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন তাদের মোবাইল এপ ব্যবহার করে। কিভাবে করবেন তা এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য মনস্থির করেন তবে আপনি প্রথমেই এখানে একাউন্ট করার জন্য প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস, যেমন: জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি, নমিনির তথ্য ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ব্যাংকের শাখায় চলে যেতে হবে এবং সেখান থেকে একাউন্ট খোলার ফর্ম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে প্রাইমারি ডিপোজিট সহ শাখায় জমা করে দিতে হবে। তারপর ব্যাংক আপনার কাছ থেকে হয়তো একদিন সময় নিবে এবং তারপর আপনার একাউন্ট চালু করে দিবে।
এখানে একাউন্ট করার জন্য প্রয়োজনিয় ডকুমেন্টস
আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে একটি একাউন্ট করার জন্য আপনার যেসকল ডকুমেন্টস দরকার হবে তা নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো।
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ জন্ম নিবন্ধন/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ইউটিলিটি বিলের কপি, যেমন: ওয়াসার বিল/ বিদ্যুৎ বিল/ গ্যাস বিল।
- ব্যাক্তির প্রফেশনের কোনো একটি ডকুমেন্ট যেখানে ইনকাম উল্লেখ থাকে।
- নমিনির এক কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
- ট্রেড লাইসেন্স (যদি ব্যবসায়ি হয়ে থাকেন)।
- একজন রেফারেন্স (যার মাধ্যমে আপনি এই ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে আসছেন)।
- এছাড়াও প্রয়োজনে অন্যান্য নথি দরকার হতেও পারে।
আরো পড়ুন- আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম
অনলাইনে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
Al-arafah islami bank apps
সর্বপ্রথম একাউন্ট ওপেন করার জন্য আপনার ফোনে গুগল প্লে-স্টোর থেকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের একটি এপ “aibl i-Banking” ইন্সটল করতে হবে। এপ ইন্সটল হয়ে গেলে এপটি ওপেন করবেন। পরবর্তি ধাপগুলো নিচে পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা হলো।
Al-Arafah islami bank account opening
১ম ধাপ
এপটি ওপেন করার পর অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বারটি বক্সে বসাতে হবে। মোবাইল নাম্বারটি বসানোর পর আপনি ”Send OTP” একটি অপশন পাবেন, সেখানে ট্যাপ করুন। ট্যাপ করার পর আপনার মোবাইল নাম্বারে ভেরিফিকেশনের জন্য একটি কোড আসবে।
একটু সময় নিতে পারে ওটিপি কোডটি আসার জন্য। আসলে আপনাকে মেনুয়ালি সেটা বসাতে হবে। ওটিপি কোডটি বসানোর পর “Verify” নামে একটি অপশন পাবেন নিচে, সেখানে ট্যাপ করুন।
২য় ধাপ
“Verify” অপশন ট্যাপ করার পর আপনার যে মোবাইল নাম্বার সেটি ভেরিফিকেশন “Successful” হবে। এরপর আপনার কাছে পারমিশন চাইবে মোবাইলের কিছু ফাংশন ব্যবহারের, সেগুলো ”Allow” করে দিন। পারমিশন এলাও করার পর একটি নির্দেশনার পেজ আসবে স্ক্রিনে। এখানে নির্দেশনা থাকবে, আপনাকে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ছবি তুলে আপলোড করতে হবে এবং আপনার সেলফি তুলে আপলোড করতে হবে।
সেই সাথে আপনার সিগনেচার ছবি তলে আপলোড করতে হবে।এরপর আপনার অ্যাকাউন্ট ইনফর্মেশন্স গুলি রিভিউ করা হবে। এগুলো পড়া হলে আপনি ”Start” এই অপশনে ট্যাপ করবেন।
ট্যাপ করার পর, এনআইডি এর জন্য “Front Side of NID” একটি অপশন থাকবে, এই অপশনে ট্যাপ করবেন। এখানে ক্যামেরা ওপেন হবে। এনআইডি কার্ডের ফ্রন্ট সাইড ছবি তোলা হয়ে গেলে এনআইডির উল্টা পিঠের জন্য “Back Side of NID” এই অপশনে ট্যাপ করুন।
৩য় ধাপ
এই অপশনে ট্যাপ করার পর ব্যাক সাইটের একটি ছবি তুলতে হবে। এনআইডি কার্ডের উভয় সাইট এবং আপনার ছবি আপলোড করা হয়ে গেলে ”Next” অপশনে ট্যাপ করবেন। নেক্সট অপশনে আসার পর আপনি আপনার এনআইডি কার্ডটির ইনফরমেশন দেখতে পাবেন। সেগুলো একটু চেক করে নিবেন।
তারপর আপনাকে একটি ই-মেইল বসাতে হবে। ইমেইল এড্রেস বসানোর পর আপনি আবারও নেক্সট অপশনে ট্যাপ করবেন। নেক্সট ট্যাপ করার পর আপনার ফটো আপলোড করতে বলা হবে, এবং এ বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দেয়া থাকবে।
এখানে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আপনার চারপাশে পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে। আপনার চেহারায় আলো আসতে হবে। ছবি তোলার সময় অবশ্যই চোখের পলক দুটি ফেলতে হবে। এখন পূনরায় নেক্সট অপশনে ট্যাপ করতে হবে। ।
নেক্সট স্টেপ করার পর আপনার ফটো আপলোড করা হলে আপনাকে আবারো নেক্সট অপশনে ট্যাপ করতে হবে।
৪র্থ ধাপ
পরের স্টেপে আপনার স্বাক্ষর বা সিগনেচারের একটি ছবি তুলে তা আপলোড করতে হবে। চাইলে আপনি সরাসরি স্বাক্ষর করতে পারবেন। আপনার মোবাইলে সরাসরি স্বাক্ষর করার জন্য ”On Screen Signature” এই অপশনে ট্যাপ করবেন। এখানে আপনি ম্যানুয়ালি একটি স্বাক্ষর দিয়ে দিবেন। শেষ হলে নেক্সট অপশনে ক্লিক করে পরের ধাপে যেতে হবে।
৫ম ধাপ
নেক্সট অপশনে ট্যাপ করার পর এখন আপনি আপনার ইনফরমেশন গুলো দেখতে পাবেন। আপনার নাম দেখতে, আপনার ইমেইল এড্রেস দেখতে পাবেন, আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের তথ্য গুলো দেখতে পাবেন।
এরপর অ্যাড্রেস অপশনে ক্লিক করে আপনার প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস বসাতে হবে। অ্যাড্রেস আপনার পার্মানেন্ট এড্রেস এর সাথে মিল হলে ”Same as present” এই অপশনে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর আপনার অ্যাড্রেসটি অটোমেটিক ইনপুট হবে অথবা আপনি চাইলে মেনুয়ালী বসাতে পারবেন।
এরপর “Occupation and income” এই অপশনটি সিলেক্ট করার পর আপনার পেশাটি বসাতে হবে। আপনার কাজ সিলেক্ট করার পর আপনার প্রতি মাসের ইনকাম কত তা আপনাকে বসাতে হবে।
বসানোর পড়ে, প্রতি মাসে আপনি কত টাকা ডিপোজিট করবেন তা আপনাকে বসাতে হবে।বসানোর পর আপনি প্রতি মাসে কত টাকা উইথড্র করতে পারেন তা আপনাকে বসাতে হবে। বসানোর পর আপনি পূনরায় সাবমিট অপশনে ট্যাপ করবেন।
৬ষ্ঠ ধাপ
সাবমিট অপশনে ট্যাপ করার পর আপনাকে আপনার নিকটস্থ ব্রাঞ্চ নামটি বসাতে হবে যেখানে আপনি একাউন্টটি খুলতে ইচ্ছুক। ব্রাঞ্চটির নাম বসানোর পর আপনাকে “Account type” এই অপশনে আপনার একাউন্টের ধরন সিলেক্ট করতে হবে। আপনি এখন শুধু মুদারাবা সেভিংস ডিপোজিট এই অপশনটি সিলেক্ট করতে পারবেন, বাকি অন্যগুলো যদি পরে তারা যুক্ত করে তাহলে ব্যাবহার করতে পারবেন।
এরপর আপনি প্রোডাক্ট অপশনে এই অপশনটি পূনরায় সিলেক্ট করার পরে আপনি আবারো নেক্সট অপশনে ট্যাপ করবেন। নেক্সট অপশনে আসার পর আপনাকে আপনার নমিনির নাম দিতে হবে। নমিনির নাম বসানোর পর আপনার নমিনির সাথে আপনার সম্পর্ক কি তা আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। সিলেক্ট করার পরে নমিনির জন্ম তারিখ বসাতে হবে। জন্ম তারিখ বসানোর পর ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন আপনি তা সাবমিট দিবেন।
আপনি ডকুমেন্টটি সিলেক্ট করার পর আপনার ডকুমেন্টের নাম্বারটি বসাতে হবে। ডকুমেন্ট নাম্বারটি বসানোর পর আপনি নেক্সট অপশনে ট্যাপ করবেন। ট্যাপ করার পর এখন আপনাকে নমিনির ফটো আপলোড করতে হবে। আপনার নমিনির ফটো আপলোড করবেন। আপলোড করার পর আপনি যে ডকুমেন্টটি সিলেক্ট করবেন আপনাকে এই ডকুমেন্টের ফটো আপলোড করতে হবে। আপলোড করার পর আপনি আবারো নেক্সট ট্যাপ করবেন।
৭ম ধাপ
নেক্সট অপশনে আসার পর আপনি পার্সেন্টেজ এই অপশনটি অন করবেন। শেয়ার অপশনে আপনি ১০০ রাখার পরেও চাইলে আরো নমিনি যুক্ত করতে পারবেন। আপনি ”+” আইকনে ক্লিক করার মাধ্যমে আরো নমিনি যুক্ত করতে পারবেন। আপনার নমিনি এড করার প্রয়োজন না হলে বা করা হয়ে গেলে আপনি আবারো সাবমিট অপশনে ট্যাপ করবেন।
সাবমিট অপশনে ট্যাপ করার পর আপনাকে জিঙ্গেস করা হবে যে আপনি কি শিওর কি-না আপনার নিউ অ্যাকাউন্ট ওপেন করার বিষয়ে। এরপর আপনি ’প্রসিড’ এই অপশনে ট্যাপ করার মাধ্যমে পরের ধাপে চলে যাবেন।
ট্যাপ করার পর প্রকৃয়াটি কিছু সময় নিতে পারে। আপনি একটু অপেক্ষা করবেন। কিছু সময় পরে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনি একটি ম্যাসেজ পাবেন আপনার মোবাইলে। আপনার একাউন্টটি অতিশিগ্রই ওপেন হবে এবং আপনি আপনার রিকুয়েস্ট সাকসেসফুল হবে। আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের তথ্যমতে, আপনি যে ডকুমেন্ট গুলো সাবমিট করবেন, আপনার তথ্যগুলো সবগুলো সাবমিট করার পর ৭ কর্ম দিবস সময় লাগবে একাউন্টটি ওপেন হতে।
আপনার একাউন্টটি ওপেন হলে আপনার আছে অবশ্যই একটি ম্যাসেজ যাবে ব্যাংক থেকে। আর হ্যাঁ, আপনার অ্যাকাউন্টের অধীনে ব্যাংকের কার্ড এবং চেক বই ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই আপনি যে ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করবেন আপনাকে এই ব্রাঞ্চে ভিজিট করতে হবে।
আরো পড়ুন- অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
Al-Arafah Islami bank online application process in a video
AIBL এর বিভিন্ন প্রকার ব্যাংক একাউন্ট
-
Al-Arafah Monthly Hajj Deposit
- Al-Arafah Termed Hajj Deposit
- Mudaraba Denmohor Deposit Scheme
- Mudaraba Shadhin Term Deposit
- Mudaraba Education Savings Scheme
- Cash Waqf Deposit Scheme(Term & Installment)
- Farmer & Freedom Fighters Account
- Al Wadiah Current Deposit (CD)
- Locker Account
- Monthly installment-based Marriage Savings Investment Scheme (MIS)
- Monthly Installment Based Term Deposit (ITD)
- Monthly Profit Based Term Deposit (PTD)
- Mudaraba (Special) Pension Deposit Scheme (MSPDS)
- Mudaraba Ahsan Deposit Scheme
- Mudaraba Ahsan Plus Deposit Scheme
- Mudaraba Aman Deposit Scheme
- Mudaraba Excellent Benefit Deposit Scheme
- Mudaraba Foreign Currency Deposit AC
- Mudaraba Probashi Kallyan Deposit Pension Scheme (MPDPS)
- Mudaraba Saving Ac- Garments Workers
- Mudaraba Savings Deposit (MSD)
- Mudaraba Short Notice Deposit (MSND)
- Mudaraba Somriddhi Benefit Deposit Scheme
- Mudaraba Term Deposit (MTDR)
- Pension Deposit Scheme (PDS)
- School Student (Minor) Mudaraba Savings Account
AIBL এর বিভিন্ন প্রকার একাউন্টের ডিটেইলস
Al Wadiah Current Deposit (CD) পরিচালনার নিয়ম
১. আল-ওয়াদীয়াহ্ চলতি হিসাব খোলার সময় পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি (পরিচয়দানকারী কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে), জন্ম নিবন্ধন/ জাতীয় পরিচয়পত্র, ওয়ার্ড কমিশনার কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ/ নিয়োগকর্তা প্রদত্ত পরিচিতিপত্র বা ব্যাংকের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে ।
২. শুধুমাত্র সুস্থ মস্তিস্ক এবং প্রাপ্ত বয়স্ক কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ একক বা যৌথনামে এবং যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, আর্থ-সামাজিক প্রতিষ্ঠান এই হিসাব খুলতে পারেন। নাবালক/ নাবালিকার নামেও তার পিতা/মাতা/আইনগত অভিভাবকগন এই হিসাব চাইলে খুলতে পারেন।
৩. ব্যাংকের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি/ চলতি হিসাব ধারকের পরিচিতিতে এই হিসাব খোলা যায় । আল-ওয়াদীয়া চলতি হিসাব খোলার জন্য গ্রাহককে ন্যুনতম টাকা ২০০০/- প্রাথমিকভাবে জমা দিতে হয় এবং ন্যুনতম স্থিতি টাকা-২০০০/- সহ প্রযোজ্য হারে ন্যুনতম সরকারী শূল্কের সমপরিমাণ টাকার স্থিতি সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যথায় ব্যাংক গ্রাহক প্রদত্ত চেক ফেরত দেয়ার অধিকার রাখে।
৪. একাউন্ট মেইনটেনেন্স ফি বাবদ ষান্মাসিক ভিত্তিক নির্দিষ্ট হারে চার্জ কর্তন করা হয়। আবার ব্যাংক গ্রাহকের হিসাব থেকে প্রয়োজনীয় খরচের টাকা কেটে নিতে পারবে। হিসাব ক্লোজ করার ক্ষেত্রে হিসাব বন্ধকরন চার্জ কর্তন করা হয়।
৫. হিসাবধারক অব্যবহৃত চেক বই ফেরত দিয়ে যথাযথ স্বাক্ষর এবং ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত চেকের মাধ্যমে যে কোন সময় হিসাবটি বন্ধ করে দিতে পারবেন।
৬. ব্যাংক লেনদেন চলাকালীন সময়ে একাধিক বার অর্থ জমাকরণ এবং ব্যাংক কর্তৃক সরবারাহকৃত চেকের মাধ্যমে টাকা উঠানো যাবে। সেক্ষেত্রে নেগোশিয়েবল ইনষ্ট্রমেন্ট এ্যাক্ট সংশ্লিষ্ট সকল ধারা প্রযোজ্য হবে।
৭. গ্রাহককে প্রথম চেক বইয়ের জন্য হিসাব খোলার আবেদন ফরমে ‘চেক বই ইস্যুর চাহিদাপত্র’ অংশটুকু পূরণ করতে হয়। পরবর্তী সময়ে চেক বইয়ে সরবরাহকৃত রিকুইজিশন স্লিপ এর মাধ্যমে নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করা যায়।
৮. চেক বই নেয়ার সময় চেক বইয়ের পাতা গুণে নিতে হয়। আর চেক বই নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করতে হয় যেন কোন চেক চুরি বা হারিয়ে না যায়। চুরি বা হারিয়ে যাওয়া কোন চেকের মাধ্যমে জালিয়াতি সংঘটিত হলে সেক্ষেত্রে ব্যাংক কোনোভাবে দায়ী থাকবে না।
৯. হিসাব ধারককে ব্যাংকে দেয়া নমুনা স্বাক্ষর অনুযায়ী চেকে স্বাক্ষর করতে হয়। নমুনা স্বাক্ষর পরিবর্তন করলে তা আগেই ব্যাংককে জানাতে হবে।
১০. ব্যাংক সকল হিসাবধারককে ভিন্ন ভিন্ন হিসাব নম্বর দিয়ে থাকে। হিসাবে নগদ টাকা কিংবা চেকের অর্থ জমা দেয়ার ক্ষেত্রে হিসাব নম্বর ও হিসাবধারীর নাম উল্লেখ করে জমাকারীকে যাথাযথ জমার রসিদ পূরণ করে নগদ টাকা বা চেক জমা দিয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যাংক অফিসারের স্বাক্ষর সম্বলিত সন্তোষজনক রসিদ সংগ্রহ করতে হয়। চেক জমা দেয়ার সময়ে চেকে আড়াআড়ি দাগ কাটতে হয়।
১১. চেকের টাকা উত্তোলন/ পরিশোধ বন্ধ রাখার বিষয়ে গ্রাহক কর্তৃক কোন নির্দেশ বা আইনগত বাধা থাকলে ব্যাংক সতর্কতার সঙ্গে তা নথিভূক্ত করতে হবে। উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত হিসাব পরিচালনা বন্ধ থাকবে।
১২. যেসব হিসাবে আদালতের ক্রোকাদেশ রয়েছে বা হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে যথাযথ আদালত এবং অন্য কোন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সে সমস্ত হিসাব পৃথকভাবে চিহ্নিত থাকবে। উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত হিসাব পরিচালনা বন্ধ থাকবে ।
১৩. ষান্মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে, অর্থাৎ বছরে দুবার গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক ব্যাংক হিসাব বিবরণী নিশ্চিতকরণ সনদ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। তবে দুবারের বেশী এ হিসাব বিবরণী নিতে হলে গ্রাহককে ব্যাংকের নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে ।
১৪. ব্যাংক প্রদত্ত চেকবইটি হারিয়ে গেলে বিষয়টি নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরীভূক্ত করবে। তারপর উহার সত্যায়িত কপিসহ হিসাবধারী ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট শাখায় উপস্থিত হয়ে একটি নতুন চেক বই ইস্যু করার জন্য লিখিত অনুরোধপত্র দাখিল করবে। কোন অবস্থাতেই হারোনো চেক বই-এর পরিবর্তে নতুন চেক বই গ্রাহক ছাড়া তৃতীয় ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা হবে না । উক্ত অনুরোধপত্রে প্রদত্ত স্বাক্ষর শাখা ব্যবস্থাপক কর্তৃক নিরীক্ষান্তে সঠিক প্রতীয়মান হলে তিনি নিজ স্বাক্ষরে সত্যায়িত করবেন । শাখার কোনো মূল্যবান গ্রাহকের ক্ষেত্রে শাখা ব্যবস্থাপক ব্যক্তিগতভাবে চেক হারানোর বিষয়ে সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হলে থানায় জিডি এন্ট্রির উপস্থিতির শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।
১৫. হিসাব ধারকের ঠিকানার পরিবর্তন হলে অবিলম্বে তা ব্যাংককে জানাতে হবে । ব্যাংক ডাকযোগে জমাকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। ডাকযোগে প্রেরিত কোন চিঠিপত্র/ইন্সট্রমেন্ট ইত্যাদি যথা সময়ে অথবা আদৌ বিলি না হলে ব্যাংকের উপর কোন দায়িত্ব বর্তাবে না।
১৬. কোনরূপ চুক্তি না থাকলে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির নামে পরিচালিত হিসাবের অন্তর্গত এক বা একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হলে প্রাপ্য অর্থ আইন ও বিধি মোতাবেক জীবিত নমিনী পেয়ে থাকে । উক্ত হিসাবের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো বিনিয়োগের টাকা ব্যাংকের পাওনা থাকলে জীবিত বা জীবিতগন তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে।
১৭. হিসাবধারীর নিকট ব্যাংকের কোন পাওনা থাকলে ব্যাংক হিসাবে রক্ষিত জমা স্থিতির উপর সাধারণ পূর্বশর্ত বা অন্যকোন ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রয়োগ করার ও তা প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের অধিকার সংরক্ষণ করে।
১৮. গ্রাহকের হিসাবে ব্যাংক সতর্কতার সাথে আকলন/বিকলন করে থাকে। ভূলবশত কোন অর্থ আকলিত/বিকলিত হলে ব্যাংক তা সংশোধন করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
১৯. সরকারী বিধি মোতাবেক উক্ত হিসাব থেকে যেকোনো কর/শুল্ক কর্তন করা হয়।
২০. ব্যাংক কোনোরূপ কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে যেকোন হিসাব বন্ধ করতে পারবে। এজন্য কোনো নোটিশ প্রদান করা হয়না।
২১. আদালত, সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্যকোন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদিষ্ট হলে ব্যাংক গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি হিসাব গ্রাহকের অনুমতি ব্যতিরেখে প্রদান করতে পারবে।
২২. মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও নীতিমালা, সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও দেশের বিদ্যমান অন্য কোন আইন অনুযায়ী গ্রাহক ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক যে কোন তথ্য যেকোনো সময় সরবারাহ করতে বাধ্য থাকবে।
২৩. ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানী আইনানুযায়ী ১০ বছর ও তদুর্ধ্ব মেয়াদ পর্যন্ত কোন হিসাবে লেনদেন না হলে সংশ্লিষ্ট হিসাবটি অদাবীকৃত হিসাবে গণ্য করে উক্ত হিসাবের স্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তর করে হয়ে থাকে।
২৪. উপরোক্ত নিয়মাবলী ছাড়াও হিসাব সংক্রান্ত যে কোন জটিলতার উদ্ভব হলে দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি বিধান অনুসারে নিষ্পত্তি হবে।
২৫. ব্যাংক যে কোন সময় এ হিসাব সংক্রান্ত যে কোন নিয়ামাবলী পরিবর্তন, পরিবর্ধন,পরিমার্জন, সংশোধন বা বাতিল করতে পারে এবং হিসাব ধারক তা মেনে চলতে একান্ত বাধ্য থাকবে ।
Al-Arafah Monthly Hajj Deposit পরিচালনার নিয়ম
১. একই ব্যক্তির নামে একাধিক হজ্জ্ব হিসাব খোলা যাবে।
২. মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে হজ্জ্ব হিসাবে লেনদেন বা জমা করা হবে ।
৩. জমাকারীর ঠিকানার কোন পরিবর্তন হলে তা দ্রুতই ব্যাংককে জানাতে হবে ।
৪. ১ বছর হতে বিশ বছরের মধ্যে হজ্জ্বব্রত পালনে আগ্রহী ব্যক্তিগণ কত বছরের মধ্যে তাদের হজ্জ্ব পালন করতে চান, সেটার উপর বেইজ করে বর্ণিত ছক অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে হজ্জ্বের টাকা জমা করতে হবে।
৫. হজ্জ্বের খরচ প্রতি বছরই প্রায় ৫% হারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই বছর বছর সম্ভাব্য জমার পরিমান পরিবর্তন হতে পারে। সম্ভাব্য জমার চার্টটি ব্রাঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
৬. কোন জমাকারী যদি পূর্ব নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই হজ্জ্ব সম্পাদনে আগ্রহী হন সেক্ষেত্রে তিনি ভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি তার হজ্জ এর হিসাবে সঞ্চয়ী হিসাবের মুনাফা হারে জমাকৃত টাকার সাথে ঐ বছর নির্ধারিত হারে হজ্জের টাকার অবশিষ্টাংশ জমা করে হজ্জ সম্পাদন করতে পারবেন।
৭. কোন জমাকারী কোন কারনে হজ্জ্ব ব্রত পালনে অপারগ হলে তিনি তার জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। পরবর্তীতে যখন চান তখন আবার হজ্জ্ব পালন করতে পারবেন।
৮. হজ্জ্ব একাউন্ট থেকে কোন টাকা উত্তোলন করা যায় না। তাই কোন চেকবই প্রদান করা হয় না।
৯. কিস্তি জমার ক্ষেত্রে ১২ কিস্তি তে বছর ধরা হবে। যেমন: ৫ বছর মেয়াদের জন্য ৬০ কিস্তি, ১০ বছর মেয়াদের জন্য ১২০ কিস্তির এবং ২০ বছর মেয়াদের জন্য ২৪০ কিস্তির প্রয়োজন হবে।
১০. কিস্তি প্রতিমাসের ৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। কিস্তির টাকা কেউ অগ্রীম দিতে চাইলে তা জমা দিতে পারবেন। তবে তা মাসিকওয়ারী কিস্তির জমার স্থিতির উপর হিসাব করে মুনাফা দেয়া হবে।
১১. যদি কোন জমাকারী পর পর তিনটি কিস্তির জমা না করেন তাহলে তার হজ্জ্ব একাউন্ট বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জমাকৃত কিস্তির উপর মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের রেটে মুনাফা দেয়া হবে। যদি পরপর ২টি কিস্তির বকেয়া থাকে, সে কিস্তি গুলোর টাকা পরবর্তীতে নিয়মিত কিস্তির সাথে জমা করলে একাউন্ট বলবৎ থাকবে। তবে এরূপ অনিয়ম এক বৎসরে দুবার বা মোট মেয়াদকালের মধ্যে পাঁচবার পুনরাবৃত্তি হলে সেই একাউন্ট বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।
১২. হিসাবটির মেয়াদ শেষে ব্যাংকের মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা যদি উক্ত বছরের হজ্জ্বের সর্বমোট খরচের থেকে কম হয় তবে বাকী টাকা এককালীন জমা করে হজ্জ্ব ব্রত পালন করা যাবে।
১৩. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণও উক্ত হজ্জ্ব একাউন্ট খুলতে পারবেন।
১৪. যদি কোন হজ্জ্ব একাউন্টধারীর মৃত্যু হয় তাবে তার উত্তরাধিকরার আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রমাণ দিয়ে জমাকৃত টাকা উঠাতে পারবেন।
১৫. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় হজ্জ্ব একাউন্ট সংক্রান্ত যে কোনো নিয়মাবলী পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন বা বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন এবং জমাকারী তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
Al-Arafah Termed Hajj Deposit পরিচালনার নিয়ম
১. যারা এককালীন মেয়াদী জমা রেখে ভবিষ্যতে ব্যাংকের মুনাফাসহ জমা সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে হজ্জ্ব পালন করতে চান, তারা আল-আরাফাহ এককালীন হজ্জ্ব জমা হিসাব খুলতে পারবেন।
২. যে ব্যাক্তি নিজে হজ্জ্ব পালন করতে চান, তার নিজের নামে অথবা যার হজ্জ্ব পালনের ব্যবস্থা করতে চান তার নামে, তাকে এককালীন হজ্জ্ব জমা হিসাব খুলতে হবে। নাবালকদের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবকগণ নাবালকের পক্ষে হিসাব খুলতে পারবেন।
৩. ৫ হতে ২৫ বছরের ভিতর হজ্জ্ব পালনে আগ্রহী ব্যক্তিগণ কত বছরের মধ্যে হজ্জ্ব পালন করতে চান, তার উপর ভিত্তি করে এককালীন টাকা জমা করবেন।
৪. মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে হজ্জ্ব হিসাবে জমা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এই প্রকল্পের প্রধান আকর্ষণ হল জমাকৃত টাকার উপর ৩ বৎসর মেয়াদী জমার ওয়েটেজ ভিত্তিক মুনাফার চেয়ে ০.১০ ভাগ বেশী ওয়েটেজ হারে মুনাফা প্রদান করা হয়ে থাকে।
৫. ছকে বিভিন্ন মেয়াদে এককালীন প্রয়োজনীয় জমার পরিমাণ ও প্রাক্কলিত খরচের হিসাব প্রকৃত মুনাফার অংক পরবর্তীতে কমবেশী হতে পারে।
৬. যিনি নিজে হজ্জ্বব্রত পালনের জন্য হিসাব খুলেছেন এমন ব্যক্তি কোন অনিবার্য কারণবশত হজ্জব্রত পালনে সক্ষম না হলে তিনি বদলা হজ্জের ব্যবস্থাও করতে পারবেন। আবার মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের হারে এবং নিয়মে মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা ফেরৎ পাবেন। যিনি নিজে হজ্জ্বব্রত পালনের জন্য হিসাব খুলেছেন তার মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীগণ যথাযথ প্রমাণ দিয়ে জমাকৃত টাকা উঠাতে পারবেন। তবে তারা মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের নিয়মে ও হারে মুনাফা পাবেন।
৭. অন্য লোকের নামে হজ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে হিসাব খোলা হয়েছে এক্ষেত্রে হজ্জ্ব হিসাবধারী কোন কারন বশত হজ্জ্ব পালন করতে অক্ষম হলে বা তার মৃত্যু হলে তার বদলা হজ্জ্ব করাতে হবে। কোন অবস্থায় হজ্জ্ব ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে জমাকৃত টাকা ব্যবহার করা যাবে না।
৮. কোন জমাকারী যদি পূর্ব নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই হজ্জ্ব সম্পাদনে আগ্রহী হন, তাবে তিনি তার এককালীন হজ্জ জমা হিসাবে মুনাফাসহ জমাকৃত টাকার সাথে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত টাকা জমা করে হজ্জ পালন করতে পারবেন।
৯. হিসাবের মেয়াদ শেষে ব্যাংকের মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা যদি উক্ত বছরের হজ্জ্বের সর্বমোট খরচের কম হয় তবে বাকী টাকা এককালীন জমা করে হজ্জ্ব পালন করা যাবে।
১০. মেয়াদ শেষ হলে কোন হিসাবে জমা ব্যাংকের মুনাফাসহ প্রকৃত খরচের বেশী হলে অতিরিক্ত টাকা জমাকারীকে ফেরৎ দিয়ে দেয়া হবে।
১১. এককালীন হজ্জ জমা হিসাবের জন্য নির্ধারিত একটি ফরম পূরণ করতে হবে।
১২. হজ্জ্বের খরচ প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। তাই বছর বছর সম্ভাব্য জমার মোট পরিমান পরিবর্তন হতে পারে। সম্ভাব্য জমার চার্টটি ব্রাঞ্চ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
১৩. হজ্জের প্রাক্কলিত খরচের মোট হিসাব শতকের ঘর পর্যন্ত পূর্ণ সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে।
১৪. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে এই একাউন্টটি খোলা যাবে।
১৫. এ প্রকল্পের আওতায় নাবালক বা শিশুর নামে হজ্জ হিসাব খোলা যাবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হিসাব মালিক মেয়াদান্তে হজ্জ্বব্রত পালনের জন্য টাকা উঠানোর পূর্বে তার পরিচয় সম্পর্কে ব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো একটি পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।
১৬. জমাকারীর নিদির্ষ্ট ঠিকানার পরিবর্তন হলে তা দ্রুতই ব্যাংককে জানাতে হবে ।
১৭. আমানতের অর্জিত মোট আয়ের উপর সরকারী নিয়মানুযায়ী কর/শুল্ক চার্জ করা হবে।
১৮. মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহক ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক যে কোনো তথ্য যেকোনো সময় সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
১৯. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় হজ্জ্ব একাউন্ট সংক্রান্ত যে কোনো নিয়মাবলী পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন বা বাতিল করার ক্ষমতা রাখে এবং জমাকারী তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
অন্যান্য ডিপোজিট স্কিম গুলোর ডিটেইলস পর্যায়ক্রমে যুক্ত করা হবে।
কেন আপনার আল আরাফায় একাউন্ট করা উচিত জানুন
বর্তমানে আমরা এমন যুগে বাস করি যেখানে আমাদের একটি ব্যাংক একাউন্ট খুবই দরকারী একটি জিনিস। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক গুলো সুদের কারবারের সাথে অতপ্রতভাবে জরিত, যা মুসলমানদের জন্য হারাম হিসেবে পরিগণিত।
এঅবস্থায় তাদের জন্য একমাত্র বিকল্প হিসেবে আছে ইসলামী ধারার ব্যাংক গুলো। যদিও অনেকে বলেন যে এই ব্যাংক গুলোও পুরোপুরি সুদ মুক্ত নয়। তবে যেহেতু এই ব্যাংক গুলো দেশে সুদের বিরুদ্ধে দাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং তাদের একটি শরিয়া বোর্ড থাকে যারা এই বিষয় গুলো মনিটরিং করে থাকে, তাই অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এই ব্যাংক গুলো খুব ভালো বিকল্প হতে পারে।
ইসলামী ব্যাংক গুলো বা আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক তাদের কাছে জমা অর্থ ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে গ্রহণ করে এবং ইসলামী শরীয়াহ সম্মতভাবে তা বিনিয়োগ করে থাকে। বিশেষ করে তারা হালাল পন্যে বিনিয়োগ করে।
তাই আপনার এই ব্যাংকে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রায়োরিটি দেয়া উচিত। সেই সাথে এখানে আরো কিছু ব্যাপার আছে যার কারণে আপনার এখানে একাউন্ট খোলা একটি ভালো ডিসিশন হতে পারে।
আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে আপনি চাইলে একাধিক নিয়মে ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ পাবেন। চাইলে ব্যাংকে গিয়েও একাউন্ট করতে পারবেন অথবা অনলাইনেও একটি একাউন্ট করতে পারবেন এবং অনলাইনে একাউন্ট পরিচালনাও করতে পারবেন বেশ কিছু কাজ।
আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম
তিন ভাবে আপনার আল আরাফা একাউন্ট চেক করতে পারবেন। যেমন:
- এসএমএস করার মাধ্যমে
- ব্যাংকের এপ ব্যবহার করে
- ব্যাংক ভিজিট করে
কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
How to do Al Arafah Islami Bank balance check?
“aibl i-Banking” এই এপটি যদি আপনার থেকে থাকে এবং এতে যদি আপনার একাউন্টটি এড করা থাকে তবে আপনি সহজেই এপটির হোম পেজ থেকে Balance লিখা অপশনের পাশে থাকে চোখ অপশন টি এনাব্যাল করে দিলেই আপনি আপনার ব্যালেন্স দেখতে পাবেন। অথবা আপনি চেক করতে পারবেন SMS এর মাধ্যামে। টাইপ করুন AIBL BAL <Account_No> এবং পাঠিয়ে দিন 26969 নাম্বারে।
ব্যাংকের এপটি কোথায় পাবো?
প্লে-স্টেরে “aibl i-Banking” লিখে সার্চ করলেই এপটি পেয়ে যাবেন।
আবেদন করার পর কত দিন সময় লাগে একাউন্ট রেডি হতে?
৭ কর্ম দিবস সময় লাগবে। এর পর আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
আরো পড়ুন
অনলাইন ব্যাংকিং | অনলাইন ব্যাংকিং বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরিতে যান | ব্যাংকিং |
হোমে যান | bankline |
আমি অনলাইনের
MD SOrif
ময়মনসিংহ জেলা পাগলা থানা ইউনিয় ন