সর্বজনীন পেনশন স্কিমের শরয়ী বিধান

প্রধানত চারটি শ্রেণিকে বিবেচনায় রেখে সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু করেছে সরকার। সেখানে আছে চারটি আলাদা স্কিম। এটি মূলত বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জন্য বিভিন্ন স্কিম করা হয়েছে। এদের সুবিধা গুলোও ভিন্ন…

ADVERTISEMENT

প্রধানত চারটি শ্রেণিকে বিবেচনায় রেখে সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু করেছে সরকার। সেখানে আছে চারটি আলাদা স্কিম। এটি মূলত বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জন্য বিভিন্ন স্কিম করা হয়েছে। এদের সুবিধা গুলোও ভিন্ন ভিন্ন। এই পৃথক ৪টি স্কিমগুলো হলো:

  • প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য “প্রবাস স্কিম”
  • বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য “প্রগতি স্কিম”
  • স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য “সুরক্ষা স্কিম”
  • স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য “সমতা স্কিম”

সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু হওয়ার পর অনেকে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে বলেছেন। আবার অনেকে এমন সিদ্ধান্তকে বিশেষভাবে স্বাগতও জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ এটি নিয়ে সংসয় জানিয়েছেন ধর্মিয় দিক থেকে। তাই সর্বজনীন পেনশন সুবিধা নিয়ে কথা বলেছেন ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

ADVERTISEMENT

গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট, ২০২৩) রাতে শায়েখের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, পৃথিবীর বহু দেশে অনেক আগে থেকেই সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চলমান আছে। ভালো খবর হলো, বাংলাদেশেও সর্বজনীন পেনশন ব্যাবস্থা চালু হয়েছে ইতমধ্যে। তাই মৌলিকভাবে এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।

তবে আমরা যে সরকার ঘোষিত সর্বজনীন পেনশনের রূপরেখার কথা শুনেছি, সেখানে প্রস্তাবিত স্কিমে সরকারকে সরাসরি টাকা দেওয়া হবে। যার পরিবর্তে পেনশনার যা পাবে তা হারাম আয় বলা যায়। কারণ, তাতে একই সাথে রিবা এবং গারার দুটোই বিদ্যমান আছে। প্রদানকৃত অর্থের চেয়ে বেশি ফেরত নেয়া, এটা স্পষ্ট সুদ।

আবার পেনশনার কখনো কখনো হয়তো কমও পেতে পারে। বলা যায় তা কনভেনশনাল বীমার অবিকল, যা ‘গারার’ এবং রিবা নির্ভর। অর্থাৎ, একজন নাগরিক নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত নির্ধারিত হারে নিয়মিত ফান্ডে অর্থ জমা দেবে, যার বিপরীতে শেষ বয়সে সরকার তাকে আমৃত্যু পেনশন দেবে। যাকে সারা বিশ্বের উলামায়ে কেরাম স্পষ্ট হারাম বলেছেন। সরকারি বন্ড, সঞ্চয় পত্র, পোস্ট সঞ্চয় এগুলো যেমন হারাম আয়, একই ভাবে এটিও তাই।

ADVERTISEMENT

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করে সেই অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার চুক্তি-তা সুদের মধ্যে পড়ে। এদেশের বেশিরভাগ মুসলমান সুদকে অপছন্দ করে থাকেন। এ কারণে কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর তুলনায় ইসলামী ব্যাংকসমূহে গ্রাহকদের ভিড় বেশি দেখা যায়।

এছাড়াও বর্তমানে কনভেনশনাল ব্যাংকগুলো গ্রাহক চাহিদার কারণে ইসলামী উইং খুলতে বাধ্য হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, সাধারণ স্কিমের পাশাপাশি সুদমুক্ত একটি স্কিম চালু করা উচিত সরকারের। যাতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। সুদমুক্ত স্কিম চালু করা মোটেও কঠিন বিষয় নয়। সরকার আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিলেই এটি সম্ভব হবে।

ইমলামীক ব্যাংকিং নিয়ে আরো পড়ুন

ক্যাটাগরিতে যানislamic banking
হোমে যানbankline
ADVERTISEMENT

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *