বিকাশে সিটি ব্যাংকের লোন পাওয়ার সহজ উপায়
আপনার কি একটি ইন্সটেন্ট লোন দরকার? ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুজছেন? আপনি যদি বিকাশ অ্যাপের ব্যবহারকারী হন তবে ঋণ এখন আপনার হাতে।
আপনার কি একটি ইন্সটেন্ট লোন দরকার? ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় খুজছেন? আপনি যদি বিকাশ অ্যাপের ব্যবহারকারী হন তবে ঋণ এখন আপনার হাতে।
সম্প্রতি বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে হাত মিলিয়েছে। তারা ঋণ ব্যবস্থাকে আগের চেয়ে সহজ করেছে বিকাশের মাধ্যমে। এবং এই Bkash Loan System এর নাম দিয়েছে “ডিজিটাল ন্যানো লোন“।
আপনি Bkash Loan System থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে পেতে পারেন সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত। অ্যাপের মাধ্যমে এই বিকাশ লোন পাবেন তিন মাসের জন্য। ভবিষ্যতে এর পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
তাহলে যারা লোন পাওয়ার উপায় খুজছেন তাদের জন্য Bkash Loan System এর বিস্তারিত থাকছে এই পোস্টে। যেমন আপনি এর জন্য যোগ্য হবেন কি না, সুদের হার, ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া এবং কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য।
Table of Contents
বিকাশ লোনের সুবিধা
শুরুতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা লোন পাওয়া যেত, যার পরিমাণ এখন সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা হয়েছে। যাই হো, অন্যান্য প্রচলিত উপায়ের চেয়ে বিকাশে ঋণ পাওয়ার উপায়টি বেশ সহজ। এর জন্য ব্যাংকে আপনার কোনও কাগজ জমা দেওয়ার দরকার নেই। এমনকি ঋণ পরিষোধ করতেও আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে না।
কোন প্রকার জামানত ছাড়া আপনি এই ঋণ পেতে পারেন। যদি সিটি ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট নাও থাকে, তবে তাতে কোনো সমস্যা নেই। এখানে বিকাশ সিটি ব্যাংকের সাথে আপনার NID এর সকল তথ্য শেয়ার করে নিবে। তাই এটা সত্যিই একটি বড় সুযোগ যদি আপনার ঋণের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
যারা বিকাশ লোন পাবেন এবং যারা পাবেন না
বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা
দুটি প্রধান শর্ত সম্পন্ন থাকলে আপনি বিকাশ থেকে লোন পেতে পারেন।
- আপনার বিকাশ একাউন্ট বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি (e-KYC) সম্পন্ন হলে।
- আপনি বিকাশ অ্যাপের একজন রেগুলার ব্যবহারকারী হলে।
আপনি যদি বিকাশের একজন নিয়মিত গ্রাহক হন এবং দির্ঘদিন লেনদেন করে থাকেন তবে আপনি এর জন্য যোগ্য হতে পারেন। সেই সাথে আপনার বিকাশ একাউন্ট অবশ্যই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন হতে হবে। এগুলো ঠিক থাকলে আপনার রেগুলার বিকাশ ব্যবহারের হার অনুযায়ি আপনার ঋণের পরিমান ঠিক হবে অটোমেটিকেলি।
যারা পাবেন না
বিকাশ ইউজারের একটি অংশ এই ঋণ পাবেন না। নিচে দেয়া হল কারা এই ঋণের জন্য যোগ্য হবেন না।
- যারা বিকাশ একাউন্ট করেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ও কেওয়াইসি (KYC) ফরম পূরণ করে, তারা এই ঋণ সুবিধা পাবেন না।
- যারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করেছেন ঠিকই, কিন্তু রেগুলার ইউজান নন। এ ধরনের গ্রাহকরাও এই ঋণের জন্য যোগ্য হবেন না এই মূহুত্বে।
সকল বিকাশ ব্যবহারকারী তাদের বিকাশ অ্যাপে লোন অপশন দেখতে পাবেন। তবে যা মনে হচ্ছে, এই মূহুত্বে গ্রাহকদের বড় একটি অংশ ঋণ পাবেন না এই শর্ত সমূহের জন্য।
বিকাশে লোন নেওয়ার নিয়ম
বিকাশ লোন সিস্টেম অটোমেটিকেলি গ্রাহকের তথ্য যাচাই করে তার লোন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। আপনি যদি ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হন তাহলে নিচে দেখানো উপায়ে আপনার ঋণ সংগ্রহ করতে পারবেন।
bkash loan system
- বিকাশ এপ ইউজার তাদের বিকাশ অ্যাপে ”More বা আরো” অপশনে যেতে হবে।
- তারপর “Loan বা লোন” আইকনটিতে ট্যাপ করতে হবে।
- ঋণ নিতে গ্রাহককে তার বিকাশকে দেয়া তথ্য সিটি ব্যাংককে দেয়ার সম্মতি দিতে হবে।
- এখানে গ্রাহক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঋণ হিসাবে কত টাকা পেতে পারেন তা দেখতে পারবেন। দেখে লোন নিন অপশনে ট্যাপ করতে হবে।
- এর পর লোন এর পরিমাণ এবং কিস্তির মেয়াদ সিলেক্ট করতে হবে।
- ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন নিচ্ছেন ও কত টাকা পরিশোধ করতে হবে তা দেখিয়ে দিবে। এগিয়ে যান বাটনে ট্যাপ করে পরের ধাপে যেতে হবে।
- লোনের নির্দেশনা ও নিয়মাবলী পড়ে নিয়ে “সম্মতি দিন” এ ট্যাপ করতে হবে।
- লোন কনফার্ম করতে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টের পিন প্রদান করতে হরে।
- শেষ বারের মতো বিকাশ আইকনে ট্যাপ করে প্রকৃয়া সম্পন্ন করতে হবে।
এই ঋণে প্রযোজ্য সুদ ও অন্যান্য বিধি বিধান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পালন করা হবে। বাংলাদেশে আরো কারা অনলাইনে লোন দেয় জানতে পড়ুন ”অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়” এই পোস্টি।
বিকাশ ঋণে সুদের হার
এই ঋণের সুদের হার বছরে ৯ শতাংশ। বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকের জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। সে অনুসারে এটা বিকাশের জন্যও একই হবে। দৈনিক সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে গণনা করা হবে। সুতরাং, আপনি যদি নির্ধারিত তারিখের আগে ঋণ পরিশোধ করেন, তাহলে আপনার সুদের পরিমাণ কম হবে।
কিস্তির মেয়াদ
ঋণ নেওয়ার পর পরিশোধের জন্য তিন মাস সময় পাবেন। তিনটি সমান কিস্তিতে, এটি গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে।
লোন পরিষোধের নিয়ম
প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের একাউন্ট থেকে এই অর্থ কেটে নেয়া হবে। এর জন্য তাদের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে একটি মেসেজ পাঠানো হবে মোবাইলে যাতে তারা অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স রাখতে পারে। গ্রাহক চাইলে বিকাশের এই লোন নির্দিষ্ট দিনের আগে নিজেই পরিশোধ করতে পারবেন। এতে করে সুদের পরিমাণ কমে আসতে পারে।
সময় মত ঋণ পরিষোধ না হলে কি হবে?
কিস্তি পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে মেসেজ দেয়া হবে। তারপরও যদি প্রয়োজনীয় পরিমাণ ব্যালেন্স গ্রাহক না রাখেন অথবা আগেই লোনের অর্থ প্রদান না করেন তবে বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হবে। বিলম্ব ফি হিসেবে মোট লোনের পরিমাণের উপর ২% (বার্ষিক) টাকা যুক্ত করা হবে।
তার থেকে বড় কথা, আপনার ঋণ পরিষোধের বিহেবিয়ার রেকর্ড করা হবে। এখন আপনি যদি এমন কিছু প্রদর্শন করেন যে তারা বিরক্ত হয় তবে এটা আপনার জন্য ভালো হবে না। কারণ ভবিষ্যতে আপনার লোন পেতে হয়তো সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
প্রশ্ন ও উত্তর
আমি বিকাশে মাসে ৭০ হাজার থেকে ১০০,০০০ টাকা লেনদেন করি, তাও কেন এই লোনের জন্য যোগ্য নই?
উঃ আপনারা হয়তো অনেকে বিকাশের রেগুলার ইউজার হওয়ার পরও লোন সুবিধা পাচ্ছেন না। সেই সাথে আপনার হয়তো মুটামুটি বড় এমাউন্ট প্রতি মাসে লেনদেন করেন। তারপরও হয়তো এই সুবিধা পাচ্ছেন না।
এই সমস্যা অনেকেরই। আসলে বিকাশের এই সুবিধা মাত্র শুরু হওয়ায় এর এই ধরনের কিছু সমস্যা হয়তো রয়ে গেছে। এর জন্য আপনারা যা করতে পারেন, বিকাশের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
যোগাযোগের নিয়ম পরের প্রশ্নে দেখুন।
আমার সব ঠিক থাকার পরও কেন লোনের জন্য যোগ্য হচ্ছি না?
উঃ আপনি এর জন্য ভালো হয় বিকাশের সাথে যোগাযোগ করলে। আপনি আপনার সমস্যা তাদের বলবেন। তারা আপনাকে বলে দিবে কেন আপনি লোন পাচ্ছেন না। এছাড়া অন্য সমস্যা থাকলে তাও বলে দিবে। নিচে দেখুন যোগাযোগের নিয়ম
এক্ষেত্রে বিকাশ মেনু থেকে সাপোর্ট অপশনে ক্লিক করলে দুটি অপশন দেখতে পাবেন। লাইভ চাট ও মেইল। আপনি যেভাবে সাচ্ছন্ধ বোধ করেন সেভাবে তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। চাইলে তোদের কাস্টমার কেয়ারে কল দিতে পারেন। অথবা সরাসরি চাট করতে পরেন।
যদি টাকা পরিষোধ না করি তবে কি হবে?
যারা ঋণ পুরোপুরি পরিশোধ করেন না, তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। আর আপনার তথ্য যেহেতু তাদের কাছে আছে সেহেতু আপনার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া কঠিন কিছু হবে না তাদের জন্য।
আমি কি ঋণ হিসেবে পুরো বিশ হাজার টাকা নিতে পারবো?
এটা নির্ভর করবে আপনার বিগত লেনদেনের উপর। আপনার বিগত তথ্য যাচাই করে তারাই ঠিক করে দিবে আপনি কত টাকা ঋণ হিসেবে নিতে পারবেন।
বিকাশ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন বিকাশ।
লোনের আবেদনের প্রকৃয়া ভিডিওতে দেখুন
বিকাশ নিয়ে আরো পড়ুন
- সোনালী ব্যাংক ও বিকাশে টাকা লেনদেন করার নিয়ম।
- বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম।
- আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম
লোন লাগবে 10000টাকা বিকাশ একাউন্ট
নাবান 01941853671
আস্ সালামুআলাইকুম
বেশি প্রয়োজন ভাই। আপনি কি একটু কষ্ট করে loanটার ব্যবস্থা করতে পারেন?
ওয়ালাইকুম সালাম। নাহ ভাইয়া, এটা আমার হাতে নেই। আমিতো শুধু ইনফর্মেশন শেয়ার করি।
Khairul আমার ২০ হাজার টাকার লোন লাগবে
আমার একটা শোন লাগবে খুব দরকার অনেক সমস্যয় আছি 10000টাকা আমার বাবা অনেক অসুস্থ আমার কাছে কোনো টাকা নেই আমার বিকাশ নাম্বার 01314014749আমি এখন হাসপাতালে আছি
এটা ব্লগ ওয়েব সাইট ভাই। এখানে আমরা তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারি শুধু। আপনি ব্যাংকে যোগাযোগ করুন।
আচ্ছালামুয়ালাইকুম স্যার আমার ১০০০০ টাকা লোন খুব দরকার প্লিজ আমাকে যদি লোন টার ব্যাবস্তা করে দিতেন খুন উপকার হতো?