রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হলো আরো ১ টাকা
এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম পূনরায় বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৫ টাকা করে। এই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে…
এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম পূনরায় বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৫ টাকা করে।
এই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে আগামী রোববার থেকে। এত দিন রপ্তানিকারকেরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৪ টাকা করে পেতেন। নতুন করে তাঁদের জন্য ডলারের দাম ১ টাকা বাড়ানো হলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা এক ভার্চ্যুয়াল সভায় সম্মিলিতভাবে রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এদিকে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে ১০৭ টাকায়। তবে আমদানি দায় মেটানোর জন্য ডলারের দাম কত হবে, সেটা সভায় নির্ধারণ করা হয়নি। আর এখানে ঘোষণার চেয়ে বেশি দরে ডলার না কিনতে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে সভায়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে শুরু করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় কেন্দ্রিয় ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বৃদ্ধি পায়।
পরবর্তিতে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি আর বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এই দুই সংগঠন মিলেই রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক ব্যাংকার জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে সব ক্ষেত্রে ডলারের এক দাম নির্ধারণ করতে হবে। এরই অংশ হিসেবে ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সামনে পর্যায়ক্রমে ডলারের দাম আরও বাড়ানো হবে।